Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

সূরা নাস এর অর্থ

সূরা নাস এর অর্থ  আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ অর্থ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল এবং ফজিলত Surah Nas’s Arabic English Bangla translation meaning with names of nuclear and Fazilat | 

আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। বিষয়টি হলো সূরা নাস এর অর্থআরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ অর্থ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ফজিলত এবং বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে আপনারা যা যা জানতে পারবেন তা হচ্ছে সূরা নাস এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ অর্থ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল এবং ফজিলত Surah Nas’s Arabic English Bangla translation meaning with names of nuclear and Fazilat | সূরা নাস,সূরা নাস আরবি,সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ,কুল আউযু বিরাব্বিন নাস,সূরা নাস এর শানে নুযুল,সূরা নাস এর ইংরেজি, সূরা নাস এর ফজিলত,সূরা নাস বাংলা অর্থ,কুল আউযুবি রাব্বিল নাস সূরা,কুল আউযু বিরাব্বিন নাস সূরা।নিম্নে সূরা নাস এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ অর্থ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ফজিলত এবং বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য রয়েছে।

সূরা নাস এর অর্থ

সূরা নাস

بسم الله الرحمن الرحيم                                   বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম                           করুণাময়, অতি দয়ালু

[1]قل أعوذ برب الناس

[1] কুল্ আ’ঊযু বিরব্বিন্না-স্।

[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,

[1] Say: “I seek refuge with (Allāh) the Lord of mankind,

ملك الناس  [2]

[2]মালিকিন্না-স্ ।

[2] মানুষের অধিপতির,

[2] “The King of mankind –

[3]اله النّاس

[3] ইলা-হি ন্না-স্

[3] মানুষের মা’বুদের

[3] “The Ilâh (God) of mankind,

من شر الوسواس الخناس [4]

মিন শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি

[4] তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,

[4] “From the evil of the whisperer (devil who whispers evil in the (devil who whispers evil in the hearts of men) who withdraws (from his whispering in one’s heart after one remembers Allâh),

সূরা নাস এর অর্থ

[5] الذي يؤسوش في صدور الناس

[5]আল্লাযী ইউওয়াস্ত্তয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্।

[5] যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে

[5] “Who whispers in the breasts of mankind,

[6] من الجنة والنّاس

[6] মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্।

[6] জ্বিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্যে থেকে।

[6]From between jeinding and from people.

_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_

    শানে নুযূল   

•➤এই সূরার ফযীলত পূর্বের সূরায় বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য এক হাদীসে এসেছে যে, নবী (সাঃ)-কে নামায পড়া অবস্থায় বিছুতে দংশন করলে, নামায শেষ হতেই তিনি পানি এবং লবণ আনতে আদেশ করলেন এবং তা দিয়ে তিনি দষ্ট জায়গায় মলতে লাগলেন এবং সাথে সাথে সূরা কাফেরূন, সূরা ইখলাস ও সূরা নাস পাঠ করতে থাকলেন। (মাজমাউয যাও াইদ ৫/১১১ হাইষাম বলেছেন, এর সনদ হাসান। সিলসিলাহ স্বাহীহাহ ৫৪৮নং)

সূরা নাস এর অর্থ

===============0==============

  ফজিলত   

•➤হাদিস শরীফে সূরা নাস ও সূরা ফালাক বারবার পড়ার জন্যে তাগিদ দিয়েছে। এই দুই সূরাকে এক সঙ্গে মুআওবিযাতাইন বলা হয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, এ দুইটি সূরা তোমরা পড়তে থাক৷ কেননা, এ দুইটি সূরার মতো কোনো সূরা তোমরা কোনো দিন পাবে না। (মুসলিম ৮১৪)

•➤একদা এক ইহুদী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল (আ.) মহানবী (সা.)-কে বলেন যে, এক ইহুদী তাকে জাদু করেছে এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কুপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে। মহানবী (সা.) সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন। সেখানে গিয়ে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল। তখন তিনি সূরা নাস ও ফালাক দুইটি একসঙ্গে পড়ে ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।

•➤হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহি বুখারি)

•➤ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তে ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস,সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটি সূরা তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সূরা পড়তে হবে। (আবু দাউদ হা: ১৩৬৩)

•➤সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়লে শয়তানের অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাজতে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৯০৩)

•➤হজরত উকবা ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার কি জানা নেই আজ রাতে আমার ওপর যে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে এগুলোর মতো কোনো আয়াত দেখাও যায়নি এবং শোনাও যায়নি। আর তা হলো কুল আয়ুজু বি রাব্বিল ফালাক ও কুল আয়ুজু বি রাব্বিন নাস। (সহি মুসলিমঃ৮১৪)

•➤কোন আশ্রয় প্রার্থনাকারী আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারে না এই দুই সূরার মত অন্য কিছু দিয়ে। (আবু দাউদ)

বিঃদ্রঃ কোনো ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন সঠিক করবো ইনশাআল্লাহ।

Leave a comment