Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

sss২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা | একুশের সেরা কবিতা

 ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা | একুশের সেরা কবিতা

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা, একুশের সেরা কবিতা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আপনারা যারা ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা খুঁজতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন পোস্টটি আমরা সাজিয়েছি একুশের সেরা কবিতা দিয়ে।

একুশের কবিতা আবৃত্তি

একুশের কবিতা আবৃত্তি করার জন্য আপনারা যারা কবিতা খুঁজছেন। এই পোস্টে পেয়ে যাবেন অনেক গুলো কবিতা। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।  

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি যারা করবেন এবং কবিতা গুলো যারা খুঁজছেন তারা এখানে পেয়ে যাবেন সুন্দর সুন্দর কিছু কবিতার কালেকশন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি করার 

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি করার জন্য কবিতা এখানে পেয়ে যাবেন। 

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আপনাদের জন্য দিলাম আপনাদের যাদের কবিতা লাগবে এখান থেকে সংগ্রহ করে নিন। 

একুশের কবিতা

মহাদেব সাহা

ভিতরমহলে খুব চুনকাম, কৃষ্ণচূড়া

এই তো ফোটার আয়োজন

বাড়িঘর কী রকম যেন তাকে হলুদ অভ্যাসবশে চিনি,

হাওয়া একে তোলপাড় করে বলে, একুশের ঋতু!

ধীরে ধীরে সন্ধ্যার সময় সমস্ত রঙ মনে পড়ে, সূর্যাস্তের

ন্নি সরলতা

হঠাৎ আমারই জামা সূর্যাস্তের রঙে ছেয়ে যায়,

আর আমার অজ্ঞাতে কারা আর্তনাদ করে ওঠে রক্তাক্ত রক্তিম

বলে তাকে!

আমি পুনরায় আকাশখানিরে চেয়ে দেখি

নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা,

মনে হয় এঁকেবেঁকে উঠে যাবে আমাদের

ছিন্নভিন্ন পরাস্ত জীবন,

অবশেষে বহুদূরে দিগন্তের দিকচিহ্ন মুছে দিয়ে

ডাক দেবে আমরাই জয়ী!

বাংলা ভাষা

অতুলপ্রসাদ সেন

মোদের গরব, মোদের আশা,

আ-মরি বাংলা ভাষা!

তোমার কোলে,

তোমার বোলে,

কতই শান্তি ভালোবাসা!

কি যাদু বাংলা গানে!

গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,

গেয়ে গান নাচে বাউল,

গান গেয়ে ধান কাটে চাষা!

বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন্,

হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন-

ঐ ফুলেরই মধুর রসে,

বাঁধলো সুখে মধুর বাসা!

বাজিয়ে রবি তোমার বীণে,

আনলো মালা জগৎ জিনে!

তোমার চরণ-তীর্থে আজি,

জগৎ করে যাওয়া-আসা!

ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা,

আনল দেশে ভক্তি-ধারা,

আছে কৈ এমন ভাষা,

এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা?

ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে,

ডাকনু মায়ে ‘মা, মা’ বলে;

ঐ ভাষাতেই বলবো হরি,

সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা!

মোদের গরব, মোদের আশা,

আ-মরি বাংলা ভাষা!

মাগো, ওরা বলে

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

 ‘কুমড়ো ফুলে ফুলে

নুয়ে পড়েছে লতাটা,

সজনে ডাঁটায়

ভরে গেছে গাছটা,

আর, আমি ডালের বড়ি

শুকিয়ে রেখেছি—

খোকা তুই কবে আসবি!

কবে ছুটি?’

চিঠিটা তার পকেটে ছিল,

ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

‘মাগো, ওরা বলে,

সবার কথা কেড়ে নেবে

তোমার কোলে শুয়ে

গল্প শুনতে দেবে না।

বলো, মা, তাই কি হয়?

তাইতো আমার দেরী হচ্ছে।

তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে

তবেই না বাড়ী ফিরবো।

লক্ষ্মী মা রাগ ক’রো না,

মাত্রতো আর কটা দিন।’

‘পাগল ছেলে’ ,

মা পড়ে আর হাসে,

‘তোর ওপরে রাগ করতে পারি!’

নারকেলের চিঁড়ে কোটে,

উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে

এটা সেটা আরো কত কি!

তার খোকা যে বাড়ী ফিরবে!

ক্লান্ত খোকা!

কুমড়ো ফুল

শুকিয়ে গেছে,

ঝ’রে প’ড়েছে ডাঁটা;

পুঁইলতাটা নেতানো,—

‘খোকা এলি?’

ঝাপসা চোখে মা তাকায়

উঠোনে, উঠোনে

যেখানে খোকার শব

শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন,

মা’র চোখে চৈত্রের রোদ

পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের।

তারপর,

দাওয়ায় ব’সে

মা আবার ধান ভানে,

বিন্নি ধানের খই ভাজে,

খোকা তার

কখন আসে! কখন আসে!

এখন,

মা’র চোখে শিশির ভোর,

স্নেহের রোদে

ভিটে ভরেছে।

একুশের কবিতা

মহাদেব সাহা

ভিতরমহলে খুব চুনকাম, কৃষ্ণচূড়া

এই তো ফোটার আয়োজন

বাড়িঘর কী রকম যেন তাকে হলুদ অভ্যাসবশে চিনি,

হাওয়া একে তোলপাড় করে বলে, একুশের ঋতু!

ধীরে ধীরে সন্ধ্যার সময় সমস্ত রঙ মনে পড়ে, সূর্যাস্তের

ন্নি সরলতা

হঠাৎ আমারই জামা সূর্যাস্তের রঙে ছেয়ে যায়,

আর আমার অজ্ঞাতে কারা আর্তনাদ করে ওঠে রক্তাক্ত রক্তিম

বলে তাকে!

আমি পুনরায় আকাশখানিরে চেয়ে দেখি

নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা,

মনে হয় এঁকেবেঁকে উঠে যাবে আমাদের

ছিন্নভিন্ন পরাস্ত জীবন,

অবশেষে বহুদূরে দিগন্তের দিকচিহ্ন মুছে দিয়ে

ডাক দেবে আমরাই জয়ী!

মাতৃভাষা দিবস ৮’ই ফাল্গুন 

             —- মোঃ সফিকুল ইসলাম মমিন
বহুদিন বার বার নিজেকে প্রশ্ন করি?
বায়ান্নর ভাষা দিবস কেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি?
যে ভাষার তরে রক্ত ঝরে মনে ছিল আগুন!
কেন নয় তা ১৩৫৮ সনের আট ই ফাল্গুন?
প্রভাত ফেরী, শহীদদের স্মরি, গান করি,
আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো ২১শে ফেব্রুয়ারি।
বাংলা মাস, পহেলা বৈশাখ, যদি নববর্ষ হয়,
তবে কেন শহীদ দিবসের নাম আটই ফাল্গুন নয়?
রফিক,সালাম, বরকত এবং আরও আছে,
মাতৃভাষা রক্ষায় তাজা পাণ বিলিয়ে দিয়েছে,
তোমাদের মৃত্যু নেই, যতদিন পৃথিবী রবে-
মোদের প্রতিটি রক্ত কোষে, হৃদয়ে বেচে রবে।
মাতৃভাষা, মায়ের ভাষা, হৃদয়ে আক্রে ধরি,
এ ভাষায় কত কবিতা, কত ছন্দ, কত গান,
কত সমৃদ্ধ, কত কাহিনী, উপন্যাস বহমান,
কবি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শামসুর রহমান।
বিজ্ঞ জনে হিসাব গনে যদি ১লা বৈশাখ,
১দিন পিছে১৪ থেকে ১৫ এপ্রিলে নেয়া যাক,
তবে মিলে যাবে প্রতিবারেই একই দিনক্ষণ,
শহীদ দিবস একুশেরই সাথে সে ৮ই ফাল্গুন।
ইংরেজী ক্যালেন্ডারে অধিবর্ষে ফেব্রুয়ারিতে,
দেখা যায় ২৮ থেকে ১ দিন বেড়ে ২৯ হতে।
তেমনি বাংলা ক্যালেন্ডারে অধিবর্ষে ফাল্গুনে,
৩০ থেকে ১ দিন বাড়িয়ে ৩১ সহজ সমাধানে।
সবই পারে সরকার, অভাব শুধু ইচ্ছার।
যদি তাই হত, সম্মান হত রক্তস্নাত ভাষার,
একুশের পাশাপাশি ৮ই ফাল্গুনের সমাহার।
ভালোবাসি মাতৃভাষা, তবু কেন নির্বিকার?
একুশ মোদের অহংকার, চেতনা ও স্বত্ত্বা,
যাকে পুজিকরে ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা। 
বায়ান্নর একুশ আজ বিশ্বজুড়ে উদ্দিপ্ত,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃত। 
তবু কোথায় যেন এক অবচেতন শূন্যতা,
৮ ই ফাল্গুন কি পাবেনা শহীদ দিবসের মর্যাদা? 
হয়েছে নাহয় কিছুটা দেরি, এখনও ভাবতে পারি, ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি ফাল্গুনকেও মানতে পারি।
দেখেছি এ বাংলায় কখনও দেশের প্রয়োজনে,
ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা চলে গেছে পিছন পানে।
বেলা একটার জুহরের নামাজ দুটায় হয়েছে।
অফিস টাইমও সেভাবেই সমন্বয় করা হয়েছে।
শহিদদের রক্তের ঋনের আরও রয়েছে দায়,
যা পরিশোধ হবে, যদি এখনও মর্যাদা পায়,
একুশে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি ৮ই ফাল্গুন,
জানিনা একমত হবে কিনা আজকের তরুন।
প্রয়োজন আরেকজন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর,
আরও দরকার আরেকজন আলতাফ মাহমুদের।
প্রয়াত গীতিকার ও সুরকার তোমরাও বেচে রবে,
সকলের তরে যতদিন এই ভবে সূর্যের উদয় হবে।

Tags: ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা,একুশের সেরা কবিতা,একুশের কবিতা আবৃত্তি, ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি, ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা

Leave a comment