Life Changing Social Happiness Quotes | জীবন বদলে দেওয়া সামাজিক আনন্দের উক্তি | ভাব এবং লক্ষ্য নিয়ে উক্তি | সমালোচনা নিয়ে উক্তি 2024
Life Changing Social Happiness Quotes | জীবন বদলে দেওয়া সামাজিক আনন্দের উক্তি | ভাব এবং লক্ষ্য নিয়ে উক্তি | সমালোচনা নিয়ে উক্তি 2024
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের সবাইকে টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে জানাই সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন । আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি। আপনারা অনেকে বিভিন্ন উক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যে উক্তিগুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন সে উক্তি গুলো নিয়েই আমরা আজকের পোস্টটি হাজির করেছি আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যে যে উক্তিগুলো এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো জীবন বদলে দেওয়া উক্তি ,আনন্দের উক্তি, সামাজিক উক্তি, লক্ষ্য নিয়ে উক্তি, ভাব নিয়ে উক্তি, সমালোচনা নিয়ে বিখ্যাত উক্তি
জীবন বদলে দেওয়া উক্তি
ভাল কথা, ভাল উপদেশ কখনো পুরনো হয় না। একটি ইতিবাচক জিনিসের আবেদন রয়ে যায় চিরকাল। ঘরের দেয়ালে একটি শিক্ষামূলক উক্তি টাঙানো, তুমি হয়তো দিনের পর দিন সেটি দেখে আসছো কোনদিন কিছু মনে হয়নি, হঠাৎ একদিন কোন বিশেষ পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে বাণীটি একদম তোমার হৃদয়ে গেঁথে গেল। অবাক হয়ে ভাবলে, তাই তো! এতদিন কেন চোখে পড়েনি ব্যাপারটা?
এতদিন চোখে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ে প্রবেশ করেনি। আজ সেটা করলো। একটি উক্তি তোমার জীবন বদলে দিতে পারে চিরদিনের জন্য। জীবনের মোড় বদলে দেয়া এমন দশটি বিখ্যাত উক্তি নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
১. কিছু কিছু মানুষ সবসময়ই থাকে আমাদের চারপাশে যারা কিভাবে কিভাবে যেন সবকিছুতেই ভয়াবহ রকমের সফল! ক্লাসে পরীক্ষায় প্রথম হচ্ছে, দৌড় প্রতিযোগিতায় সবার আগে ফিনিশ লাইনে তারা, বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় তাদের প্রজেক্ট পুরস্কার জিতছে- তুমি নখ কামড়ে ভাবছো একটা মানুষের সবদিকে এত প্রতিভার ছড়াছড়ি কীভাবে হয়? আমাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী আন্টিরা আবার এককাঠি সরেস-“ও যেই চালের ভাত খায়, তুমিও সেই চালের ভাত খাও, ও পারলে তুমি পারো না ক্যান?”
এইসব কথায় কখনো মন খারাপ করার কিছু নেই। তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী বিজয় করে ফেলা সম্ভব।পরীক্ষার খাতায় কম মার্কস পাওয়া দিয়ে আসলে কিছু আসে যায়না। কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবে না, ভুগে কি আদৌ কোন লাভ হয়? আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না।
২. একটা ঈগলছানা কিভাবে কীভাবে যেন দলছাড়া হয়ে মুরগির খোঁয়াড়ে পড়ে গেল। সেখানে একটি মুরগির বড় দয়া হলো বেচারার দুরবস্থা দেখে, আপন সন্তানের মত দরদ দিয়ে লালন-পালন করে বড় করে তুললো সেটিকে। ঈগলটি এখন একটু বড় হয়েছে, গায়ে গতরে তার চারপাশের মুরগিদের চেয়ে ঢের বড় সে। কিন্তু, চলাফেরায় স্বভাবে একদম মুরগিদের মতোই। তাদের সাথেই থাকে, তাদের সাথেই ঘুমায়, তাদের মতোই ভীতু সে।
“কী বোকার মত কথা বলছো! আমরা কীভাবে উড়বো? ওটা তো ঈগল পাখি, ওভাবে উড়া আমাদের জন্য অসম্ভব!”
ছোট্ট ঈগলটি একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে পালের সাথে হাঁটতে লাগলো। বেচারা কোনদিন বুঝলোও না তারও রাজার মতো আকাশে উড়বার কথা ছিল।
একবার ভেবে দেখো তো নিজেকে এই ঈগলটির জায়গায় কল্পনা করে?
৩. “অমুক তো ভাই অনেক মেধাবী! তার সাথে কি আমাদের তুলনা চলে?” এই কথাটি যে কত জায়গায় কতবার শুনেছি হিসেব নেই। এই কথাটি শুনলে কেন যেন আমার ভীষণ রাগ হয়, ব্যাপারটা অনেকটা খেলতে নামার আগেই পরাজয় মেনে নেওয়ার মতো। অমুক খুব ট্যালেন্টেড বুঝলাম, কিন্তু আমার চেয়ে কতগুণ মেধাবী সে? আমি যদি প্রতিদিন তার থেকে ডাবল খাটুনি করি কেন আমি তার চেয়ে ভাল করবো না?
তুমি চাইলে অতি অবশ্যই ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারবে, অবশ্যই চমৎকার লিখতে পারবে, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকলে বিজয় অবশ্যই আসবে, আসতে বাধ্য।
আনন্দের উক্তি
– যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে বাঁচুন, যতক্ষণ বেঁচে আছেন ভালোবাসুন। জনি ডেপ
– একটি নির্মল হাসি এবং গভীর একটি ঘুম দু’টি মহাঔষধ যা যেকোন রোগ সারতে পারে। আইরিশ প্রবাদ
– হাসি ছাড়া একটি দিন হলো একদিনের অপচয় । ই ই কামিংস
– যখনই আপনি কারও দিকে তাকিয়ে হাসেন, তা হয় ভালোবাসার প্রকাশ। এটি তার প্রতি একটি উপহারের মতো সুন্দর একটি বিষয়। মাদার তেরিজা
– পৃথিবীর সকল মানুষ একই ভাষায় হাসে। প্রবাদ
– সব অবস্থায়ই হাসির কারণ থাকে – শুধু খুঁজে পেতে হয় ।
– শক্ত থাকুন, যাতে আপনার হাসি দেখে সকলে বিস্মিত হয়।
– হাসুন আর সকলকে বুঝিয়ে দিন যে, আপনি গতকালের চেয়ে আজ শক্তিশালী তাই হাসতে ভুলে যাবেন না।
– জীবনে আমার অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু আমার ঠোঁটগুলো তা জানে না। তারা সব সময় হাসতে থাকে। চার্লি চ্যাপলিন
– নীরবতা এবং হাসি হলো দু’টি চরম শক্তিশালী অস্ত্র। হাসি অনেক সমস্যার সমধান করে দেয় এবং নীরবতা অনেক সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে সাহায্য করে।
সামাজিক উক্তি
আমরা মাঝে মধ্যেই জীবন নিয়ে হতাশায় পরে যাই। অল্প কাজে অথবা অতিরিক্ত চিন্তায় হাঁপিয়ে পরি। এই ক্লান্তি ও হতাশা আমাদের সব ধরনের উন্নতিতে বার বার বাধা দিতে চায়। অনেক সময় মনোবল কমিয়ে আনে। কিন্তু এসব নিয়ে চিন্তা করা ছাড়া কখনও কি আমরা ভেবেছি যে, কোন ভাবে এই সমস্যা গুলোকে কমিয়ে জীবনকে সহজ করে নেওয়ার কোন উপায় আছে কিনা? আসলে আমরা তা কখনো করিনা। আজ তাহলে কিছু বিশেষ উপায় জেনে নেওয়া যাক যা আমাদের জীবনকে সহজ করে নেওয়ার মানসিক শক্তি দান করবে।বেশ কিছু সামাজিক উক্তি নিয়ে পোস্ট টি তৈরি করা হয়েছে আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে
১. শান্ত থাকুন যখন কেউ আপনার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলে:
একসাথে আমরা প্রতিনিয়ত অনেকের সাথে ওঠা বসা করি, কাজ করি। এক্ষেত্রে আমাদের সব সময় সবার সাথে মনমানসিকতা নাও মিলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মনোমালিন্যও হতে পারে। আপনার রাগও আসতে পারে, যা অতি স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধের একটি উক্তি আমরা মাথায় রাখতে পারি,
অর্থাৎ আপনি রাগটা পুষে রাখলে সেই রাগ অন্যের অপর প্রকাশের মাধ্যমে আপনি যতটা না অন্যের ক্ষতি করবেন তার চেয়ে বেশি ক্ষতি আপনার নিজের হবে। কারণ রাগ হচ্ছে একধরনের মানসিক ব্যাধি। এটি সেই ব্যাধি যা হচ্ছে সিগারেট এর মত। এক দুই দিনে কিছু করবে না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে আপনাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে।
কেউ যদি আপনার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে তখন তার কথার পাল্টা জবাব না দিয়ে নিজেকে সংযত রাখাটাই হচ্ছে আপনার ধৈর্যের প্রমাণ। এটি এক ধরনের মানসিক যুদ্ধ যা আপনাকে অন্যের তার্কিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। সেই সাথে আপনার মানসিক শান্তি রক্ষা করবে।
কারো সাথে তর্কে যাওয়ার আগে আমরা এটা মাথায় রাখতে পারি যে, আমাদে কাছে ২টি উপায় আছে, একটি হল তর্কে যোগ দেওয়া বা নিজের রাগকে বাড়ার সুযোগ দেওয়া যেটি ইতোমধ্যেই অনেক উত্তপ্তঅবস্থায় আছে অথবা দ্বিতীয়টি হচ্ছে এই অস্থায়ী ঝামেলাকে বাদ দেওয়া। আপনার কাছে যখন দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাহলে আপনি কেনই বা অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সেই সুযোগটিকে হারাবেন।
তাহলে এই সঠিক সিদ্ধান্তটা বা শান্ত থাকলে আপনি সহজেই একটি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।
২. আপনার চিন্তা গুলো লিখে রাখুন যখন আপনি অনেক চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন:
আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু পরিকল্পনা থাকে। দিনের শুরুর পরিকল্পনা থেকে অনেক সময় জীবনের শেষ পর্যন্ত কি করব এমন বৃহৎ পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু এ পরিকল্পনা তো আর একদিনে হয়ে ওঠে না। অনেকদিনের চিন্তা, কল্পনা, অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ দীর্ঘমেয়াদী বৃহৎ পরিকল্পনা করে। এই কল্পনা শুধু নিজের থেকে নাও আসতে পারে। অনেক সময় আমরা অন্যের দেখেও অনেক কিছু শিখি, তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়েও অনেক সিদ্ধান্ত নেই।
কখনো কখনো দেখা যায় যে আমরা কোন বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত, অনেক ভাবছি। এতে করে দেখা যায় একই বিষয় বার বার ভাবতে ভাবতে বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমাদের মাথা থেকে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় বের হয়ে যায়। উদ্বিগ্ন সময়ে আমরা অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ কিছু খেয়াল করতে পারি যা পরে মনে নাও থাকতে পারে।
লক্ষ্য নিয়ে উক্তি
জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ১৫টি শক্তিশালী উক্তি:
০১. “শুধু বেঁচে থাকাই মানুষের জীবনের সার্থকতা নয়, সার্থকতা লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার অর্থপূর্ণ কারণ খুঁজে পাওয়ার মাঝে”
– ফিওদর দয়োভস্কি (বিশ্বখ্যাত রাশিয়ান লেখক)
০২. “কখনো কি ভেবেছ, কিছু মানুষ কেন যা চায়, তাই পায়; আর কিছু মানুষ অনেক কষ্ট করার পরও কিছুই পায়না? এর কারণ লক্ষ্য। কিছু লোকের লক্ষ্য আছে, কিছু লোকের নেই। লক্ষ্য থাকলে অর্জন করতে পারবে – লক্ষ্য না থাকলে কিছুই পাবে না”
– আর্ল নাইটেঙ্গেল (পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট)
০৩. “যদি সুখী হতে চাও, তবে এমন একটি লক্ষ্য ঠিক করো, যা তোমার বুদ্ধি আর শক্তিকে জাগ্রত করে, এবং তোমার মাঝে আশা আর অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে”
– এ্যান্ড্রু কার্নেগী (সর্বকালের সেরা উদ্যোক্তাদের একজন)
০৪. “ পৃথিবীতে যারাই বিশাল অর্জন করেছে, তাদের সবারই একটি বিশাল লক্ষ্য ছিল। তাদের চোখ ছিল এমন লক্ষ্যের দিকে – যার অবস্থান অনেক উঁচুতে; এমন লক্ষ্য যাকে ছুঁতে পারা অসম্ভব বলে মনে হত”
– অরিসন মার্ডেন (সাকসেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, ও বিশ্বখ্যাত মোটিভেশনাল লেখক)
০৫. “লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের পরিকল্পনা-দিয়ে-তৈরী গাড়িতে চড়তে হবে। এটার ওপর আমাদের পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস রেখে নাছোড়বান্দার মত এগিয়ে যেতে হবে। এটা ছাড়া সাফল্যের আর কোনও পথ নেই”
– পাবলো পিকাসো (ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী, সর্বকালের সেরাদের একজন)
০৬. “সাফল্য হল সফলতার সাথে নিজের ঠিক করা লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা”
– আর্ল নাইটেঙ্গেল (সর্বকালের সেরা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্টদের একজন)
০৭. “গ্রেট হতে হলে তোমাকে এমন লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, যা তোমার সাধ্যের বাইরে। তোমার লক্ষ্য যদি খুব বেশি চিন্তা ও পরিশ্রম ছাড়া অর্জন করা সম্ভব হয়, তবে তুমি তোমার সত্যিকার প্রতিভা ও ক্ষমতাকে কাজে লাগাওনি”
– স্টিভ গ্রেভি (বেসবল গ্রেট)
০৮. “তোমার স্বপ্ন ও লক্ষ্যের কথা কাগজ কলমে লেখার মাধ্যমে তুমি যা হতে চাও, তা হওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ নেবে”
– মার্ক ভিক্টর হ্যানসেন (বেস্ট সেলিং লেখক ও মোটিভেটর)
০৯. “জীবনের লক্ষ্য না থাকার সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল, তুমি সারা জীবন মাঠের ভেতরে দৌড়েও গোল দিতে পারবে না”
– বিল কোপল্যান্ড (বিখ্যাত লেখক ও ইতিহাসবিদ)
১০. “জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হল, একটি লক্ষ্য পূরণের পর আরও বড় লক্ষ্য ঠিক করা”
– মাইকেল কর্ডা (সফল লেখক ও ঔপন্যাসিক)
১১. “সব সফল মানুষেরই লক্ষ্য থাকে। গন্তব্য না জানলে যেমন সেখানে পৌঁছানো যায় না, একজন মানুষ কি করতে চায় অথবা কি হতে চায় – তা না জানলে তা করার বা হওয়ার কাজ শুরু করতে পারে না”
– নর্মান ভিনসেন্ট পীল (লেখক ও ‘পজিটিভ থিংকিং’ ধারণার একজন প্রবর্তক)
১২. “লক্ষ্যের সম্ভাবনা অসীম। ঘটার আগে মানুষের ধারণাও থাকে না একটি লক্ষ্যের ওপর বিশ্বাস তাকে কতটা অনুপ্রাণিত, সাহসী আর সফল করতে পারে”
– জিম রন (সফল উদ্যোক্তা, মোটিভেটর, ও লেখক)
১৩. “নির্দিষ্ট ভাবে লক্ষ্য ঠিক করতে পারা মানেই সেই লক্ষ্য অর্ধেক পূরণ হয়ে গেছে”
– জিগ জ্যাগলার (সেলস্ এক্সপার্ট ও লেখক)
১৪. “তুমি যদি লক্ষ্য ঠিক করে নিজের সবকিছু দিয়ে তার পেছনে ছোটো, এক সময়ে তোমার অর্জন দেখে তুমি নিজেই অবাক হয়ে যাবে”
– লেস ব্রাউন (লেখক ও মোটিভেটর)
১৫. “আমার মনে হয় সত্যিকার লক্ষ্য সব সময়ে কঠিন হওয়া উচিৎ। এটা এমন হওয়া উচিৎ যা, তোমাকে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে”
– মাইকেল ফেলপ্স (সর্বকালের সফলতম অলিম্পিক সাঁতারু)
সমালোচনা নিয়ে বিখ্যাত উক্তি
■■প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা অনেকেই সমালোচনা নিয়ে বিভিন্ন উক্তি জানতে চেয়েছেন আর তাই আমরা সমালোচনা নিয়ে বেশ কিছু উক্তি এখানে হাজির করেছে আশা করি এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে সমালোচনাকে ইসলামিক গীবত বলা হয়
■■ হাদীসে এসেছেঃ
——-“কিয়ামতে এমন লোকও উপস্থিত হবে, যার আমল পর্বত মালার সমান। কিন্তু, সে গোপনে গুনাহ করায় তার আমল গুলো চুর্ণ বিচুর্ণ করে দেওয়া হবে।
■■ প্রিয় পাঠক! একটু চিন্তা করে দেখুন!
■▪আপনি আমি তো অনেক আমলই করছি, আর ভাবছি যে, ভালো কাজের বিনিময়ে তো জান্নাত পেয়ে যেতেই পারি!
■▪কিন্তু, শুধু আমল করাই তো শেষ নয়! বরং আমল টিকিয়ে রাখা দরকার। তাই গীবত বা পরনিন্দা এবং গোপনে পাপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে!
■■ গীবতের কয়েকটি উদাহরণঃ
●▪কাউকে নিয়ে হাসাহাসি করা!
●▪দীর্ঘ দেহবিশিষ্ট লোককে লম্বু,▪খর্ব লোককে বামুন,▪কালো লোককে নিগ্রো,▪উজ্জ্বল লোককে সাদা,▪টেরা ইত্যাদি বললে দেহ সম্পর্কে গীবত হয়ে যায়!
●▪কোনো ব্যক্তিকে কোনো হীন পেশাদারের সন্তান বললে তার বংশ সম্বন্ধে গীবত হয়ে যায়!
●▪কাউকে▪নিন্দুক,▪মিথ্যাবাদী,▪গর্বিত, ▪কাপুরুষ,▪অলস ইত্যাদি বললে তার প্রকৃতি সম্পর্কে গীবত করা হয়!
●▪কাউকে▪বিশ্বাসঘাতক,▪হিংষুক,▪আমানত খেয়ানতকারী,▪অসংযমী,▪অতিরিক্ত আহারকারী, ▪হারামখোর,▪অধিক নিদ্রা যায়,▪পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখে না,▪আয় অনুযায়ী ব্যয় করে না ইত্যাদি বলা তার ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে গীবত।
●▪কারো সম্পর্কে যদি বলা হয়,▪তার পোশাক বেসামাল,▪আস্তিন ঢিলা,▪আচল দীর্ঘ তা হলে তার বসন-ভূষণ সম্পর্কে গীবত করা হলো!
●▪গীবত কেবল মুখ দ্বারাই হয় না। চোখ, হাত এবং ইঙ্গিত দ্বারাও গীবত হয়ে থাকে। সব ধরণের গীবতই হারাম।
●●শহযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি একদিন মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাহি ওয়াসাল্দাম এর নিকট ইশারায় প্রকাশ করেছিলাম যে, অমুক মহিলা বেটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
——-“হে আয়েশা! তুমি গীবত করলে!”
■■ অর্থাৎ, এক জনের অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা বা করা, যা ঐ ব্যক্তি জানলে কষ্ট পেতো।
■▪আবার এই কথাও ভাব্বেন না যে, আমিতো ঐ লোকের সামনেও এই কথা গুলো বলতাম! কেনো না, কারো কোন বিষয়ে সামনে কথা বললেও যদি সেই কথায় সে কষ্ট পায় তাহলে তা বলা নিষেধ। কেনো না, কারো মনে কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলা নিষেধ
■■▪সুতরাং, চুপ থাকাই হচ্ছে একটা ইবাদত।
■■ পরনিন্দা সম্পর্কে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
——-“পরনিন্দা ব্যভিচারের চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্যতম। পরনিন্দাকারী এবং পরনিন্দা শ্রবণকারী উভয়ই সমান অপরাধী।”
■▪যার মধ্যে যে দোষ নেই, তা যদি বলা হয়, তাহলে তা হবে মিথ্যা অপবাদ। আর যদি সত্যি হয়, তখন তা হবে গীবত। এই প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
——-“কারো সম্বন্ধে তার অগোচরে এমন কোনো কথা যদি বলা হয়, যা শুনলে তার নিকট অপ্রীতিকর বোধ হয়, তবে সে কথা সত্য হলেও গীবত।”
——-আবু হুরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “তোমরা আন্দাজ-অনুমান থেকে বেঁচে থেকো। কেননা অনুমান করে কথা বলা সবচেয়ে বড় মিথ্যা!”
—–(বুখারি, হাদীস নং: ২২৮৭; মুসলিম, হাদীস নং: ২৫৬৩)
■■ মহান আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
——-“কোনো সম্প্রদায় যেন অপর কোনো সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতইনা নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো জালিম।”
—–(সূরা, হুজরাত, আয়াত : ১১)
■■ সব ধরনের অশ্লীলতা ও অশালীন উক্তি ইসলামে নিষিদ্ধ। যে কথা শুনে মানুষ কষ্ট পায়, তাই অশালীন। কারো সম্পর্কে অপ্রীতিকর বাক্য না বলাই হচ্ছে শালীনতা। ইসলামের আগমন হয়েছে মানুষকে শালীনতা ও সৌহার্দ্য শিক্ষা দেয়ার জন্য। তাই শালীনতাকে ইসলাম মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হিসাবেও নির্ধারণ করেছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ
——-“আল্লাহ তা’আলার নিকট ওই ব্যক্তি বেশি মর্যাদাবান যে বেশি শালীন ও পরহেজগার।”
■■ গীবত বা পরনিন্দার শাস্তিঃ
গীবতের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে হাদীসেএসেছেঃ ——-“তোমরা গীবত বা পরনিন্দা করা থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ তাতে রয়েছে তিনটি মারাত্মক ক্ষতি। যথাঃ▪গীবতকারীর দু’আ কবুল হয় না!▪গীবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না এবং▪আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হয়ে থাকে।”
—–(বুখারি)
■▪আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
——-“হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের পেছনে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কী স্বীয় মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তা একেবারেই ঘৃণাই করো।”
—–(সূরা, হুজরাত : আয়াত ১২)
■▪রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
——-“আমার প্রতিপালক যখন আমাকে মিরাজে নিয়েছিলেন,তখন আমি এমন একশ্রেণীর মানুষের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম; যাদের নখগুলো ছিল পিতলের নখের মতো। যার দ্বারা তারা নিজেদের চেহারা এবং বুক খামচাচ্ছিল। আমি এ লোকগুলোর ব্যপারে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেছিলেন, “এরা সেইসব ব্যক্তি, যারা দুনিয়াতে মানুষের গোশত খেতো এবং তাদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতো।”
—–(মিশকাত)
■■▪আর মানুষের গোশত খাওয়ার মানে হলো অন্যের গিবত করা।
——-“যে ব্যক্তি অপর মুসলমানের দোষ অনুসন্ধান করে আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আল্লাহ যার দোষ অনুসন্ধান করেন তাকে লাঞ্চিত ও অপমানজনক শাস্তি দিবেন।”
—–(তিরমিজি)
■■ পরিশেষে বলছি, গীবত করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। গীবতের মাধ্যমে আল্লাহর হক ও বান্দার হক দুটোই নষ্ট করা হয়। মানবজীবনে পরনিন্দা ও পরচর্চায় পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, বিদ্বেষ জন্ম নেই এবং সমাজের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট হয়। তাই গীবত পরিত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।
■■ গীবত থেকে বাঁচার জন্য করণীয়ঃ
●▪০১) হযরত থানবী (রহঃ) বলেনঃ
——-“কারো গীবত করে ফেললে যার গীবত করা হয়েছে তার কাছে গিয়ে জানাবে যে, আমি আপনার গীবত করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করে দিন।”
●▪০২) মুখ খোলার পূর্বে চিন্তা করা যে, যা বলতে যাচ্ছি তাতে গুনাহ হবে না তো?
●▪০৩) মেয়েদের গীবত রোগের বড় চিকিৎসা হলো, এক স্থানে জমা না হওয়া। কেননা, তারা নিজের বাড়ী বা একাকী থাকলে গীবত হয় না। কিন্তু যেই সে বাইরে যায় বা বাড়ীতে অন্য মেয়েরা আসে তখনই ‘গীবত-শেকায়েত শুরু হয়।
●▪০৪) ভাল কথাও বেশি না বলা। কেননা, ভাল ভাল কথা দীর্ঘ হলে মাঝে মাধ্যে অসতর্কবশত দোষ বের হয়ে যায়।
●▪০৫) অপরকে সব সময় নিজের থেকে ভালো মনে করা। ফলে তার দোষ চোখে না পড়ায় পরে তার গীবত হবে না।
●▪০৬) যেসব মহিলা গীবতে অভ্যস্ত, তাদের কাছে না যাওয়া। গেলেও গীবত করার সুযোগ না দেওয়া।
●▪০৭) গীবত করতে মনে চাইলে গীবতের দুনিয়াবী এবং পরকালীন পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করা ইত্যাদি।
■▪মহান আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার ও সকল প্রকার হিংসা, বিদ্বেষ এবং গীবত করা থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা, কবুল এবং হিফাযত করুন (আ-মীন)।।