kon sura porle koborer ajab maf hobe 2025 free
কোন সূরা পড়লে কি হয় | kon sura porle koborer ajab maf hobe 2025 free
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- কোন সূরা পড়লে কি হয়, কোন সূরা পড়লে কবরের আযাব মাফ হয়, কোন সূরা পড়লে মনের আশা পূরণ হয়, কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়, কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়, কোন সূরা পড়লে রোগ ভালো হয়।তো দেরি না করে আসুন আজ আমরা জেনে নিই কোন সূরা পড়লে কি হয়।
কোন সূরা পড়লে কবরের আজাব মাফ হয়
“নিয়মিত সূরা আল মূলক পাঠ করলে কবরের আজাব হতে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।ʼʼ
তিরিমিজি শরিফে এসেছে, মহানবী হজরত মুহম্মাদ (সা.) সূরা আল-মূলক পাঠ না করে ঘুমাতে যেতেন না।
সূরা আল মূলক রাতের বেলা পড়া উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে। এ সূরাটি অর্থ বুঝে নিয়মিত পড়ার তাৎপর্য রয়েছে। এই সূরা সালাতের সঙ্গে পড়াও উত্তম। মুখস্ত না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যাবে। হাদিসে আছে, সূরা আল মূলক “একচল্লিশবারʼʼ পাঠ করলে সমস্ত বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এ সূরা পাঠে কবরের আজাব থেকে বাঁচা যায়।
“নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেন, ‘সূরা আল মুলক (তিলাওয়াতকারীকে) কবরের আজাব থেকে প্রতিরোধকারী।ʼʼ
কোন সূরা পড়লে মনের আশা পূরণ হয়
আবু সোলায়মান দারানী বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন প্রার্থনা করতে চায়, তার উচিত প্রথমে দরূদ পাঠ করা এবং দরূদ দ্বারা
দোয়া শেষ করা কেননা, আল্লাহ উভয় দরূদ কবুল করেন।ʼʼ
> রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; যখন তোমরা আল্লাহর নিকট চাও তখন আমার প্রতি দরূদ পাঠ কর।”
“আল্লাহর শান এরূপ নয় যে, কেউ তার কাছে (দুইটি) জিনিস চাইলে একটি পূর্ণ করবেন এবং অপরটি করবেন না।ʼʼ
“সূরা এখলাছ তিনবার পাঠ করে আল্লাহ্’র দরবারে দোয়া করলে আল্লাহ্ নেক আশা পূর্ন করেন।ʼʼ
“যে ব্যক্তি দৈনিক এশার নামাজ পর এই পাক নামটি ইয়া জাহিরু ১০০বার পাঠ করে তার মনের সকল নেক বাসনা পূর্ণ হয়।ʼʼ
কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়
কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয় তা জানতে চাইলে নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।
কোন সূরা পড়লে রোগ ভালো হয়
নিচের দেওয়া ভিডিওটি দেখে জেনে নিন কোন সূরা পড়লে রোগ ভালো হয়ে যায়।
Read More: সূরা আন নাবা 2025 Free
ইসলামে কুরআনের বিভিন্ন সূরার বিশেষ ফজিলত ও উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে কিছু সূরার নাম ও তাদের পড়ার ফলে যা ঘটতে পারে তা উল্লেখ করা হলো:
১. কবরের আযাব মাফ
সূরা মুলক (সুরা 67): এ সূরাটি প্রতিদিন রাতে বা অন্তত সপ্তাহে একবার পড়লে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা করা যায়। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, এটি কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে।
২. মনের আশা পূরণ
সূরা ইলাহাব (সূরা 94): এটি আশা এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য পড়া হয়। বিশ্বাসীরা আল্লাহর উপর ভরসা করে আশা পূরণের জন্য এই সূরাটি পাঠ করতে পারেন।
৩. বিপদ দূর
সূরা কাহফ (সূরা 18): এটি বিপদ এবং পরীক্ষার সময়ে পড়লে অনেক শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। বিশেষত শুক্রবারে এই সূরা পড়ার ফজিলত রয়েছে।
৪. দোয়া কবুল
সূরা ফাতিহা (সূরা 1): এটি দোয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহর কাছে সকল প্রকারের দোয়া কবুল করার জন্য পড়া হয়। সূরাটি নামাজের অংশ হিসাবেও পড়া হয়।
৫. রোগ ভালো হওয়া
সূরা ইসরা (সূরা 17): এটি রোগীকে পড়লে এবং বিশেষ দোয়ার সাথে সংযুক্ত করলে রোগ থেকে মুক্তির আশ্বাস দেওয়া হয়।
৬. নিরাপত্তা ও শান্তি
সূরা ইখলাস (সূরা 112): এটি পড়লে আল্লাহর সান্নিধ্য এবং নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৭. কঠিন পরিস্থিতিতে সহায়তা
সূরা দুআ (সূরা 2:186): আল্লাহ বান্দাদের কষ্টের সময়ে সাহায্য করবেন, এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার
কুরআনের সূরা পড়ার মাধ্যমে মানুষের জীবন থেকে নানা প্রকারের সমস্যা, রোগ এবং দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে, সূরা পড়ার সাথে সাথে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ইতিবাচক মনোভাব রাখা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন এবং দোয়া কবুল করুন। আমিন।