Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা পিডিএফ | Bangabandhu and Bangladesh essay pdf free 2025 | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১৫০ ৫০০ ৮০০ ১০০০ ১২০০ ২০০০ শব্দের

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা পিডিএফ | Bangabandhu and Bangladesh essay pdf 

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা পিডিএফ খুজতে আসছেন? টাইম অফ বিডির সকল পাঠক বৃন্দকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা | রচনা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দ

    প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা, রচনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশবঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১৫০ শব্দ নিয়ে হাজির হয়েছি।

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৮০০ শব্দের | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৫০০ শব্দ

    তোমরা অনেকেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৮০০ শব্দেরবঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৫০০ শব্দ এই রচনাটির জন্য অনুরোধ করেছ। বিশেষ করে যারা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখছ তারা। আশা করছি রচনাটি তোমাদের উপকারে আসবে এবং তোমদের অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য ভালো নম্বর বয়ে আনবে।

    বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রচনা ১২০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ২০০০ শব্দ

    বাংলাদেশের কথা বললেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি চলে আসে। প্রায়ই বিভিন্ন পরীক্ষায়, অ্যাসাইনমেন্টে Bangabandhu and Bangladesh essay pdf, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১২০০ শব্দবঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ২০০০ শব্দ রচনা লিখতে হয়। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাই তাঁকে নিয়ে গবেষণা ও চর্চা হবে যুগ যুগ ধরে।

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা 1000 শব্দ | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১০০০ শব্দের

    আমরা অনেকেই তাঁর জীবনী সঠিকভাবে জানি না। তাই বিভিন্ন পরীক্ষায় কিংবা অ্যাসাইনমেন্টে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা 1000 শব্দবঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১০০০ শব্দের নিয়ে লিখতে বলা হলে অনেকেই পর্যাপ্ত তথ্যবহুল রচনা লিখতে পারেন না। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য উপস্থাপন করছি “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা” শিরোনামের প্রবন্ধটি। আশা করি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনারা এই প্রবন্ধ থেকে অনেক তথ্যবহুল ঘটনা ও ইতিহাস জানতে পারবেন।

    রচনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ | বঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ রচনা

    তাই আমরা এখন রচনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশবঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ রচনা নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা পিডিএফ | Bangabandhu and Bangladesh essay pdf free 2025 | বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১৫০ ৫০০ ৮০০ ১০০০ ১২০০ ২০০০ শব্দের

    ভূমিকা

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাকে আমরা জাতির পিতা নামে আখ্যায়িত করি। তিনি আমাদের বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কারন তার জন্য আমার পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র। আমরা পৃথিবীর বুকে গর্ব করে বলতে পারি আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা মনে করি যদি মুজিবের জন্ম না হতো তাহলে আজো হয়তো আমরা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতাম! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার অগ্রদূত। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে হয়তো আজও বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন করতে পারতো না এবং পরাধীনতার শিকলে আজও আবদ্ধ থাকতো। আমাদের সকলের মাতৃভূমি বাংলাদেশ একসময় ছিল বিদেশী শত্রুদের দখলে। সেই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে দেশ কে স্বাধীন করার লক্ষ্যে নিজের জীবন বাজি রেখে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। পৃথিবীতে যত মহান ব্যাক্তিত্ব রয়েছেন তাদের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে প্রথম কাতারে। তার অসামান্য নেতৃত্বের দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দেশের সর্বস্তরের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধ অনুপ্রাণিত করতে। এবং দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়ে গিয়েছেন শত্রুদের বিরুদ্ধে। ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের । আমরা পেয়েছি একটি নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্র এবং স্বাধীনতার স্বাদ।

    বঙ্গবন্ধুর জন্ম পরিচয়

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয় ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলা) অন্তর্ভুক্ত পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ (বাংলা ১৩২৭ বঙ্গাব্দের ৩রা চৈত্র) তারিখে। পরিবারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই আদরের। তাকে ছোট বেলায় আদর করে ডাকা হতো খোকা নামে। বঙ্গবন্ধু ছয় ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তার পিতার নাম ছিল শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দায়েরা আদালতের সেরেস্তাদার। তার নাম শেখ মুজিবুর রহমান রেখেছিলেন তার নানা আব্দুল মাজিদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলের ছোট বেলা থেকেই মানুষের প্রতি দয়াশীল এবং অপরের প্রতি সাহায্য করাই ছিল তার প্রধান কাজ।

    শিক্ষা জীবন

    গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবনের সুত্রপাত ঘটে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে। সাত বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু প্রথম স্কুলে ভর্তি হন। এবং ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গোপালগঞ্জ পাবলিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হন। তার পিতা লুৎফর রহমান বদলি হয়ে ফরিদপুর যাওয়ার সূত্রে তিনি ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে মাদারিপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে ভর্তি হয়। এবং সেখানে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যান। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ১৯৩৪ সালে তিনি জটিল বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হয়ে যান। যার ফলে তার হৃদপিণ্ড দূর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও ১৯৩৬ সালে তার চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে যার ফলে জটিল অপারেশন করতে হয়। দীর্ঘ সময় তাকে এই সমস্যায় ভুগতে হয়। যার ফলে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তার লেখাপড়া সম্পুর্ন রুপে স্থগিত রাখতে হয়। সুস্থ হবার পর সপ্তম শ্রেণিতে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তি হন। এবং তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে। এবং কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মওলানা আজাদ কলেজ) থেকে আই.এ পাশ করেন ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে।

    রাজনৈতিক জীবন

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলি প্রকাশ পায় স্কুল জীবন হতেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এছাড়াও তার ভাষা আন্দোলনেও ছিল অগ্রনী ভূমিকা। ১৯৪৭ দেশভাগের সময় শেখ মুজিব ছিলেন একজন তরুণ ছাত্র নেতা। দেশ ভাগের সময়ও তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তী কালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অভিষিক্ত হন। এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেন। তার ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরপরে ছয় দফা দাবি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এবং রাজনৈতিক কারনে ও দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রামের কারনে তিনি বহুবার জেলও খেটেছেন।

    শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু এরপরেও দেশ চালানোর জন্য এবং নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা হতে বঞ্চিত করা হয় তাদের। এর জন্য পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ ক্ষেভে ফেটে পড়ে। এবং নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি যখন বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যায়। যার ফলে ৭ই মার্চের ভাষনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এবং তার এই ভাষনের মাধ্যমে তিনি সর্বসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন মুক্তিযুদ্ধের জন্য।

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শব্দ দুইটি একবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারন বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজকের বাংলাদেশ হয়তো আমরা পেতাম না। বাংলাদেশ শব্দের মুলে হলো শেখ মুজিব। কারন তৎকালীন সময় আমাদের দেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। এবং আমাদের এই পূর্ব পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে।
    তবে আমরা ছিলাম পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় সম্পদ ও জনবলে বেশি। তারপরও আমাদের ছিল না কোন স্বাধীনতা। পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা ছিল উর্দু ৫২ তে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের কারনে তারা ব্যার্থ হয়। এবং বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। আর এই রকমই বিভিন্ন পদে পদে তারা আমাদের উপর জুলুম শুরু করে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের অধিকার লুন্ঠন এবং এদেশের সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের কাজ। আর এই শোষণ থেকে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করতেই জন্ম হয় শেখ মুজিবের।

    বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

    তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লিগের সভাপতি হন। এবং সে সময় পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু ইয়াহিয়া খান সংসদের ডাক দিতে দেরি করেন। যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানিদের অর্থাৎ বাঙ্গালীদের বুঝতে আর অসুবিধা হয় না যে, তারা ভোটে জয়লাভ করেও কখনোই ক্ষমতা লাভ করতে পারবেনা। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে তার সেই ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন দেয়। এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দেয়। তার ভাষনের মূল কথাটি ছিল

    এই ভাষনের ফলে বাঙ্গালীর মনে স্বাধীনতার চেতনার জাগরণ হয়। এবং বাঙ্গালী জাতী ও স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এর ফালে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং মুজিব সহ আরো নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে।কিন্তু জনসাধারণের চাপে তারা বেশিদিন মুজিবকে জেলে আটকে রাখতে পারে নাই।

    বরং পরবর্তীতে পরিস্থিতি আরো জটিল হলে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী মেতে ওঠে ভয়াবহ হত্যা কান্ডে। এবং বিপুল পরিমানে মানুষকে তারা খুন করে। তাদের এই হত্যাকান্ড ছিল মানবতা বিবর্জিত এবং ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃন্য হত্যা কান্ড। তারা ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে। এই হত্যা কান্ডে তাদের সহযোগিতা করে আমাদের দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার যাদেরকে রাজাকার নামে আখ্যায়িত করা হয়। এই দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে তারা পরাজয় স্বীকার করে। এবং আমরা পাই বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

    ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে যখন আওয়ামী লীগ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় ঠিক তখনই মূলত সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধের। শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিপুল মানুষের মাঝে তার সেই ঐতিহাসিক ভাষন দেন। এবং তিনি সেই ভাষনে বলেন “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” তার এই জ্বালাময়ী ভাষনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। এরই মধ্যে পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ মধ্য রাতে এদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষের উপর গনহত্যা চালায়। যার ফলে বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। এবং খুব অল্প সময়ের ভিতরেই তৈরি হয় মুক্তিবাহিনীর। তারা তাদের জীবন বিপন্ন করে গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কুটনৈতিক ভাবে সাহায্য করে। এবং এসময় পাকিস্তান সরকার বুঝতে পারে তাদের পরাজয় অনিবার্য তাই দারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে রুপ দেয়। এসময় তারা ভারতে বিমান হামলা চালায় যার ফলে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যায়। এবং বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে তারা পরাজয় শিকার করে। এবং দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

    স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠন

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বিজয় অর্জন করার পরে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিচিতি লাভ করলেও। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত রাষ্ট্র পুর্নগঠনেও ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা। বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি এবং দেশের দারিদ্র্য এবং শিক্ষার প্রসার সহ সকল ক্ষেত্রে তারা অসামান্য সুন্দর এবং সুষ্ঠু নেতৃত্বের পরিচয় দেন। এবং তিনি শিক্ষার প্রসারে প্রথমিক শিক্ষায় ১৬৫০০০ শিক্ষক নিয়োগ দেন। এবং ভিটেমাটি হীনদের জন্য পূনর্বাসনের ব্যাবস্থা করেন।

    ইতিহাসের ঘৃণিত হত্যাকান্ড

    স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৪ সালে হত্যা করা হয়। যা বাঙ্গালী জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। মূলত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দ্বারাই সংগঠিত হয়েছিল এই হত্যাকান্ড। ১৫ আগস্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিল তারা। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করার ফলে তাদের হত্যা করতে ব্যার্থ হয় এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি।

    উপসংহার

     বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ হচ্ছে একই শব্দের প্রতিশব্দ। কারন এর প্রতিটি শব্দের সাথে প্রতিটি শব্দ জড়িত। যেমন বঙ্গবন্ধু না আসলে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হতো না। তেমনি মুক্তিযুদ্ধ না হলে এদেশে স্বাধীনতার সূত্রপাত হতো না এবং সৃষ্টি হতো না স্বাধীন বাংলাদেশের। তবে আমাদের কখনোই ভূলে গেলে চলবে না এখনো এদেশে টিকে আছে কিছু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এবং তারা প্রতিটি পদক্ষেপে দেশকে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায় এবং স্বাধীনতার গৌরবকে কলুষিত করতে চায়। তাই এদের সকলের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমাদের সকলকে একজোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার আত্মাকে আমরা শান্তি দিতে পারবো।

    প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। আর যারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা, রচনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ১২০০ শব্দ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা ৫০০ শব্দের নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তারাও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    Leave a comment