সূরা কাহাফ কত পারায় 2025 Free
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- সূরা কাহাফ কত পারায়, সূরা আর রহমান কত পারায়, সূরা ইউসুফ কত পারায়, সূরা ইয়াসিন কত পারায়, সূরা আর রহমান কত পারায় আছে, সূরা হাশর কত পারায়, সুরা ইয়াসিন কত পারায়, ইয়াসিন সূরা কত পারায় আছে, সুরা মুলক কত পারায় আছে, সূরা ওয়াকিয়া কত পারায় আছে।
সূরা কাহাফ কত পারায়
অবতীর্ণের স্থানঃ মক্কী সূরা
নামের অর্থঃ গুহা
সূরার ক্রমঃ ১৮
আয়াতের সংখ্যাঃ ১১০ (২১৪১-২২৫০)
পারার ক্রমঃ ১৫ (১-৭৪ আয়াত) , ১৬ (৭৫-১১০ আয়াত)
রুকুর সংখ্যাঃ ১২
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সূরা আর রহমান কত পারায় / সূরা আর রহমান কত পারায় আছে
অবতীর্ণের সময় ও স্থানঃ মাক্কী সূরা , মদীনায় হিযরাতের পূর্বে
নামের অর্থঃ পরম দয়াময় আল্লাহ
সূরার ক্রমঃ ৫৫
আয়াতের সংখ্যাঃ ৭৮ (৪৯০২-৪৯৭৯)
পারার ক্রমঃ ২৭
রুকুর সংখ্যাঃ ৩
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সূরা ইউসুফ কত পারায়
অবতীর্ণের স্থানঃ মক্কী সূরা
নামের অর্থঃ নবী ইউসুফ
সূরার ক্রমঃ ১২
আয়াতের সংখ্যাঃ ১১১ (১৫৯৭-১৭০৭)
পারার ক্রমঃ ১২ (১-৫২ আয়াত) , ১৩ (৫৩-১১১ আয়াত)
রুকুর সংখ্যাঃ ১২
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সূরা ইয়াসিন কত পারায় / ইয়াসিন সূরা কত পারায় আছে
অবতীর্ণের স্থানঃ মক্কী সূরা
নামের অর্থঃ ইয়াসীন
সূরার ক্রমঃ ৩৬
আয়াতের সংখ্যাঃ ৮৩ (৩৭০৬-৩৭৮৮)
পারার ক্রমঃ ২২ এবং ২৩
রুকুর সংখ্যাঃ ৫
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সূরা হাশর কত পারায়
অবতীর্ণের স্থানঃ মাদানী সূরা
নামের অর্থঃ সমাবেশ
সূরার ক্রমঃ ৫৯
আয়াতের সংখ্যাঃ ২৪ (৫১২৭-৫১৫০)
পারার ক্রমঃ ২৮
রুকুর সংখ্যাঃ ৩
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সুরা মুলক কত পারায় আছে
অবতীর্ণের স্থানঃ মাক্কী সূরা
নামের অর্থঃ সার্বভৌম কর্তৃত্ব
সূরার ক্রমঃ ৬৭
আয়াতের সংখ্যাঃ ৩০ (৫২৪২-৫২৭১)
পারার ক্রমঃ ২৯
রুকুর সংখ্যাঃ ২
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
Read More: সূরা আন নাবা 2025 Free
সূরা ওয়াকিয়া কত পারায় আছে
অবতীর্ণের স্থানঃ মাক্কী সূরা
নামের অর্থঃ নিশ্চিত ঘটনা
সূরার ক্রমঃ ৫৬
আয়াতের সংখ্যাঃ ৯৬ (৪৯৮০-৫০৭৫)
পারার ক্রমঃ ২৭
রুকুর সংখ্যাঃ ৩
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
সূরা কাহাফ, আর রহমান, ইউসুফ, ইয়াসিন, হাশর, মুলক ও ওয়াকিয়া: বিস্তারিত আলোচনা
কুরআন মজিদে প্রতিটি সূরার গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এখানে আমরা উল্লেখিত সূরাগুলোর পারা, তাদের বিষয়বস্তু ও পাঠের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবো।
১. সূরা কাহাফ
পারা সংখ্যা: 15
সূরা কাহাফ কুরআনের 18তম সূরা এবং এটি 110 আয়াত নিয়ে গঠিত। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
সূরা কাহাফে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী উল্লেখ রয়েছে, যেমন:
- যুহর ও ইয়াজুজ-মাজুজ: যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
- মুসা (আ.) ও খিজির: এই কাহিনীতে শিক্ষার মহত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
- দুটো উদ্যান: এক ধনী ব্যক্তির উদ্যান ও তার অধঃপতনের কাহিনী।
ফজিলত
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ে, সে সপ্তাহের জন্য আল্লাহর রক্ষা পায়।”
২. সূরা আর রহমান
পারা সংখ্যা: 27
সূরা আর রহমান হলো কুরআনের 55তম সূরা, যা 78 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
সূরা আর রহমান আল্লাহর অনুগ্রহ, তাঁর সৃষ্টি এবং মানবতার প্রতি দয়া ও করুণার কথা উল্লেখ করে।
ফজিলত
এই সূরায় বারবার “ফাবি এয়া আলা রাব্বিকুমা তুকাযিবান” বলা হয়েছে, যা আল্লাহর অনুগ্রহের দিকে ইঙ্গিত করে।
৩. সূরা ইউসুফ
পারা সংখ্যা: 12
সূরা ইউসুফ কুরআনের 12তম সূরা এবং এটি 111 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
সূরা ইউসুফ মূলত নবী ইউসুফ (আ.) এর জীবনের কাহিনী নিয়ে গঠিত। এই কাহিনীতে অনুরাগ, বিশ্বাস ও ধৈর্যের শিক্ষা রয়েছে।
ফজিলত
এই সূরা পড়লে হৃদয়ে শান্তি আসে এবং সমস্যাগুলো সহজ হয়ে যায়।
৪. সূরা ইয়াসিন
পারা সংখ্যা: 36
সূরা ইয়াসিন হলো কুরআনের 36তম সূরা, যা 83 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
এই সূরা তাওহীদের গুরুত্ব, মৃত্যু ও পরকালের জীবনের আলোচনা করে।
ফজিলত
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “সুন্দরভাবে সূরা ইয়াসিন পড়লে হৃদয়ের শান্তি আসে এবং দোয়া কবুল হয়।”
৫. সূরা হাশর
পারা সংখ্যা: 28
সূরা হাশর হলো কুরআনের 59তম সূরা, যা 24 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মদীনার যুগে অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
এই সূরা মূলত ইহুদিদের সম্পর্কে আলোচনা করে এবং মুসলমানদের জন্য সতর্কবার্তা প্রদান করে।
ফজিলত
সূরা হাশর পড়লে আল্লাহর রহমত ও দয়া লাভের আশ্বাস রয়েছে।
৬. সূরা মুলক
পারা সংখ্যা: 67
সূরা মুলক হলো কুরআনের 67তম সূরা, যা 30 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
এই সূরা আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব ও মানুষের পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করে।
ফজিলত
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতে সূরা মুলক পড়বে, আল্লাহ তার জন্য কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।”
৭. সূরা ওয়াকিয়া
পারা সংখ্যা: 56
সূরা ওয়াকিয়া হলো কুরআনের 56তম সূরা, যা 96 আয়াত নিয়ে গঠিত। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিষয়বস্তু
এই সূরা মানুষের পরকালে জীবন, জান্নাত ও জাহান্নামের কাহিনী নিয়ে আলোচনা করে।
ফজিলত
সূরা ওয়াকিয়া পড়লে উন্নতি ও প্রাচুর্য লাভের আশা করা যায়।
উপসংহার
উপরোক্ত সূরাগুলো কুরআনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিটি সূরার নিজস্ব ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত এই সূরাগুলো পড়া এবং এর অর্থ বোঝা মুসলমানদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
আল্লাহ আমাদের সবার নামাজ ও তেলাওয়াত কবুল করুন। আমিন।