Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

সূরা বাকারার শেষ আয়াত 2024 Free

সূরা বাকারার শেষ আয়াত, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত, বাকারার শেষ তিন আয়াত, সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত, সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত।
সূরা বাকারার শেষ আয়াত 2024 Free 1

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয়  ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- সূরা বাকারার শেষ আয়াত, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত, বাকারার শেষ তিন আয়াত, সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত, সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত।

সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত / সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত | সূরা বাকারার শেষ আয়াত

لِّلَّهِ ما فِي السَّمَاواتِ وَمَا فِي الأَرْضِ وَإِن تُبْدُواْ مَا فِي أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ اللّهُ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَاء وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاء وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

বাংলা উচ্চারণ:- 

(284)  লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

বাংলা অনুবাদ:-

(284)  যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।

Read More: সূরা আত তারিক্ক, আত ত্বীন ও সূরা আত তাকবীর 2024 Free

آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

বাংলা উচ্চারণ:-

(285)  আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

সূরা বাকারার শেষ আয়াত বাংলা অনুবাদ:-

(285)  রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

সূরা বাকারার শেষ আয়াত, বাংলা উচ্চারণ:- 

(286)   লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

বাংলা অনুবাদ:-

(286)  আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত / সূরা বাকারার শেষ আয়াত 

آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

বাংলা উচ্চারণ:-

(285)  আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

বাংলা অনুবাদ:-

(285)  রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

বাংলা উচ্চারণ:- 

(286)   লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

বাংলা অনুবাদ:-

(286)  আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত কুরআনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়াতগুলো মহান আল্লাহর ক্ষমা, দয়া, এবং মুসলমানদের জন্য প্রার্থনার আহ্বান প্রকাশ করে। অনেক হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়লে তা যথেষ্ট সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। এটি আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা এবং তাওয়াক্কুলের নির্দেশ দেয়।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ:

আয়াত ২৮৫:

বাংলা উচ্চারণ:

আমানার রাসূলু বিমা উনজিলা ইলাইহি মির রব্বিহি ওয়াল মুমিনূন।
কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহি, ওয়াকালু সামিঈনা ওয়া আতাআনা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়াইলাইকাল মাসির।

অর্থ:

রাসূল বিশ্বাস করেছেন যা তার প্রতি নাজিল করা হয়েছে তার রবের পক্ষ থেকে, এবং মুমিনগণও বিশ্বাস করেছেন। তারা সবাই আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলদের প্রতি বিশ্বাস করেছেন। তারা বলে, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। তারা আরও বলে, আমরা শুনলাম এবং মান্য করলাম। হে আমাদের রব, তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি, এবং তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করব।

আয়াত ২৮৬:

বাংলা উচ্চারণ:

লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস’আহা, লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত, রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন নাসিনা আও আখতআ’না, রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইস’রান কামা হামালতাহু আলাল্লাযিনা মিন কাবলিনা, রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা ত্বা’কাতালানা বিহি, ওয়া’ফু আন্না, ওয়াগফির লানা, ওয়ারহামনা, আনতা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরিন।

অর্থ:

আল্লাহ কারো ওপর তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেন না। সে যা অর্জন করেছে তার ফল পাবে, আর যা করেছে তা তার ওপর বর্তাবে। হে আমাদের রব, যদি আমরা ভুলে যাই বা ভুল করি, তবে আমাদের ধরা দিয়ো না। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে ছিলে। হে আমাদের রব, আমাদের এমন বোঝা বহন করিও না, যা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। আমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করো, আমাদের পাপ মার্জনা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমি আমাদের অভিভাবক, অতএব অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করো।


সূরা বাকারার শেষ আয়াত | সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত:

  • নিরাপত্তা ও সুরক্ষা: নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে এই আয়াতগুলো পড়বে, তার জন্য এই আয়াতগুলো যথেষ্ট হবে (সুরক্ষার জন্য)।
  • আল্লাহর প্রতি আস্থা: এই আয়াতগুলোতে আমাদের সমস্ত কাজের জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • ক্ষমা প্রার্থনা: এতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অতীতের ভুল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোয়া রয়েছে।

সূরা বাকারার শেষ আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত নিয়মিত পাঠ করার সুফল:

  1. মানসিক প্রশান্তি লাভ করা।
  2. আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা।
  3. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া।
  4. জীবনের নানা পরীক্ষায় আল্লাহর সাহায্য লাভ করা।

উপসংহার:

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত হলো আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল, ক্ষমা প্রার্থনা এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়ার অন্যতম প্রধান অংশ। নিয়মিত এই আয়াতগুলো পাঠ করলে একজন মুমিন দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য কল্যাণ লাভ করতে পারে।

Leave a comment