Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা | Rabindranath Tagore’s Epic Poem ‘Shesher Kobita

    শেষের কবিতা উপন্যাস

    এই উপন্যাস নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট। সো চলুন শুরু করি।

    সারসংক্ষেপ

    শেষের কবিতা সারসংক্ষেপ নিচে আমরা শেয়ার করেছি। আপনি পড়ে নিবেন। চাইলে পিডিএফ আকারে মোবাইলে ডাঊনলোড ও অরে নিতে পারবেন।

    শেষের কবিতা কোন ধরনের রচনা

    এটি কোন ধরনের রচনা যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে তাহলে আমরা বলবো, শেষের কবিতা আসলে একটি উপন্যাস। এটি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী একটি প্রেমালাপপূর্ন উপন্যাস।
    শেষের কবিতা

    শেষের কবিতা |

    শেষের কবিতা
    – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?
    তারি রথ নিত্য উধাও।

    জাগিছে অন্তরীক্ষে হৃদয় স্পন্দন
    চক্রে পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।

    ওগো বন্ধু,
    সেই ধাবমান কাল
    জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল

    তুলে নিল দ্রুত রথে
    দু’সাহসী ভ্রমণের পথে

    তোমা হতে বহু দূরে।
    মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
    পার হয়ে আসিলাম।

    আজি নব প্রভাতের শিখর চুড়ায়;
    রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
    আমার পুরানো নাম।

    ফিরিবার পথ নাহি;
    দূর হতে যদি দেখ চাহি
    পারিবে না চিনিতে আমায়।
    হে বন্ধু বিদায়।

    কোনদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে
    বসন্ত বাতাসে

    অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
    ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,

    সেইক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
    তোমার প্রাণের প্রাণে, বিস্মৃতি প্রাদোষে

    হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
    হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নে মুরতি।

    শেষের কবিতার কিছু বিখ্যাত কবিতা |

    তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
    সব চেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় –

    সে আমার প্রেম।
    তারে আমি রাখিয়া এলাম

    অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।
    পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে

    কালের যাত্রায়।
    হে বন্ধু বিদায়।

    তোমায় হয়নি কোন ক্ষতি।
    মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃত মুরতি
    যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি

    হোক তবে সন্ধ্যা বেলা-
    পূজার সে খেলা

    ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;
    তৃষার্ত আবেগ বেগে

    ভ্রষ্ট্র নাহি হবে তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে।
    তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে

    যে ভাবরসের পাত্র বাণীর ত’ষায়
    তার সাথে দিব না মিশায়ে

    যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।
    আজও তুমি নিজে

    হয়তো বা করিবে বচন
    মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন

    ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
    হে বন্ধু বিদায়।

    মোর লাগি করিয়ো না শোক-
    আমার রয়েছে কর্ম রয়েছে বিশ্বলোক।

    মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
    শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।

    উৎকণ্ঠা আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
    সে ধন্য করিবে আমাকে।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা

    শুক্লপক্ষ হতে আনি
    রজনীগন্ধার বৃন্তখানি

    যে পারে সাজাতে
    অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে

    সে আমারে দেখিবারে পায়
    অসীম ক্ষমায়

    ভালমন্দ মিলায়ে সকলি,
    এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।

    তোমারে যা দিয়েছিনু তার
    পেয়েছ নিঃশেষ অধিকার।

    হেথা মোর তিলে তিলে দান,
    করুণ মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান

    হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম,
    ওগো নিরূপম,

    হে ঐশ্বর্যবান
    তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,

    গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
    হে বন্ধু বিদায়।

    Tags: Rabindranath Tagore’s Epic Poem ‘Shesher Kobita , Rabindranath Tagore’s Epic Poem ‘Shesher Kobita

    Leave a comment