Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

কোরআনের উক্তি | ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি 2025 Free

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের সবাইকে টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে জানাই সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন । আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি।আপনারা অনেকে বিভিন্ন উক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যে উক্তিগুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন উক্তি গুলো নিয়েই আমরা আজকের পোস্টটি হাজির করেছি আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যে যে উক্তিগুলো এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো কোরআনের উক্তি , হযরত আলীর উক্তি, ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি , ইসলামের উক্তি, ইসলামিক জীবনের উক্তি, জ্ঞানীদের উক্তি, জ্ঞানের উক্তি, জ্ঞান মূলক উক্তি

কোরআনের উক্তি

সমস্ত মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে নাযিল হয়েছে আল কোরআন এটি এমন একটি কিতাব যেখানে মানুষের যাবতীয় জীবনের সকল বিষয় সম্পর্কে নির্দেশনা আছে তাই আমরা কোরানের অনেকগুলো উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছি আশা করছি এগুলো আপনাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে সহায়তা করবে

যারা জ্বিন এবং মানুষ — আন-নাস

তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে — আল-ফালাক্ব

ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না — আল-মাসাদ

তুমি দেখবে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে — আন-নসর

তোমাদের ধর্ম তোমাদেরই থাকুক, আমার ধর্ম আমার — আল-কাফিরুন

তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো —আল-কাউছার

তাই, নামাজিরা শেষ হয়ে যাক —আল-মাউন

যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিয়েছেন —আল-কুরাইশ

তুমি কি দেখোনি তোমার প্রভু হাতিওয়ালাদের কী অবস্থা করেছিলেন? —আল-ফীল

যারা পেছনে কথা লাগায়, সামনাসামনি অপমান করে —এরা সব শেষ হয়ে যাক —আল-হুমাযাহ

একে অন্যকে সত্যের প্রতি তাগাদা দেয় এবং ধৈর্য-নিষ্ঠ হতে তাগাদা দেয়—আল-আসর

বেশি-বেশি পাওয়ার প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে—আত-তাকাছুর

কে তোমাকে ধারনা দেবে সেই ভীষণ আঘাত সম্পর্কে?—আল-ক্বারিআহ

মানুষ তার রবের অনুগ্রহ স্বীকার করে না —আল-আদিয়াত

মানুষ হতভম্ব হয়ে বলবে, “কী হচ্ছে এর!” —আয-যালযালাহ

যারা বিশ্বাস করেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তারাই হচ্ছে সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ —আল-বাইয়িনাহ

আমি একে নাজিল করেছি এক মহান রাতে — আল-ক্বদর

পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন —আল-আলাক্ব — পর্ব ১

তিনি মানবজাতিকে শিখিয়েছেন, যা তারা জানত না — আল-আলাক্ব — পর্ব ২

নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর খাঁড়া গঠনে সৃষ্টি করেছি —আত-ত্বীন পর্ব ১

এরপরও কীভাবে তুমি বিচার দিনকে অস্বীকার করতে পারো? — আত-তীন পর্ব ২

অবশ্যই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি —আল-ইনশিরাহ

তোমার রব তোমার উপর যা অনুগ্রহ করেছেন, তা অন্যকে জানাতে থাকো। —আদ-দুহা

তার সম্পদ তার পতনকে ঠেকাতে পারবে না —আল-লাইল

তারপর তাকে তার অবাধ্যতা এবং বাধ্যতার বোধ দেওয়া হয়েছে — আশ-শামস

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য — আল-বালাদ পর্ব ১

আমি কি তাকে ভালো-মন্দের পরিষ্কার দুটো পথ দেখিয়ে দেইনি? —আল-বালাদ পর্ব ২

এই শপথ কি বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়?

যেদিন তোমার রব আসবেন সারি সারি ফেরেশতাদের নিয়ে —আল-ফাজর ১৫-৩০

সেদিন কিছু মানুষের চেহারা হবে খুশীতে উজ্জ্বল — আল-গাশিয়াহ পর্ব ১

তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? — আল-গাশিয়াহ পর্ব ২

যিনি সৃষ্টি করে তাকে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন — আল-আ়লা ১-৫ পর্ব ১

যিনি পরিমাপ নির্ধারণ করে দিয়ে পথ দেখিয়েছেন —আল-আ়লা ১-৫ পর্ব ২

তুমি উপদেশ দিতে থাকো, এতে লাভ হোক আর না হোক — আল-আ়লা ৬-১৯ পর্ব ৩

তুমি কি জানো সেটা কী? এক বিদীর্ণকারী নক্ষত্র —আত-তারিক

ওরা বসে বসে দেখছিল বিশ্বাসীদের সাথে কী করা হচ্ছিল —আল-বুরুজ

মানুষেরা শোনো, তুমি প্রতিপালকের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত খাটতেই থাকবে —আল-ইনশিক্বাক

যারা নেওয়ার সময় ঠিকই কানাকড়ি বুঝে নেয় — আল-মুতাফফিফিন

ও মানুষ, কীসে তোমাকে তোমার দয়াময় প্রতিপালকের কাছ থেকে দূরে নিয়ে গেলো? —আল-ইনফিত্বার

যখন জীবন্ত পুতে ফেলা শিশু কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে… —আত-তাকউইর

সে ভ্রু কুচকালো এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো —সূরা আবাসা

আমরা কি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবো? – আন-নাযিয়াত পর্ব ১

কোনটা সৃষ্টি করা বেশি কঠিন: তোমরা, নাকি যে আকাশ তিনি বানিয়েছেন, সেটা? — আন-নাযিয়াত পর্ব ২

কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? — আন-নাবা পর্ব ১

আমি কি তোমাদেরকে জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করিনি? — আন-নাবা

আমি কি তোমাদের ঘুমকে একধরনের বিরতি করে দিইনি? —আন-নাবা ৯

আমি কি তোমাদের উপরে সাতটি সুদৃঢ় সৃষ্টি করিনি —আন-নাবা ১২-১৭

আমি কি আকাশ থেকে অঢেল পানি বর্ষণ করিনি — আন-নাবা ১৪-১৬

 হযরত আলীর উক্তি | ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি | কোরআনের উক্তি

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলীফাআমরা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর  বেশ কয়েকটি উক্তি নিয়ে এই পোস্টটি তৈরি করেছি আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে

►►ত্বরিত ক্ষমা-প্রদর্শন ভদ্রতার নিদর্শন। আর ত্বরিত প্রতিশোধ গ্রহণ হীনতার পরিচায়ক।

►►সম্মুখে তারিফ করে দুষমন সে জন ।

►►যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।

►►তোমার যা ভাল লাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে।

►►যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!

►►মানুষের চরিত্র সত্য ও সুন্দর হলে তার কথাবার্তাও নম্র ভদ্র হয়।

►►অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে।

►►আত্মীয়ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয়বত্সল গরিব ভালো।

►►স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।

►►সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষন।

ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন।

►►যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না।

►►কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।

►►কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।

►►শত্রুরা শত্রুতা করতে কৌশলে ব্যর্থ হলে তারপর বন্ধুত্বের সুরত ধরে।

►►মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।

►►হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে।

►►যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে।

►►বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না।

►►হযরত আলী (রাঃ) মতে নিন্মলিখিত কারণসমুহ দেখা দিলে ক্ষমতাসীনদেরকে রাজ্য-হারা হতে হয়।

(ক) অযোগ্য অনুপযুক্ত লোকের হাঁতে রাজ্য ক্ষমতা থাকলে।

(খ) যোগ্য ব্যক্তিকে রাজ্য ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে ।

(গ) দেশ হতে সুবিচার চলে গেলে। ( কেননা রাজ্য ক্ষমতা স্থায়িত্বের একমাত্র সোপান হলো সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা)।

(ঘ) মানুষ যখন নীতিহারা হয়ে প্রচলিত আইন ও কর্তব্য কাজে ফাকি দিতে থাকে।

(ঙ) শাসক শ্রেণীর লোকজন বৃহৎ সমস্যাসমূহকে বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করলে।

 ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি

ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি আশা করছি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে পুরো পোস্টটি পড়বেন এবং আপনাদের ভালো লাগবে

নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)”

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের আকৃতি ও ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টি দিবেন। (মুসলিম ২৫৬৪, মুসলিম ৭:৬৩১১ – ইসলামিক ফাউন্ডেশন)”

“হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট তওবা কর, নিশ্চয়ই আমি দিনে আল্লাহর নিকট একশত বার করে তওবা করি। (মুসলিম ২৭০২, বুখারি ৭:৬৬১৩)”

” নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা মৃত্যুর গড়গড়া না আসা পর্যন্ত বান্দার তওবা কবুল করেন। (তিরমিজি ৬:৩৫৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)”

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকাল দিবসের উপর ঈমান রাখে , সে যেন উত্তম কথা বলে; নতুবা চুপ থাকে। (বুখারি ৫:৬১৩৮ তাপা, মুসলিম ১:৮০ ইফাবা)”

“বিপদের প্রথম অবস্থার সবরই প্রকৃত সবর। (বুখারি ২:১২৮৩, তাপা)”

“মু’মিনের অবস্থা ভারী অদ্ভুত। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এই কল্যাণ লাভ করতে পারেনা। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকরিয়া আদায় করে, যা তার জন্য কল্যাণকর। আবার যদি তার সাথে খারাপ কিছু ঘটে, সে ধৈর্যধারণ করে,সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়। (মুসলিম ৭:৭২২৯ ইফা)”

“লড়াইয়ে ধরাশায়ী করাই বাহাদুরি নয়, মূলতঃ বাহাদুর সে, যে রাগের অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।(বুখারি ৬১১৪ – তাপা)”

” এক ব্যক্তি নবী(স) কে বললেন, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি তাকে বললেন, রাগ করোনা। এভাবে তিনি কয়েকবার উপদেশ চাইলেন। আর নবী (স) বললেন, রাগ করোনা। (বুখারি ৬১১৬ তাপা)”

 ইসলামের উক্তি

আপনারা অনেকেই হয়তো ইসলামের উক্তি সম্পর্কে খুঁজছেন কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ইসলামের বেশ কিছু উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছি আশা করছে এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে

মানুষের সাথে সুন্দর ও অমায়িক ব্যবহার করো এবং তাদের দুর্ব্যবহারে কোন কষ্ট পেলে নিজেকে রক্ষা করার জন্য চরম ধৈর্যধারণ করো যেন তুমি বধির, মূক ও অন্ধ; তাদের অসদাচরণকে তুমি অনুভবই করতে পারো নাই।”— হেলাল ইবনে আলা’ রক্কী”,

“কুর’আন থেকে যারা দূরে সরে যায় তাদের অস্থিরতা বেড়ে যায়, তাদের জীবনটা অগোছালো হয়ে যায়, এলোমেলো হয়ে যায়।”— শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী”,

“একজন বান্দার জন্য সবচেয়ে জঘন্য পাপগুলোর একটি হলো তার নিজের পাপকাজগুলোকে ছোট করে দেখা।”— মুহাম্মাদ বিন আবু-বকর আস-সিদ্দিক”,

“একজন মু’মিন কথা কম বলেন এবং আ’মল বেশি করেন, কিন্তু একজন মুনাফিক আ’মল কম করে এবং বেশি কথা বলে।”— আল-আউজা’ই”,

“যখন তোমার বাল্যকাল তখন তুমি অন্য বালক/বালিকদের সাথে খেলাধূলাতে ব্যস্ত থাকো।যখন তোমার যৌবনকাল তখন তুমি আমোদপ্রমোদে ডুবে থেকে অবহেলায় জীবন কাটাও।যখন তুমি বার্ধক্যে পৌঁছে যাও তখন তুমি শক্তিহীন দুর্বল হয়ে পড়ো।তাহলে তুমি কবে কেবল আল্লাহর জন্য তোমার কাজগুলো করবে?”— আবু আল-লাইস আস-সামারকান্দী”,

“একজন সালাফ বলেছিলেন:“যারা সবকিছু থেকে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে ঘুরিয়ে নেয়, আল্লাহও তাদের দিকে পুরোপুরিভাবে ঘুরে যান। যারা আল্লাহর কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরে যায়, আল্লাহও তাদের কাছ থেকে পুরোপুরিভাবে দূরে সরে যান।””,

“যখন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে থাকে, তখন তার উচিত তার সম্মানিত ‘আলেমসুলভ জ্ঞান-বুদ্ধি কোন একটি কোণায় রেখে দিয়ে খুনসুঁটি, হাসিঠাট্টা ও কৌতুক (শুরু) করা যেন তার স্ত্রীর নিজ প্রাপ্যগুলো পেতে পারে।”— ইবনে আকীল”,

“ইমাম আবুল ফারাজ ইবনে আল-জাওযি বলেন:“ইবনে আউন কখনো রাগতেন না। কেউ যদি তাকে রাগিয়ে তুলতো তাহলে তিনি তাকে বলতেন, “আল্লাহ তোমাকে রহম করুক।””,

ইসলামিক জীবনের উক্তি

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই হয়তো ইসলামিক জীবনের বেশ কিছু উক্তি খুঁজছেন আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ইসলামিক জীবনের বেশি চুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে

নিশ্চয়ই একজন বান্দা যতটুকু কর্তব্য পালন করতে পারে তার চাইতে অনেক বেশি পাওয়ার অধিকার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রয়েছে এবং আমাদের প্রতি তার রাহমাত এতটাই বেশি যে তা গুণে শেষ করা সম্ভব নয়। সুতরাং, সকাল এবং সন্ধ্যায় (অর্থাৎ, সারাটা দিন জুড়ে) অনুতাপকারী হোন (ইস্তিগফার করুন)।”— তালক ইবনে হাবীব”,

“আল-ওয়াকি বিন আল-জাররাহ বর্ণনা করেনঃআমরা ঈদের দিন সুফিয়ান আস-সাওরির সাথে বাইরে বের হয়েছিলাম এবং তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আজকের দিনে আমরা প্রথম যে কাজটি করবো তা হলো আমরা আমাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখবো।”

“আমি আশ্চর্য হয়ে যাই সেই চোখগুলোর কথা ভেবে যা কবরের গহন অন্ধকারে ঘুমানোর সময়ের দৈর্ঘ্য জেনেও ঘুমিয়ে থাকে।”— মু’আযাহ বিনতে আবদিল্লাহ আল-বাসরিয়্যাহ”,

“মুনাফিকের জ্ঞান তার কথাবার্তার মাঝে, মু’মিনের জ্ঞান তার কাজের মাঝে।”— আবদুল্লাহ ইবনে আল-মু’তাজ”,- ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি

“নিয়াতের ব্যাপারে শিখুন কেননা এটা কাজের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”— ইয়াহইয়া ইবনে আবি কাসির”,

“আপনার নিজের মেয়ের প্রতি যেমন ব্যবহার করা হোক বলে আশা করেন, আপনার স্ত্রীর প্রতি আপনি তেমন ব্যবহার করুন।” — শাইখ সালিহ আল-উসাইমিন (রহিমাহুল্লাহ)”,- ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি

“যদি আকাঙ্ক্ষা করেন আপনার সম্পদ বৃদ্ধি হোক এবং আপনার পাপগুলো ক্ষমা হোক, তাহলে আপনার সাদাকাহ (দান) করা উচিত।” — শাইখ ইবনে আল-উসাইমিন”,

“সালাফদের কেউ একজন বলেছিলেন: ‘আমার স্ত্রীর জন্য আমি নিজেকে সুন্দর করে প্রস্তুত করতে ভালোবাসি ঠিক যেমনটা ভালোবাসি আমার স্ত্রী আমার জন্য সুন্দর করে সাজলে।’ এটা তো সেই হাদিসটির আওতায় পড়তে পারে: তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।”— শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ বিন উসাইমিন”,

“একজন ব্যক্তি তার অন্তরের পরিশুদ্ধির জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে, এটা যথাযথ একটি কাজ। অন্তরের কাজকর্মের দিকে তার মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। কোন ব্যক্তি তার শরীরের কাজগুলোর প্রতি যতটা যত্ন নেয় তার চেয়ে অবশ্যই অনেক বেশি যত্ন নেয়া উচিত তার অন্তরের কাজগুলোর প্রতি, কেননা শরীরের কাজগুলো ঈমানদার এবং মুনাফিক সকলেই করে।”— শাইখ ইবনে উসাইমিন”,

“সে (পুরুষ লোকটি) যদি সুখী জীবন যাপন করতে চায়, তাকে প্রশস্ত হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উত্তম আচরণ করতে হবে।”— শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন”,

“যদি সুন্নাহ পালন করাকে আপনার ভার (কঠিন) মনে হয়, তাহলে বুঝবেন অন্তর রোগাক্রান্ত হয়েছে।”— শাইখ উসাইমিন”,

“কোন পাপ করার জন্য আপনার কামনা যত বড় হবে, সেই পাপকে এড়িয়ে গেলে আপনার ঈমান তত বড় হবে।”— শাইখ মুহাম্মাদ বিন আল-উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)”,

কোরআনের উক্তি , হযরত আলীর উক্তি, ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি , ইসলামের উক্তি, ইসলামিক জীবনের উক্তি, জ্ঞানীদের উক্তি, জ্ঞানের উক্তি, জ্ঞান মূলক উক্তি কোরআনের উক্তি , হযরত আলীর উক্তি, ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি , ইসলামের উক্তি, ইসলামিক জীবনের উক্তি, জ্ঞানীদের উক্তি, জ্ঞানের উক্তি, জ্ঞান মূলক উক্তি কোরআনের উক্তি , হযরত আলীর উক্তি, ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি , ইসলামের উক্তি, ইসলামিক জীবনের উক্তি, জ্ঞানীদের উক্তি, জ্ঞানের উক্তি, জ্ঞান মূলক উক্তি

জ্ঞানীদের উক্তি

আপনারা হয়তো অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন জ্ঞানী ব্যক্তিদের উক্তি সম্পর্কে খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না কোথাও তাদের জন্য আমরা বেশ কিছু জ্ঞানী ব্যক্তিদের উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছি আশা করছে এগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে

কোন লোক ​যখন পাপ করে, অতঃপর সেগুলোকে তুচ্ছ মনে করে এবং অবজ্ঞা করে, সে পাপগুলো বড় পাপের অন্তর্ভুক্ত।”— ইমাম আল-আউজা’ঈ”,

“যারা রাতের বেলা নামাজে দাঁড়িয়ে থাকে, কিয়ামতের দিন তাদের দাঁড়িয়ে থাকাকে আল্লাহ সহজ করে দিবেন।”— ইমাম আল-আউজা’ঈ”,

“ইমাম আবদুর রহমান আল-আউযা’ঈকে (রাহিমাহুল্লাহ) একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে, ঈমান কি বৃদ্ধি পায় কিনা। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন:“হ্যাঁ, যতক্ষণ না পর্যন্ত তা পর্বতসম হয়।” nএরপর তাকে প্রশ্ন করা হলো ঈমান হ্রাস পায় কিনা এবং তিনি বলেছিলেন:“হ্যাঁ, যতক্ষণ না পর্যন্ত তা একদম শূণ্য না হয়।”

“কিছু মানুষ অন্যদের সামনে নিজেদেরকে বিনয়ী করে রাখার অভিনয় করে যেন লোকে তাদেরকে বিনয়ী মনে করে এবং এতে তারা প্রশংসিত হতে পারে।— ইবনে রজব আল-হাম্বলী (রাহিমাহুল্লাহ)”,

“শীতকালটি মুমিনদের জন্য বসন্তকাল যখন সে আল্লাহর আনুগত্যের বাগানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। দিনগুলো থাকে ছোট এবং শীতল যেন সহজেই রোজা রাখা যায় এবং রাতগুলো থাকে দীর্ঘ যেন একজন ব্যক্তি ভালো করে ঘুমাতে পারে এবং রাতে নামাজ আদায়ও করতে পারে।”— ইমাম ইবনে রজব (রাহিমাহুল্লাহ)”,

“তাদের (সাহাবাদের) অন্তরে দুনিয়ার উপস্থিতি ছিলো শূণ্য এবং তাতে আখিরাত ছিলো পরিপূর্ণ।”— ইবনে রজব আল হানবলী”,

“ঈদের দিনগুলো কৃতজ্ঞ হবার, ক্ষমাপ্রার্থনা করার এবং অন্যদের মাফ করে দেয়ার দিন।”— ইমাম ইবনে রজব আল হাম্বলি (রাহিমাহুল্লাহ)”,

“আল্লাহ এবং মানবজাতির মধ্যবর্তী মর্যাদাপূর্ণ যে অবস্থানটি নবী-রাসূলদের, তা ধারণ করেন আলেমগণ।”— ইমাম ইবনে রাজাব আল-হানবলী”,

“আপনার ভালো কাজ কবুল হয়েছে কিনা তা বোঝার একটি উপায় হলো কাজটির পরে যখন আপনি আরো বেশি বেশি ভালো কাজ করেন।”— ইবনে রজব আল-হাম্বলী (রাহিমাহুল্লাহ)”,

“কোন মুসলিমের অন্তরের জন্য একজন মু’মিনের সাথে মেলামেশা করা এবং তার কাজগুলো খেয়াল করে দেখার মত বেশি কল্যাণকর আর কিছু নেই। অন্যদিকে সে অন্তরের জন্য পাপাচারীদের সাথে মেলামেশা করা এবং তাদের কাজগুলোকে খেয়াল করে দেখার মতন ক্ষতিকর আর কিছু নেই।” — আহমাদ ইবনে হারব (রাহিমাহুল্লাহ)”,

“আবু হাফস আল-ফাল্লাস বলেনঃ“আমি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ কে তার অসুস্থতার সময় বলেছিলামঃ “আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কাছে যা পছন্দের, আমার কাছেও তা পছন্দের’। ”

“ইবরাহীম আত-তামিমি বলেছিলেনঃ“কেউ যখন আমার প্রতি অন্যায় করে, আমি তার প্রতিদান দেই দয়ার মাধ্যমে।”

 জ্ঞানের উক্তি| জ্ঞান মূলক উক্তি

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জ্ঞানের উক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আর তাই আমরা জ্ঞানের বেশ কিছু উক্তি নিয়ে আজ হাজির হয়ে গিয়েছি আশা করছি এগুলো আপনাদের উপকারে আসবে

১) রাত্রে ঘন্টাখানেক জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত জেগে ( ইবাদতে নিরত ) থাকার চেয়ে উত্তম। (দারমী)

২) যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। (তিরমিযী)

৩) আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলো।

৪) একবার বিবাহ হয়েছে এরুপ নারীকে (দ্বিতীয় বার) বিবাহ দানে তাহার স্পষ্ট অনুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং কুমারীকে বিবাহ দানেও তাহার সম্মতি নিতে হবে। (বোখারী)

৫) ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বোখারী)

৬) ব্যাঙের ছাতা (মাশরুম) ‘মন্ন’ তুল্য; তার রস চোখের জন্য ভাল ঔষধ। (বোখারী)

৭) কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরুপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন। (বোখারী)

৮) যে কোন মুসলমান কোন বৃক্ষ রোপণ করল, অত:পর উহা হতে কোন পশু বা মানুষ কিছু অংশ খেল, তাতে ঐ ব্যক্তি দান-খয়রাত করার সওয়াব লাভ করবে। (বোখারী)

৯) যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করতে, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরুপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। (বোখারী)

১০)বিচারক তিন প্রকার। এক শ্রেণীর বিচারক জান্নাতী, আর দুই শ্রেণীর বিচারক জাহন্নামী। (১) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করে এবং তদনুযায়ী বিচার করে সে জান্নাতী। (২) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু তদনুযায়ী বিচার করে না, সে জাহান্নামী। (৩) আর এক শ্রেণীর বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে না। অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিচার করে সেও জাহান্নামী। (আবু দাউদ)

১১) নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়। (ইবনে মাজাহ)

১২) আল্লাহ তায়ালা তিন শ্রেণীর লোকের সাথে ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। (১) বয়সপ্রাপ্ত যেনাকার (২) মিথ্যুক শাসক (৩) অহংকারী দরিদ্র। (মুসলিম)

Leave a comment