সূরা যিলযাল বাংলা 2024 Free
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- সূরা যিলযাল বাংলা, যিলযাল সূরা, সূরা আল যিলযাল, সূরা যিলযাল অনুবাদ, সূরা যিলযাল উচ্চারণ, সূরা যিলযাল, সূরা যিলযাল এর তাফসীর, সূরা আল যিলযাল বাংলা উচ্চারণ, সূরা যিলযাল তেলাওয়াত। তো দেরি না করে আসুন আমরা পড়া শুরু করি।
সূরা যিলযাল / সূরা যিলযাল বাংলা / সূরা আল যিলযাল /
بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] إِذا زُلزِلَتِ الأَرضُ زِلزالَها
বাংলা উচ্চারণ:-
[1] ইযা-যুল্যিলাতিল্ র্আদ্বু যিল্যা-লাহা-।
বাংলা অনুবাদ:-
[1] যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
[2] وَأَخرَجَتِ الأَرضُ أَثقالَها
বাংলা উচ্চারণ:-
[2] অআখ্রজ্বাতিল্ আরদু আছ্ক্ব-লাহা-।
বাংলা অনুবাদ:-
[2] যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
[3] وَقالَ الإِنسٰنُ ما لَها
বাংলা উচ্চারণ:-
[3] অক্ব-লাল্ ইনসা-নু মা- লাহা-।
বাংলা অনুবাদ:-
[3] এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ?
[4] يَومَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخبارَها
বাংলা উচ্চারণ:-
[4] ইয়াওমায়িযিন্ তুহাদ্দিছু আখ্বা-রহা-।
বাংলা অনুবাদ:-
[4] সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
[5] بِأَنَّ رَبَّكَ أَوحىٰ لَها
বাংলা উচ্চারণ:-
[5] বিআন্না রব্বাকা আওহা-লাহা-।
বাংলা অনুবাদ:-
[5] কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।
[6] يَومَئِذٍ يَصدُرُ النّاسُ أَشتاتًا لِيُرَوا أَعمٰلَهُم
বাংলা উচ্চারণ:-
[6] ইয়াওমায়িযিঁই ইয়াছ্দুরু ন্না-সু আশ্তা-তাল্ লিইয়ুরাও আ‘মা-লাহুম্।
বাংলা অনুবাদ:-
[6] সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
[7] فَمَن يَعمَل مِثقالَ ذَرَّةٍ
خَيرًا يَرَهُ
বাংলা উচ্চারণ:-
[7] ফামাইঁ ইয়া’মাল্ মিছ্ক্ব-লা র্যারতিন্ খইরঁই ইয়ারহ্।
বাংলা অনুবাদ:-
[7] অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে।
[8] وَمَن يَعمَل مِثقالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
বাংলা উচ্চারণ:-
[8] অমাইঁ ইয়া’মাল্ মিছ্ক্ব-লা র্যারতিন্ র্শারইঁ ইয়ারহ্
বাংলা অনুবাদ:-
[8] এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
Read More: সূরা কুরাইশ বাংলা উচ্চারণ সহ Free 2024
সূরা যিলযাল এর তাফসীর
এটি পবিত্র কুরআনের ৯৯ নং সূরা। যা সূরা নিসা’র পর মদিনায় অবতীর্ণ।
সূরাটির মূল বিষয়বস্তু হʼল কিয়ামত অনুষ্ঠান। যা দুʼটি ভাগে আলোচিত হয়েছে। প্রথম ভাগে কিয়ামত অনুষ্ঠানের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে (১-৫ আয়াত)। দ্বিতীয় ভাগে বলা হয়েছে যে, মানুষকে ঐ দিন স্ব স্ব আমলনামা দেখানো হবে। অতঃপর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচারের মাধ্যমে তার যথাযথ প্রতিদান দেওয়া হবে (৬-৮ আয়াত)
সূরা যিলযাল তেলাওয়াত
যিলযাল বাংলা উচ্চারণ দেখে মুখস্ত করার পর অডিও তেলাওয়াত শুনে সূরাটির উচ্চারণ শুদ্ধ করুন।
সূরা যিলযাল: অর্থ, তাফসীর এবং উচ্চারণ
সূরা যিলযাল (অর্থাৎ “দোহন”) কুরআনের ১০৯তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর মধ্যে কিয়ামতের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই সূরাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের অন্তরে একটি সচেতনতা ও ভয় সৃষ্টি করে এবং কিয়ামতের সময় আল্লাহর বিচার সম্পর্কে আমাদের মনে সতর্কতা আনে।
সূরা যিলযাল অনুবাদ
সূরা যিলযাল মূলত চারটি আয়াতে বিভক্ত। নিচে এর বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো:
১. যখন ভূমিকম্প প্রবলভাবে ঘটে,
২. এবং ভূমিকম্পের পর অন্য ভূমিকম্প ঘটে,
৩. এবং মানুষ বলে, ‘এটা কি ঘটছে?’
৪. সে দিন মানুষ তাদের কর্ম সম্পর্কে খবর জানতে পারে।
এই আয়াতগুলো মানুষকে কিয়ামতের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাদের কর্মের ফল সম্পর্কে অবহিত করে।
যিলযাল বাংলা উচ্চারণ
আসুন, সূরা যিলযাল এর উচ্চারণ শিখি:
- إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
- ইযা জুলজিলাৎ আল-আর্দু জুলজালাহা।
- وَإِذَا الْأَرْضُ أَخْرَجَتْ أَثْقَالَهَا
- ওয়াঅদা আল-আর্দু আখরাজাত আসকালাহা।
- وَقَالَ الْإِنْسَانُ مَا لَهَا
- ওয়াকালাল ইনসানু মা লাহা।
- يَوْمَئِذٍ يُحَدَّثُ الْإِنْسَانُ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ
- ইয়াওমেইদিন ইয়ুহাদ্দাস আল-ইনসানু বিমা কাদ্দাম ওয়াঅখখারা।
সূরা যিলযাল এর তাফসীর
সূরা যিলযাল কিয়ামতের সময় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের উল্লেখ করে, যা সমস্ত সৃষ্টিকে আল্লাহর সামনে হাজির করবে। এটি মানুষের মনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে, যা তাদের তাদের কাজের ফল সম্পর্কে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
আল-বদর আল-নাজফি বলেছেন যে, এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সতর্ক করছেন, যেন আমরা আমাদের কর্মের ফল সম্পর্কে জানি। এক্ষেত্রে “অথবা” শব্দটি মানব জীবনের প্রতিটি দিককে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
সূরা যিলযাল তেলাওয়াত
সূরা যিলযাল তেলাওয়াত মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ প্রার্থনা হিসেবে বিবেচিত। এই সূরা তেলাওয়াত করলে মনে শান্তি আসে এবং কিয়ামতের ভয়াবহতার কথা মনে পড়ে। অনেকে এই সূরাটি জুমার নামাজে বা বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তেলাওয়াত করেন।
সূরা যিলযাল: অর্থ, উচ্চারণ এবং তাফসীর
সূচনা
সূরা যিলযাল (سورة الزلزال) হলো কুরআনের ১০৯তম সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটি বিশেষভাবে কিয়ামতের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং মানব জীবনের প্রতি আল্লাহর পরম দৃষ্টি এবং বিচারকে তুলে ধরে। এটি আমাদের মনে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে, যা কিয়ামতের দিন সংঘটিত হবে এবং আমাদের কর্মের ফল সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে।
সূরা যিলযাল অনুবাদ
সূরা যিলযাল মোট চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। নিচে এর বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো:
১. যখন পৃথিবী প্রবলভাবে কম্পিত হবে,
২. এবং পৃথিবী তার বোঝা বের করে আনবে,
৩. এবং মানুষ বলবে, ‘এটা কি হচ্ছে?’
৪. সেই দিন মানুষ তার কর্মের খবর জানবে।
এই আয়াতগুলো মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কিয়ামতের দিন আমাদের সমস্ত কাজের হিসাব নেয়া হবে।
সূরা যিলযাল উচ্চারণ
সূরা যিলযাল এর উচ্চারণ শিখতে নিম্নলিখিত উপায়ে পড়ুন:
- إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
- ইযা জুলজিলাৎ আল-আর্দু জুলজালাহা।
- وَإِذَا الْأَرْضُ أَخْرَجَتْ أَثْقَالَهَا
- ওয়াঅদা আল-আর্দু আখরাজাত আসকালাহা।
- وَقَالَ الْإِنْسَانُ مَا لَهَا
- ওয়াকালাল ইনসানু মা লাহা।
- يَوْمَئِذٍ يُحَدَّثُ الْإِنْسَانُ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ
- ইয়াওমেইদিন ইয়ুহাদ্দাস আল-ইনসানু বিমা কাদ্দাম ওয়াঅখখারা।
সূরা যিলযাল এর তাফসীর
সূরা যিলযাল-এর তাফসীর আমাদের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। এই সূরার প্রথম আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীর কম্পনকে উল্লেখ করেছেন। এটি নির্দেশ করে যে, কিয়ামতের দিন পৃথিবী এক ভয়াবহ অবস্থায় আসবে, যেখানে সবকিছু বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
১. প্রথম আয়াতের তাফসীর
“যখন পৃথিবী প্রবলভাবে কম্পিত হবে”—এই আয়াত মানুষের মধ্যে কিয়ামতের ভয়াবহতার একটি চিত্র আঁকে। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সৃষ্টির মাঝে পৃথিবীর পরিবর্তনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন। এই দিন মানুষের সামনে আল্লাহর মহান ক্ষমতা প্রকাশিত হবে।
২. দ্বিতীয় আয়াতের তাফসীর
“এবং পৃথিবী তার বোঝা বের করে আনবে”—এই আয়াতটি বুঝিয়ে দেয় যে, কিয়ামতের দিন পৃথিবী মানুষের সকল কাজের হিসাব বের করে আনবে। এখানে বোঝা বলতে মানুষের পাপ এবং সৎকর্ম বুঝানো হয়েছে।
৩. তৃতীয় আয়াতের তাফসীর
“এবং মানুষ বলবে, ‘এটা কি হচ্ছে?’”—এই আয়াতে মানুষের আতঙ্ক প্রকাশিত হয়েছে। তারা নিজের কর্মের ফল সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হবে এবং ভেবে পাবেনা কী হবে। এটি কিয়ামতের অবধারিত পরিস্থিতির একটি বাস্তব চিত্র।
৪. চতুর্থ আয়াতের তাফসীর
“সেই দিন মানুষ তার কর্মের খবর জানবে”—এই আয়াত দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক মানুষ তার সমস্ত কাজের ফল জানবে। এই উপলব্ধি আমাদেরকে আমাদের কর্মের প্রতি সতর্ক করে।
সূরা যিলযাল তেলাওয়াত
সূরা যিলযাল তেলাওয়াত মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কাজ। এটি বিশেষভাবে জুমার নামাজে এবং বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। তেলাওয়াতের সময় সূরার অর্থ এবং তাৎপর্য বুঝা জরুরি, যাতে আমরা এর শিক্ষাকে উপলব্ধি করতে পারি।
তেলাওয়াতের সুফল
১. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য: সূরা যিলযাল তেলাওয়াত আমাদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে।
২. মনের শান্তি: এটি আমাদের মনে শান্তি ও নিশ্চয়তা এনে দেয়, যে আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই আছেন এবং তিনি আমাদের সকল কাজের হিসাব রাখছেন।
৩. আখিরাতের প্রস্তুতি: এই সূরাটি আমাদেরকে আখিরাতের প্রস্তুতির জন্য উদ্বুদ্ধ করে এবং কিয়ামতের দিন আমাদের কর্মের ফল সম্পর্কে চিন্তা করতে সহায়তা করে।
সূরা যিলযাল কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যা কিয়ামতের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করে। এই সূরার আয়াতগুলো আমাদের মনে ভয় ও একই সাথে আশার বাণী নিয়ে আসে। আমাদের কর্মের ফল সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সত্যের পথে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করুন এবং কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
সূরা যিলযাল: গভীর বিশ্লেষণ এবং শিক্ষা
সূরার পটভূমি
সূরা যিলযাল, যার অর্থ “ভূমিকম্প”, কুরআনের অন্যতম সংক্ষিপ্ত এবং প্রভাবশালী সূরা। এটি কিয়ামতের সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে রচিত। মহান আল্লাহ এই সূরার মাধ্যমে মানব জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, শেষ দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী আমাদের সকলের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এটি আমাদেরকে নৈতিক ও ধর্মীয় দিক থেকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানায়।
সূরার আধ্যাত্মিক মূল্য
১. কিয়ামতের বাস্তবতা
সূরা যিলযাল আমাদের মনে কিয়ামতের বাস্তবতার স্বীকৃতি দেয়। আমরা যতই একান্তভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত থাকি না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কিয়ামতের দিন আমাদের প্রত্যেক কর্মের হিসাব নিতে হবে। এটি আমাদেরকে আমাদের কর্মের প্রতি আরও সতর্ক ও জ্ঞানী করে তোলে।
২. নৈতিক শিক্ষা
এই সূরা আমাদেরকে নৈতিকতার গুরুত্ব উপলব্ধি করায়। কিয়ামতের দিন মানুষের সকল কর্মের ফল প্রকাশ পাবে। কাজেই আমাদের উচিত সৎ কাজ করা এবং অন্যদের প্রতি ন্যায়বান হওয়া।
সূরা যিলযাল এর আধুনিক প্রেক্ষাপট
১. সামাজিক অস্থিরতা
বর্তমান যুগে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরণের অস্থিরতা ও অশান্তি বিরাজমান। সূরা যিলযাল আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের নিজেদের কর্মকে মূল্যায়ন করা উচিত। সামাজিক অস্থিরতার পেছনে আমাদের নিজেদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা জরুরি।
২. পরিবেশগত সংকট
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশগত সংকটও কিয়ামতের অনুরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। ভূমিকম্প, বন্যা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, পৃথিবী আমাদের দায়িত্ব এবং এর সুরক্ষা আমাদের কাজ। আল্লাহ তাআলা এই সূরার মাধ্যমে আমাদেরকে দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দিচ্ছেন।
সূরা যিলযাল এর তাফসীরের গুরুত্ব
তাফসীরের মাধ্যমে সূরার গভীরতা বুঝা সম্ভব। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তাফসীরের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি কুরআনের প্রকৃত অর্থ বোঝাতে সাহায্য করে এবং আমাদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিকগুলোকে উন্নত করে।
১. শিক্ষা ও নির্দেশনা
সূরা যিলযাল এর তাফসীর আমাদেরকে শিক্ষা দেয় কিভাবে আমরা আমাদের জীবনকে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারি। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরি।
২. ব্যক্তিগত উন্নয়ন
এটি ব্যক্তিগত উন্নতির একটি মাধ্যমও। আমরা যখন নিজেদের কর্মের ফল সম্পর্কে সচেতন হই, তখন আমাদের আচরণে পরিবর্তন আসে। আমাদের লক্ষ্য হবে সৎ কর্ম করা এবং অন্যদের প্রতি সদয় হওয়া।
তেলাওয়াতের কার্যকারিতা
১. আধ্যাত্মিক শক্তি
সূরা যিলযাল এর তেলাওয়াত আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের মনে সাহস এবং স্থিরতা এনে দেয়, বিশেষ করে যখন আমরা জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই।
২. সামাজিক সংহতি
এটি সমাজের মধ্যে সংহতি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার একটি উৎসাহিত মাধ্যম। যখন মানুষ একত্রে সূরা তেলাওয়াত করে, তখন তাদের মধ্যে একটি ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়।
জীবন থেকে শিক্ষণীয় পয়েন্ট
১. নিজের কর্মের প্রতি সচেতনতা
আমাদের উচিত নিজেদের কর্মের প্রতি সচেতন থাকা। কিয়ামতের দিন যে সময় আমাদের কর্মের ফল মূল্যায়ন করা হবে, সেটি আমাদেরকে সতর্ক করে।
২. একে অপরের প্রতি সদয় থাকা
মানব জাতির মধ্যে সদয় আচরণ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।
৩. আধ্যাত্মিকতার প্রতি মনোযোগ
আমাদের জীবনের আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি করা এবং আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। এটি আমাদের মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অত্যাবশ্যক।
উপসংহার
যিলযাল আমাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে শিক্ষিত করে। এটি আমাদের জীবনকে আল্লাহর নির্দেশনার আলোকে পরিচালনা করার একটি মহৎ উপায়। কিয়ামতের দিন ঘটে যাওয়া ঘটনার স্মরণ করিয়ে দিয়ে, যিলযাল আমাদেরকে সঠিক পথে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি আমাদেরকে সত্যের পথে পরিচালিত করেন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে সঠিক কর্মের জন্য পুরস্কৃত করেন। আমিন।
আশা করি, এই বিশ্লেষণ আপনাদের কাছে যিলযাল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
সূরা শুধুমাত্র একটি সূরা নয়, বরং এটি মানব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানায়। এটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের সমস্ত কাজের ফল আমাদেরকে একদিন ভোগ করতে হবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই সূরার তেলাওয়াত এবং এর তাফসীর আমাদের জীবনে আলোকপাত করবে, যাতে আমরা সঠিক পথ অনুসরণ করতে পারি।
আশা করি, এই ব্লগটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে এবং যিলযাল সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমিন।