সূরা ফালাক অনুবাদ 2024 Free
সূরা ফালাক অনুবাদ| সূরা ফালাক অনুবাদ
সূরা ফালাক অনুবাদ, সূরা ফালাক এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ও ফজিলত Shane Nujul and Fazilat with Arabic Bengali translation of Surah Falak |
সূরা ফালাক অনুবাদ, আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। বিষয়টি হলো সূরা ফালাক এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ও ফজিলত এবং বিভিন্ন বর্ণণা নিচে দেওয়া হয়েছে। এখানে আপনারা যা যা পাবেন তা হলো সূরা ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ,সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ সহ,কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা,সূরা নাস সূরা ফালাক,সূরা কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ,সূরা ফালাক এর বাংলা অর্থ,কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক সূরা,সূরা falak,সূরা ফালাক বাংলা অর্থসহ,সূরা ফালাক তেলাওয়াত ,সূরা ফালাক বাংলা লেখা,কুল আউযু রাব্বিল ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা অনুবাদ,সূরা ফালাক অর্থসহ,সূরা ফালাক এর তাফসীর। নিম্নে সূরা ফালাক এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ও ফজিলত দেওয়া হয়েছে।
সূরা ফালাক
بسم الله الرحمن الرحيم
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
[1]
[1] কুল্ আ’ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি।
[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
[1] Say: “I seek refuge with (Allah) the Lord of the daybreak,
من شر ما خلق [2]
[2] মিন্ শাররি মা-খলাক্ব।
[2] তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, [2] “From the evil of what He has created;
ومن شر غاسق إذا وق [3]
[3] অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্।
[3] অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
[3] “And from the evil of the darkening (night) as it comes with its darkness; (or the moon as it sets or goes away)
ومن شر النفثت في العقد [4]
[4] অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ উকা্কদ
[4] গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
[4] “And from the evil of those who practise witchcrafts when they blow in the knots,
[5]أمين شاري ها-سيدين إيا-حشاد
[5] অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্।
[5] এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
[5] “And from the evil of the envier when he envies.”
===========================
শানে নুযূল
এর পরবর্তী সূরা হল সূরা নাস। এই দুই সূরার ফযীলত যৌথভাবে একাধিক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, এক হাদীসে নবী (সাঃ) বলেছেন, আজ রাত্রে আমার উপর কিছু এমন গুরুত্বপূর্ণ আয়াত অবতীর্ণ হল, যা আমি এর পূর্বে কখনো দেখিনি। এই কথা বলেই তিনি এই দুটি সূরা (সূরা ফালাক ও নাস) পাঠ করলেন। (সহীহ মুসলিম মুসাফিরদের নামায অধ্যায়, মুআবিবযাতাইন পড়ার ফযীলত পরিচ্ছেদ, তিরমিযী)
একদা আবু হাবেস জুহ্নী (রাঃ)-কে নবী (সাঃ) বললেন, হে আবু হাবেস! আমি তোমাকে উত্তম ঝাড়-ফুঁকের কথা বলে দেব না কি, যার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনাকারীরা আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকে? তিনি বললেন, ‘অবশ্যই বলে দিন।’ মহানবী (সাঃ) এই সূরা দুটিকে উল্লেখ করে বললেন, এ সূরা দুটি হল মুআবিবযাতান (ঝাড়-ফুঁকের মন্ত্র)। (সহীহ নাসাঈ আলবানী ৫০২০নং)
নবী (সাঃ) মানুষ ও জিনের বদ নজর থেকে (আল্লাহর) নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন এই দুটি সূরা অবতীর্ণ হল, তখন থেকে তিনি ঐ দুটিকে প্রত্যহ পড়ার অভ্যাস বানিয়ে নিলেন এবং বাকী অন্যান্য (দু’আ) বর্জন করলেন। (সহীহ তিরমিযী আলবানী ২১৫০ নং)
আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখনই নবী (সাঃ)-এর কোন কষ্ট হত, তখন তিনি মুআবিবযাতাইন (কুবল আউযু বিরাবিবল ফালাক ও কুল আউযু বিরাবিবন্নাস) সূরা দুটি পড়ে নিজ শরীরে ফুঁক দিতেন। যখন (শেষ জীবনে) তাঁর কষ্ট-বেদনা বৃদ্ধি পেল, তখন আমি উক্ত সূরা দুটি পড়ে ফুঁক দিতাম এবং তাঁর হাতের বর্কতের আশা রেখে তা নবী (সাঃ)-এ এর শরীরে ফিরাতাম। (বুখারী, ফাযায়েলে কুরআন, মুআবিবযাত পরিচ্ছেদ, মুসলিম শরীফ সালাম অধ্যায়, মুআবিবযাত দ্বারা রোগীর ঝাড়-ফুঁক পরিচ্ছেদ।)
যখন নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হল, তখন জির্রাঈল (আঃ) এই দুই সূরা নিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন। আর বললেন যে, এক ইয়াহুদী (লাবীদ বিন আ’সাম) আপনাকে যাদু করেছে। আর সেই যাদুর বস্তু যারওয়ান কুয়ায় রাখা হয়েছে। তিনি আলী (রাঃ)-কে পাঠিয়ে তা উদ্ধার করলেন। (তা ছিল একটি চিরুনী, কয়েকটি চুল, একটি সুতো। তাতে দেওয়া ছিল এগারোটি গিরা। এ ছাড়া একটি নর খেজুর গাছের শুকনো মোছা এবং মোমের একটি পুতুল ছিল; যাতে কয়েকটি সুচ ঢুকানো ছিল।) জিব্রাঈল (আঃ)-এর নির্দেশে তিনি উক্ত দুই সূরা থেকে এক একটি আয়াত পাঠ করলেন এবং তার সাথে একটি করে গিরা খুলতে লাগল এবং সুচও বের হতে লাগল। শেষ আয়াত পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে সমস্ত গিরাগুলি খুলে গেল এবং সুচগুলিও বের হয়ে গেল। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে আরোগ্য লাভ করলেন। (সহীহ বুখারী ফাতহুলবারীসহ, তিবব্ অধ্যায়, যাদু পরিচ্ছেদ, মুসলিম সালাম অধ্যায় যাদু পরিচ্ছেদ)
নবী (সাঃ)-এর অভ্যাস ছিল যে, তিনি রাত্রে শয়নকালে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও নাস পাঠ করে দুই হাতের তালুতে ফুঁক মেরে সারা শরীরে ফিরাতেন। প্রথমে মাথা, মুখমন্ডল তারপর শরীরের অগ্রভাগে হাত ফিরাতেন। তারপর যতদূর পর্যন্ত তাঁর হাত পৌঁছত, ততদূর তা ফিরাতেন এবং তিনি এইরূপ তিনবার করতেন। (সহীহ বুখারী ফাযায়েলে কুরআন, মুআবিবযাত পরিচ্ছেদ)
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, কুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক ও কুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ সকাল সন্ধ্যায় তিনবার করে বল; প্রত্যেক জিনিস থেকে তাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। (আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, সহীহ তারগীব ৬৪৩ নং)
Read More: সূরা লাহাবের অনুবাদ 2024 Free
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_
ফজিলত
হাদিস শরীফে সূরা নাস ও সূরা ফালাক বারবার পড়ার জন্যে তাগিদ দিয়েছে। এই দুই সূরাকে এক সঙ্গে মুআওবিযাতাইন বলা হয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, এ দুইটি সূরা তোমরা পড়তে থাক। কেননা, এ দুইটি সূরার মতো কোনো সূরা তোমরা কোনো দিন পাবে না। (মুসলিম ৮১৪)
•একদা এক ইহুদী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ওপর জাদু করেছিল। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল (আ.) মহানবী (সা.)-কে বলেন যে, এক ইহুদী তাকে জাদু করেছে এবং যে জিনিস দিয়ে জাদু করা হয়েছে তা একটি কুপের মধ্যে পাথরের নিচে আছে। মহানবী (সা.) সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য লোক পাঠালেন। সেখানে গিয়ে কয়েকটি গিরা পাওয়া গিয়েছিল। তখন তিনি সূরা নাস ও ফালাক দুইটি একসঙ্গে পড়ে ফুক দেন এবং গিরাগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বিছানা থেকে ওঠেন।
•হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (সহি বুখারি)
•ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তে ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটি সূরা তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সূরা পড়তে হবে। (আবু দাউদ হা: ১৩৬৩)
•সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়লে শয়তানের অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাজতে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৯০৩)
• হজরত উকবা ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার কি জানা নেই আজ রাতে আমার ওপর যে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে এগুলোর মতো কোনো আয়াত দেখাও যায়নি এবং শোনাও যায়নি। আর তা হলো কুল আয়ুজু বি রাব্বিল ফালাক ও কুল আয়ুজু বি রাব্বিন নাস। (সহি মুসলিমঃ৮১৪)
•কোন আশ্রয় প্রার্থনাকারী আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারে না এই দুই সূরার মত অন্য কিছু দিয়ে। (আবু দাউদ)
বিঃদ্রঃ কোনো ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন সঠিক করবো ইনশাআল্লাহ।
ট্যাগঃ সূরা ফালাক এর আরবি ইংরেজি বাংলা অনুবাদ উচ্চারণ সহ শানে নুযুল ও ফজিলত Shane Nujul and Fazilat with Arabic Bengali translation of Surah Falak | সূরা ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ,সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ সহ,কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা,সূরা নাস সূরা ফালাক,সূরা কুল আউযু রাব্বিল ফালাক,সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ,সূরা ফালাক এর বাংলা অর্থ,কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক সূরা,সূরা falak,সূরা ফালাক বাংলা অর্থসহ,সূরা ফালাক তেলাওয়াত,সূরা ফালাক বাংলা লেখা,কুল আউযু রাব্বিল ফালাক,সূরা ফালাক বাংলা অনুবাদ,সূরা ফালাক অর্থসহ,সূরা ফালাক এর তাফসীর।সূরা ফালাক অনুবাদ, সূরা ফালাক অনুবাদ,সূরা ফালাক অনুবাদ,সূরা ফালাক অনুবাদ,সূরা ফালাক অনুবাদ,সূরা ফালাক অনুবাদ