সুরা ইয়াসিন আরবী বাংলা উচ্চারণ এবং ফজিলত 2025 free
সুরা ইয়াসিন
প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু । মহান আল্লাহ তা’আলা মানব জাতির পথপ্রদর্শক হিসাবে কুরআন মাজীদ নাযিল করেছেন। আর কুরআন মাজিদে 114 টি সূরার মধ্যে যার মধ্যে সুরা ইয়াসিন একটি। আপনারা হয়তো অনেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সুরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসিন আরবী বাংলা উচ্চারণ খুঁজছেন।
আবার হয়তো অনেকে সূরা ইয়াসিনের ফজিলত, সুরা ইয়াসিন আরবী , সূরা ইয়াসিনের ফজিলত, সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ , সুরা ইয়াসিন আরবী , খুঁজছেন। আর তাই আজকে আপনাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। আশা করি আপনারা পুরোপুরি ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।
সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী
সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ
সুরা নং- ০৩৬ : ইয়াসিন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
يس36.1
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১। ইয়া-সী-ন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১ ইয়া-সীন।
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ36.2
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২। অল্ ক্বর্ আ-নিল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২ বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ36.3
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩। ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩ নিশ্চয় তুমি রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ36.4
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪। ‘আলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্ ।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪ সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ36.5
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫। তান্যীলাল্ ‘আযীর্যি রহীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫ (এ কুরআন) মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়াময় (আল্লাহ) কর্তৃক নাযিলকৃত।
لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ36.6
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬। লিতুন্যিরা ক্বওমাম্ মা য়উন্যিরা আ-বা-য়ুহুম্ ফাহুম্ গ-ফিলূন্ ।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬ যাতে তুমি এমন এক কওমকে সতর্ক কর, যাদের পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, কাজেই তারা উদাসীন।
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ36.7
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭। লাক্বাদ্ হাকক্বল্ ক্বওলু ‘আলা য় আক্ছারিহিম্ ফাহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭ অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না।
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ 36.8
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৮। ইন্না-জ্বা‘আল্না-ফী য় আ’না-ক্বিহিম্ আগ্লা-লান্ ফাহিয়া ইলাল্ আয্ক্বা-নি ফাহুম্ মুকমাহূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৮ নিশ্চয় আমি তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি এবং তা চিবুক পর্যন্ত। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।
وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ36.9
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৯। অজ্বা‘আল্না-মিম্ বাইনি আইদী হিম্ সাদ্দাঁও মিন্ খল্ফিহিম্ সাদ্দান্ ফায়াগ্শাইনা-হুম ফাহুম্ লা-ইয়ুব্ছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৯ আর আমি তাদের সামনে একটি প্রাচীর ও তাদের পিছনে একটি প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর আমি তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা দেখতে পায় না।
وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ36.10
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১০। অসাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইহিম্ আ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুর্ন্যিহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১০ আর তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা না কর তাদের কাছে দু’টোই সমান, তারা ঈমান আনবে না।
إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ36.11
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১১। ইন্নামা-তুন্যিরু মানিত্তাবা‘আয্ যিকর অখশির্য়া রাহ্মা-না বিল্গাইবি ফাবার্শ্শিহু বিমাগ্ফিরতিঁও অআজরিন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১১ তুমি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবে যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখেও পরম করুণাময় আল্লাহকে ভয় করে। অতএব তাকে তুমি ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও।
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ36.12
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১২। ইন্না-নাহ্নু নুহ্য়িল্ মাওতা- অনাক্তুবু মা-ক্বাদ্দামূ অআ-ছা-রহুম্; অকুল্লা শাইয়িন্ আহ্ছোয়াইনা-হু ফী য় ইমা-মিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১২ আমিই তো মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি।
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ 36.13
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৩। অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালান্ আছ্হা-বাল্ র্ক্বইয়াহ্; ইয্ জ্বা-য়াহাল্ র্মুসালূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৩ আর এক জনপদের অধিবাসীদের উপমা তাদের কাছে বর্ণনা কর, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ এসেছিল।
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ36.14
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৪। ইয্ র্আসালনা য় ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবূহুমা- ফা‘আয্যায্না-বিছা-লিছিন্ ফাক্ব-লূ য় ইন্না য় ইলাইকুম্ র্মুসালূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৪ যখন আমি তাদের কাছে দু’জন রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। তারপর আমি তাদেরকে তৃতীয় একজনের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছিলাম। অতঃপর তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত রাসূল’।
قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ36.15
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৫। ক্বা-লূ মা য় আন্তুম ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা- অমা য় আন্যার্লা রহ্মা-নু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম ইল্লা-তাক্যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৫ তারা বলল, ‘তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ। আর পরম করুণাময় তো কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ36.16
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৬। ক্ব-লূ রব্বুনা-ইয়া’লামু ইন্না য় ইলাইকুম্ লার্মুসালূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৬ তারা বলল, ‘আমাদের রব জানেন, অবশ্যই আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত রাসূল’।
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ36.17
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৭। অমা- ‘আলাইনা য় ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৭ ‘আর সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব’।
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ36.18
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৮। ক্ব-লূ য় ইন্না-তাত্বোয়াইর্য়্যানা-বিকুম্, লায়িল্লাম্ তান্তাহূ লার্না জুমান্নাকুম্ অলা-ইয়ামাস্ সান্নাকুম্ মিন্না-‘আযা- বুন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৮ তারা বলল, ‘আমরা তো তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। তোমরা যদি বিরত না হও তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে’।
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ 36.19
আরবি উচ্চারণ
৩৬.১৯। ক্ব-লূ ত্বোয়া-য়িরুকুম্ মা‘আকুম্ আয়িন্ যুর্ক্কিতুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুম্ মুস্রিফূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.১৯ তারা বলল, তোমাদের অমঙ্গলের কারণ তোমাদের সাথেই। তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছে বলেই কি এরূপ বলছ? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম’।
وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ36.20
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২০। অজ্বা-য়া মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুঁই ইয়াস্‘আ-ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিত তাবি‘উল্ মুরসালীন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২০ আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে বলল, ‘হে আমার কওম! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর।
اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ36.21
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২১। ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াস্য়ালুকুম্ আজরঁও অহুম্ মুহ্তাদূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২১ ‘তোমরা তাদের অনুসরণ কর যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না আর তারা সৎপথপ্রাপ্ত’।
وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ36.22
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২২। অমা-লিয়া লা য় আ’বুদুল্লাযী ফাত্বোয়ারানী অ ইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২২ ‘আর আমি কেন তাঁর ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে’।
أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ36.23
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৩। আ আত্তাখিযু মিন্ দূনিহী য় আ- লিহাতান্ ইঁইয়্যুরির্দ্নি রহমা-নু বির্দ্বুরিল্ লা-তুগ্নি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম্ শাইয়াঁও অলা-ইয়ুন্ক্বিযূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৩ আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য ইলাহ গ্রহণ করব? যদি পরম করুণাময় আমার কোন ক্ষতি করার ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না’।
إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ36.24
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৪। ইন্নী য় ইযাল্লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৪ ‘এরূপ করলে নিশ্চয় আমি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব’।
إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ36.25
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৫। ইন্নী য় আ-মান্তু বিরব্বিকুম্ ফাস্মা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৫ ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন’।
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ 36.26
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৬। ক্বীলাদ্ খুলিল্ জ্বান্নাহ্; ক্ব-লা ইয়ালাইতা ক্বওমী ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৬ তাকে বলা হল, ‘জান্নাতে প্রবেশ কর’। সে বলল, ‘হায়! আমার কওম যদি জানতে পারত’,
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ36.27
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৭। বিমা-গফারলী রব্বী অ জ্বা‘আলানী মিনাল্ মুক্রমীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৭ ‘আমার রব আমাকে কিসের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন’।
وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ36.28
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৮। অমা য় আন্যাল্না ‘আলা- ক্বওমিহী মিম্ বা’দিহী মিন্ জুন্দিম্ মিনাস্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৮ আর আমি তার (মৃত্যুর) পর তার কওমের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন সৈন্য পাঠাইনি। আর তা পাঠানোর কোন দরকারও আমার ছিল না।
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ36.29
আরবি উচ্চারণ
৩৬.২৯। ইন্ কা-নাত্ ইল্লা-ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-হিদাতান্ ফাইযা-হুম্ খ-মিদূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.২৯ তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তারা নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ল।
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ36.30
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩০। ইয়া-হাস্রতান্ ‘আলাল্ ‘ইবা-দি মা-ইয়াতীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩০ আফসোস, বান্দাদের জন্য! যখনই তাদের কাছে কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে।
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ36.31
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩১। আলাম্ ইয়ারও কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ কুরূনি আন্নাহুম্ ইলাইহিম্ লা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩১ তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, আমি তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি, নিশ্চয় যাঁরা তাদের কাছে ফিরে আসবে না।
وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ 36.32
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩২। অইন্ কুল্লুল্লাম্মা-জ্বামী‘উল্লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩২ আর তাদের সকলকে একত্রে আমার কাছে হাযির করা হবে।
وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ36.33
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৩। অ আ-ইয়াতু ল্লাহুমুল্ র্আদুল্ মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা অ আখ্রজনা-মিন্হা-হাব্বান্ ফামিন্হু ইয়াকুলূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৩ আর মৃত যমীন তাদের জন্য একটি নিদর্শন, আমি তাকে জীবিত করেছি এবং তা থেকে শস্যদানা উৎপন্ন করেছি। অতঃপর তা থেকেই তারা খায়।
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ36.34
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৪। অজ্বা‘আল্না- ফীহা-জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিঁও অআ’না বিঁও অফার্জ্জ্বানা-ফীহা-মিনাল্ ‘উইয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৪ আর আমি তাতে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান তৈরী করেছি এবং তাতে কিছু ঝর্নাধারা প্রবাহিত করি।
لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ36.35
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৫। লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা ‘আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৫ যাতে তারা তার ফল খেতে পারে, অথচ তাদের হাত তা বানায়নি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ36.36
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৬। সুব্হা-নাল্লাযী খলাক্বল্ আয্ওয়াজ্বা কুল্লাহা-মিম্মা-তুম্বিতুল্ র্আদু অমিন্ আন্ফুসিহিম্ অমিম্মা-লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৬ পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যমীন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজদের মধ্য থেকে এবং সে সব কিছু থেকেও যা তারা জানে না ।
وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ36.37
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৭। অআ-ইয়াতুল্লা হুমুল্ লাইলু নাস্লাখু মিন্ হুন্নাহা-র ফাইযা-হুম্ মুজ্লিমূন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৭ আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন; আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ 36.38
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৮। অশ্শাম্সু তাজ্ব্রী লিমুস্তার্ক্বরিল্লাহা-; যা-লিকা তাকদীরুল্ ‘আযীযিল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৮ আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট পথে, এটা মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)-র নির্ধারণ।
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ36.39
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৩৯। অল্ ক্বমার ক্বর্দ্দানা-হু মানা-যিলা হাত্তা- ‘আ-দা কাল্ ‘র্উজুনিল্ ক্বদীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৩৯ আর চাঁদের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি মানযিলসমূহ, অবশেষে সেটি খেজুরের শুষ্ক পুরাতন শাখার মত হয়ে যায়।
لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ36.40
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪০। লাশ্ শাম্সু ইয়াম্বাগী লাহা য় আন্ তুদ্রিকাল্ ক্বমার অলাল্লাইলু সা-বিকুন্ নাহার্-; অ কুল্লুন্ ফী ফালাকিইঁ ইয়াস্বাহূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪০ সূর্যের জন্য সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া, আর রাতের জন্য সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা, আর প্রত্যেকেই কক্ষ পথে ভেসে বেড়ায়।
وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ36.41
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪১। অ আ-ইয়াতুল্লাহুম্ আন্না-হামাল্না র্যুরিয়্যাতাহুম্ ফিল্ ফুল্কিল্ মাশ্হূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪১ আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল, অবশ্যই আমি তাদের বংশধরদেরকে ভরা নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম।
وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ36.42
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪২। অখলাক্ব্না-লাহুম্ মিম্ মিছ্লিহী মা-ইর্য়াকাবূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪২ আর তাদের জন্য তার অনুরূপ (যানবাহন) সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ36.43
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৩। অইন্ নাশানুগ্রিক হুম্ ফালা-ছোয়ারীখ লাহুম্ অলা-হুম্ ইয়ুন্ক্বযূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৩ আর যদি আমি চাই তাদেরকে নিমজ্জিত করে দেই, তখন তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকে না এবং তাদেরকে উদ্ধারও করা হয় না।
إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ36.44
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৪। ইল্লা-রহ্মাতাম্ মিন্না- অমাতা-‘আন্ ইলা-হীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৪ যদি না আমার পক্ষ থেকে রহমত হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উপভোগের সুযোগ দেয়া হয়।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ 36.45
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৫। অইযা-ক্বীলা লাহুমুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম্ অমা-খল্ফাকুম্ লা‘আল্লাকুম্ র্তুহামূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৫ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা তোমাদের পিছনে আছে সে বিষয়ে সতর্ক হও, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা যায়।
وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ36.46
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৬। অমা-তাতীহিম্ মিন্ আ-ইয়া-তীম্ মিন্ আ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ ইল্লা-কা-নূ ‘আন্হা-মু’রিদ্বীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৬ আর তাদের রবের নিদর্শনসমূহ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসলেই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ36.47
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৭। অ ইযা- ক্বীলা লাহুম্ আনফিকু মিম্মা-রযাক্ব কুমুল্লা-হু ক্ব-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ য় আনুত্ব‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা-য়ুল্লা-হু আত্ব্‘আমাহূ য় ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৭ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছেন তা থেকে তোমরা ব্যয় কর’, তখন কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘আমরা কি তাকে খাদ্য দান করব, আল্লাহ চাইলে যাকে খাদ্য দান করতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছ’।
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ36.48
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৮। অ ইয়াকুলূনা মাতা-হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৮ আর তারা বলে, ‘এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’? (তা বল) ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ36.49
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৪৯। মা-ইয়ান্জুরূনা ইল্লা-ছোয়াইঁহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান্ তাখুযুহুম্ অহুম্ ইয়াখিছ্ছিমূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৪৯ তারা তো কেবল এক বিকট আওয়াজের অপেক্ষা করছে যা তাদেরকে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত অবস্থায় পাকড়াও করবে।
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ 36.50
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫০। ফালা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা তাওছিয়াতাঁও অলা য় ইলা য় আহ্লিহিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫০ সুতরাং না পারবে তারা ওসিয়াত করতে এবং না পারবে তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যেতে।
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ36.51
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫১। অনুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাইযা-হুম্ মিনাল্ আজদা-ছি ইলা-রব্বিহিম্ ইয়ান্সিলূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫১ আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে।
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ36.52
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫২। ক্ব-লূ ইয়া-অইলানা-মাম্ বা‘আছানা-মিম্ র্মাক্বদিনা-,হা-যা-মা-অ‘আর্দা রহ্মা-নু অ ছদাক্বাল্ র্মুসালূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫২ তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো’? (তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুনাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন’।
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ36.53
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৩। ইন্ কা- নাত্ ইল্লা- ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-দাহিদাতান্ ফাইযা-হুম্ জ্বামী‘উল্ লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৩ তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ36.54
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৪। ফাল্ ইয়াওমা লা-তুজ্লামু নাফ্সুন্ শাইয়াঁও অলা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৪ সুতরাং আজ কাউকেই কোন যুলম করা হবে না এবং তোমরা যা আমল করছিলে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে।
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ36.55
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৫। ইন্না আছ্হা-বাল্ জ্বান্নাতিল্ ইয়াওমা ফী শুগুলিন্ ফাকিহূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৫ নিশ্চয় জান্নাতবাসীরা আজ আনন্দে মশগুল থাকবে।
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ36.56
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৬। হুম্ অআয্ওয়া-জুহুম্ ফী জিলা-লিন্ ‘আলাল্ আর-য়িকি মুত্তাকিয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৬ তারা ও তাদের স্ত্রীরা ছায়ার মধ্যে সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট থাকবে।
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ 36.57
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৭। লাহুম্ ফীহা-ফা-কিহাতুঁও অলাহুম্ মা- ইয়াদ্দা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৭ সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-ফলাদি এবং থাকবে তারা যা চাইবে তাও।
سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ36.58
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৮। সালা-মুন্ ক্বওলাম্ র্মি রর্ব্বি রহীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৮ অসীম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে বলা হবে, ‘সালাম’।
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ36.59
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৫৯। ওয়াম্তা-যুল্ ইয়াওমা আইয়ুহাল্ মুজরিমূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৫৯ আর [বলা হবে] ‘হে অপরাধীরা, আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও’।
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ36.60
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬০। আলাম্ আ’হাদ্ ইলাইকুম্ ইয়া-বানী য় আ-দামা আল্লা-তা’বুদুশ্ শাইত্বোয়া-না ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুওয়্যুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬০ হে বনী আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“’?
وَأَنِ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ36.61
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬১। অআ নি’বুদূনী হা-যা-ছির- তুম্ মুস্তাক্বীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬১ আর আমারই ইবাদাত কর। এটিই সরল পথ।
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ36.62
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬২। অলাক্বদ্ আদ্বোয়াল্লা মিন্কুম্ জ্বিবিল্লান্ কাছীর-; আফালাম্ তাকূনূ তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬২ আর অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করনি?
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ36.63
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৩। হা-যিহী জ্বাহান্নামুল্লাতী কুন্তুম্ তূ‘আদূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৩ এটি সেই জাহান্নাম যার সম্পর্কে তোমরা ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছিলে।
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ36.64
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৪। ইছ্লাওহাল্ ইয়াওমা বিমা-কুন্তুম্ তাক্ফুরূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৪ তোমরা যে কুফরী করতে সে কারণে আজ তোমরা এতে প্রবেশ কর।
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ36.65
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৫। আল্ইয়াওমা নাখ্তিমু ‘আলা য় আফ্ওয়া-হিহিম্ অ তুকাল্লিমুনা য় আইদীহিম্ অতাশ্হাদু র্আজুলুহুম্ বিমা-কা-নূ ইয়াক্সিবূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৫ আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দেব এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত।
وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ36.66
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৬। অলাও নাশা-য়ু লাত্বোয়ামাস্না-‘আলা য় আ’ ইয়ুনিহিম্ ফাস্তাবাক্বছ্ ছির-ত্বোয়া ফাআন্না-ইয়ুব্ছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৬ আর যদি আমি চাইতাম তবে তাদের চোখসমূহ অন্ধ করে দিতাম। তখন এরা পথের অন্বেষণে দৌড়ালে কী করে দেখতে পেত?
وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ36.67
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৭। অলাও নাশা-য়ু লামাসাখ্না-হুম্ ‘আলা-মাকা-নাতিহিম্ ফামাস্ তাত্বোয়া-‘ঊ মুদ্বিয়্যাওঁ অলা- ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৭ আর আমি যদি চাইতাম তবে তাদের স্ব স্ব স্থানে তাদেরকে বিকৃত করে দিতাম। ফলে তারা সামনেও এগিয়ে যেতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না।
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ36.68
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৮। অ মান্ নু‘আ র্ম্মিহু নুনাক্কিস্হু ফিল্ খল্ক্ব ; আফালা-ইয়া’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৮ আর আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, সৃষ্টি-অবয়বে আমি তার পরিবর্তন ঘটাই। তবুও কি তারা বুঝবে না
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ36.69
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৬৯। অমা-‘আল্লাম্না-হুশ্ শি’রা অমা-ইয়াম্বাগী লাহ্; ইন্ হুওয়া ইল্লা-যিক্রুঁও অক্বর্ আ-নুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৬৯ আমি রাসূলকে কাব্য শিখাইনি এবং এটি তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো কেবল এক উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন মাত্র।
لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ 36.70
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭০। লিইয়ুন্যির মান্ কা-না হাইয়্যাঁও অ ইয়াহিকক্বল্ ক্বওলু ‘আলাল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭০ যাতে তা সতর্ক করতে পারে ঐ ব্যক্তিকে যে জীবিত এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগবাণী প্রমাণিত হয়।
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ36.71
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭১। আওয়া লাম্ ইয়ারাও আন্না-খলাক্না-লাহুম্ মিম্মা-‘আমিলাত্ আইদীনা য় আন্‘আ-মান্ ফাহুম্ লাহা-মা-লিকূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭১ তারা কি দেখেনি, আমার হাতের তৈরী বস্তুসমূহের মধ্যে আমি তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তারা হল এগুলোর মালিক।
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ36.72
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭২। অ যাল্লাল্না-হা লাহুম্ ফামিন্হা- রকূবুহুম্ অ মিন্হা-ইয়াকুলূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭২ আর আমি এগুলোকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ36.73
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৩। অলাহুম্ ফীহা-মানা-ফি‘ঊ অমাশা-রিব্; আফালা- ইয়াশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৩ আর তাদের জন্য এগুলোতে রয়েছে আরও বহু উপকারিতা ও পানীয় উপাদান। তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না?
وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ36.74
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৪। অত্তাখযূ মিন্ দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়ুন্ছোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৪ অথচ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য সব ইলাহ গ্রহণ করেছে, এই প্রত্যাশায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ36.75
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৫। লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা নাছ্রহুম্ অহুম্ লাহুম্ জ্বুন্দুম্ মুহ্দ্বোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৫ এরা তাদের কোন সাহায্য করতে সক্ষম হবে না, বরং এগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে বাহিনীরূপে হাযির করা হবে।
فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ 36.76
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৬। ফালা- ইয়াহ্যুন্কা ক্বওলুহুম্; ইন্না-না’লামু মা-ইয়ুর্সিরূনা অমা-ইয়ু’লিনূন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৬ সুতরাং তাদের কথা তোমাকে যেন চিন্তিত না করে, নিশ্চয় আমি জানি তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে।
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ36.77
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৭। আওয়ালাম্ ইয়ারল্ ইন্সা-নু আন্না-খলাক্ব্ না-হু মিন্ নুত্ব্ ফাত্ব্ন্ ফাইযা-হুঅ খছীমুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৭ মানুষ কি দেখেনি যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ সে (বনে যায়) একজন প্রকাশ্য কুটতর্ককারী।
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ36.78
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৮। অ দ্বোয়ারাবা লানা-মাছালাঁও অ নাসিয়া খল্ক্বাহ্; ক্ব-লা মাইঁ ইয়ুহ্য়িল্ ‘ইজোয়া-মা অহিয়া রমীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৮ আর সে আমার উদ্দেশ্যে উপমা পেশ করে, অথচ সে তার নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে, ‘হাড়গুলো জরাজীর্ণ হওয়া অবস্থায় কে সেগুলো জীবিত করবে’?
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ36.79
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৭৯। কুল্ ইয়ুহ্য়ীহাল্লাযী য় আন্শায়াহা য় আও অলা র্মারাহ্; অহুওয়া বিকুল্লি খল্ক্বিন্ ‘আলীমুনি।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৭৯ বল, ‘যিনি প্রথমবার এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই সেগুলো পুনরায় জীবিত করবেন। আর তিনি সকল সৃষ্টি সম্পর্কেই সর্বজ্ঞাতা।
الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ36.80
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৮০। ল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুম্ মিনাশ্ শাজ্বারিল্ আখ্দ্বোয়ারি না-রন্ ফাইযা য় আন্তুম্ মিন্হু তূক্বিদূ ন্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৮০ যিনি সবুজ বৃক্ষ থেকে তোমাদের জন্য আগুন তৈরী করেছেন। ফলে তা থেকে তোমরা আগুন জ্বালাও।
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ 36.81
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৮১। আওয়া লাইসাল্লাযী খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিক্ব-দিরিন্ ‘আলা য় আইঁ ইয়াখ্লুক্ব মিছ্লাহুম্; বালা-অহুওয়াল্ খল্লাকুল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৮১ যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ, তিনিই মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী।
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ36.82
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৮২। ইন্নামা য় আম্রুহূ য় ইযা য় আর-দা শাইয়ান্ আইঁ ইয়াকুলা লাহূ কুন্ ফাইয়াকূন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৮২ তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, কোন কিছুকে তিনি যদি ‘হও’ বলতে চান, তখনই তা হয়ে যায়।
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ 36.83
আরবি উচ্চারণ
৩৬.৮৩। ফাসুব্হা-নাল্ লাযী বিয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইয়িঁও অ ইলাইহি র্তুজ্বাঊ’ন্
বাংলা অনুবাদ
৩৬.৮৩ অতএব পবিত্র মহান তিনি, যার হাতে রয়েছে সকল কিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী
সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ |সুরা ইয়াসিন আরবী বাংলা উচ্চারণ
সুরা ইয়াসিন আরবী |সুরা ইয়াসিন আরবী বাংলা উচ্চারণ:
আউযুবিল্লাহিমিনাশ্ শাইত্বানির রাজিম। বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
ইয়াছিন। ওয়াল কুরআনুল হাকিম। ইন্নাকা লামিনাল মুরছালিন। আ’লা সিরাতিল মুস্তাকিম। আনযিলাল আ’যিযির রাহিম।লিতুনযিরা ক্বাও মাম্মা উনযিরা আ-বা-উ হুম ফাহুম গাফিলুন।লা ক্বাদ হাক্কল ক্বাওলু আ’লা আকছারিহিম ফাহুম লা ইউমিনুন। ইয়া জালাল না ফি আ’না কিহিম আগলা লান ফাহিইয়া ইলাল আযকানি ফাহুম মুকমাহুন। ওয়া জাআ’লনা মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাও ওয়ামিন খালফিহিম ছাদ্দান ফা আগশাইনা হুম ফাহুম লা ইয়ূব ছিরুন।ওয়া ইউমিনুন। ইন্না মা তুনযিরু মানতি তাবাআ’যা যিকরা ওয়া খাশিয়ার রাহমানা বিল গায়িব। ফাবাশশিরহু বিমাগ ফিরাতিও ওয়া আজরিন কারিম। ইন্না নাহনু নুহয়িল মাওতা ওয়া নাকতুবু মা কাদ্দামু ওয়া আছরাহুম, ওয়া কুল্লা শাই ইন্ আহছাইনাহু ফি ইমামিম মুবিন।
ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আছহাবাল কারিয়াহ। ইয জা-আ-হাল মুরছালিন। ইয আরছালনা ইলাইহিমুছ নাইনি ফাকায যাবুহুমা ফাআ’য যাযনা বিছালিছিন ফাকালু ইন্না ইলাই কুম মুছালুন। কালু মা আনতুম ইল্লা বাশারুম মিছলুনা ওয়া মা আনযালার রহমানু মিন শাই ইন ইন আনতুম ইল্লা তাকযিবুন। কালু রাব্বুনা ইয়া’লামু ইন্না ইলাইকুম লামুরছালুন। ওয়া মা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মবিন।
কালু ইন্না তাত্বাই ইয়ার না বিকুম, আইল্লাম তানতাহু লানারজুমান্নাকুম ওয়া লাইয়ামাছছান্না কুম মিন্না আ’যাবুন আলিম।কালু ত্বা-য়িরু কুম মাআ’কুম, আ-ইন যুককিরতুম, বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন। ওয়া জা-আ মিন আকছাল মাদিনাতি রাজুলুই ইয়াছআ’ কালা ইয়া কাওমিত তাবিয়ূল মুরছালিনাত তাবিউ মাল লাইয়াছ আলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদুন। ওয়া মালি ইয়া লা আ’বুদুল্লাযি ফাত্বারানি ওয়া ইলাইহি তুরজাউন। য়া-আততিখিযু মিন দুনিহি আলিহাতান ইয়-ইউরিদনির রাহমানু বিদুররিল লা তুগনি আন্নি শাফাআ’তুহুম শাই আওঁ ওয়া লা ইউনকিযুন। ইন্নি ইযাল লাফি দ্বালালিম মুবিন।
ইন্নি আমানতু বিরাব্বিকুম ফাছমাউন। কিলাদ খুলিল জান্নাহ কালা ইয়া লাইতা কাওমি ইয়া’লামুন। বিমা গাফারালি রাব্বি ওয়া জাআ’লানি মিনাল মুকরিমিন। ওয়া মা অনযালনা আ’লা কামিহি মিমবা’দিহি মিন জুনুদম মিনাছ ছামা-ই ওয়া মা কুন্না মুনযিলিন। ইন কানাত ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান ফাইযা হুম খামিদুন। ইয়া–হাছরাতান আ’লাল ইবাদ, মা ইয়া’তিহিম মির রাছুলিন ইল্লা কানু বিহি ইয়াছ তাহযিউন। আলাম উয়ারাও কাম আহলাকনা কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্না হুম ইলাইহিম লা ইয়ারজিউন। ওয়া ইনকুল লুল লাম্মা জামিউল লাদাইনা মুহদারুন। ওয়া আ-ইয়া তুল লাহুমুল আরদুল মাইতাহ, আহ আই নাহা ওয়া আখরাজনা মিনহা হাব্বান ফানিহু ইয়া কুলুন। ওয়া জাআ’লনা ফিহা জান্নাতিম মিন নাখিলিওঁ ওয়া আ’নাবিও ওয়া ফাজ্জারনা ফিহা মিনাল উ-ইউন। লিমা কুলু মিন ছামারিহি ওয়া মা আমিলাতহু আইদিহিম, আফালা ইয়াশকুরুন। ছুবহানাল্লাযি খালাকাল আযওয়াজা কুল্লাহা মিম্মাতুমবিতুল আরদু ওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা লা ইয়া’লামুন। ওয়া ইয়াতুল লাহুমুল লাইলু লাইলু নাছলাখু মিনহুন নাহারা ফাইযা হুম মুযলিমুন। ওয়াশ শামছু তাজরি লিমুছতাকার রিললাহা, যা-লিকা তাকদিরুল আযিযিল আ’লিম।ওয়াল কামার কাদ্দারনাহু মানাযিলা হাত্তা আ’দাকাল উরজুনিল কাদিম। লশ্ শামসু ইয়াম বাগি লাহা আন তুদরিকার কামার ওয়া লাল লাইলু ছাবিকুন নাহারি, ওয়া ফালাকিই ইয়াছ বাহুন। ওয়া আ-ইয়া তুললাহুম আন্না হামালনা যুররি-ইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।ওয়া খালাকনা লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ারকাবন। ওয়া ইন্নাশা নুগরিক হুম ফালা ছারিখা লাহুম ওয়া লা হুম ইউনকাযুন। ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতাআ’ন ইলাহিন। ওয়া ইযা কিলা লাহুমুত তাকু মা বাইনা আইদিকুম ওয়া মা খালফাকুম লা আ’ল্লাকুম তুরহামুন। ওয়া মা তা’ তিহিম মিন আ-ইয়াতিম মিন আ-ইয়া-তি রা্ব্বিহিম ইল্লা বানু আনহা মু’রিদিন। ওয়া ইযা কিলা লাহুম আনফিকু মিম্মা রাযাকাকুমুল্লাহু, কালাল্লাযিনা কাফারু ল্লিাযিনা আ-মানু আ-নুতয়িমু মাল লাওয়াশ-উল্লাহ আত আ’মাহু, ইনআনতুম ইল্লাফি দ্বালালিম মুবিন।
ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা হাযাল ওয়া’দু ইনকুনতুম ছাদিকিন। মা ইয়ান যুরুনা ইল্লাহ ছাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান তা খুযুহুম ওয়া হুম ইয়া খিছছিমুন।ফালা ইয়াছ তাত্বিউনা তাও ছিইয়াতাওঁ ওয়া লা ইলা আহলিহিম ইয়ার জিউন। ওয়া নুফিখাফিছ ছুরি ফা ইযা হুম মিনাল আজদাছি ইলা রাব্বিহিম ইয়ানছিলুন।কালু ইয়া ওয়াই লানা মিম বাআ’ছানা মিম মারকাদিন। হাযা মা ওয়া আ’দর রাহমানু ওয়া ছাদাকাল মুরছালুন। ইন কানাত ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান ফা-ইযা হুম জামিউল লাদাইনা মুদারুন। ফাল ইয়াওমা লা তুযলামু নাফছুন শাইআওঁ ওয়া লা তুজযাওনা ইল্লা মা কুনতুম তা’মালুন। ইন্না আছহাবাল জান্নাতিল ইয়াওম ফি শুশুলিন ফাকিহুন। হুম ওয়া আয ওয়াজুহুম ফি যিলালিন আলাল আর-য়িকি মুত্তাকিউন। লাহুম ফিহা ফাকিহাতুও ওয়া লা হুম মা উয়াদ দাউন। ছালামুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম। ওয়াম তাযুল ইয়াও মা আইয়ুহাল মুজরিমুন। আলাম আ’হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানি আ-দামা আল্লা তা’বুদুশ শাইত্বান্। ইন্নহু লাকুম আ’দুউ ভুম মুবিন।
ওয়া আনি’বুদুনি, হাযা ছিরাতুম মুছতাকিম। ওয়া লাকাদ আদাল্লা মিন কুম জিবিল্লান কাছিরা। আফালাম তাকুনু তা’কিলুন। হাযিহি জাহান্নামুল লাতি কুনতুম তুআ’দুন। ইছ লাওহাল ইয়াওমা বিমা কুনতুম তাকফুরুন। আল ইয়াওমা নাখকিসু আ’লা আফওয়াহিমি ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদিম ওয়া তাশহাদু আরজুলু হুম বিমা কানু ইয়াকছিবুন।ওয়া লাও নাশাও লামাছাখনাহুম আ,লা মাকানাতিহিম ফামাছ তাত্বাউ’ মুদ্বিই ইয়াও ওয়া লা ইয়ার জিউন। ওয়া মাননুআ’ মমিরহু নুনাককিছহু ফিল খালকি, আফালা ইয়া কুলুন। ওয়া মা আ’ল্লামনাহুশ শি’রা ওয়া মা ইয়ামবাগি লাহু, ইন-হু ওয়া ইল্লা যিকরুওঁ ওয়া করআনুম মুবিন।
লি-ইউন যিরা মান কানা হাই-ইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক কাল কাওলু আলাল কাফিরিন। আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না খালাকনা লাহুম মিম্মাআমিলাত আইদিনা আনআ’মান ফাহুম লাহা মালিকুন। ওয়া যাল লালনাহা লাহুম ফামিনহা রাকুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া’কুলুন। ওয়া লাহুম ফিহা মানাফিউ ওয়া মাশরির। আফালা ইয়ূনছারুন। লা ইয়াছতা ত্বিউ’না নাছরাহুম ওয়া হুম লা হুম জুনদুম মুহদারুন। ফালা ইয়াহযুনকা কাওলুহুম, ইন্না না’লামু মা ইউছিররুনা ওয়া মা ইউ’লিনুন। আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছানু আন্না খালাকনাহু মিন নুতুফাতিন ফ-ইযা হুওয়া খাছিমুম মবিন।
ওয়া দ্বারাবা লানা মাছালাওঁ ওয়া নাছিইয়া খালকাহু, কালা মাই ইউহ্ যিল ইযামা ওয়া হি ইয়া রামিম। কুল ইউহ্ য়িহাল লাযি আনশাআ হা আও ওয়ালা মাররাহ।ওয়া হুওয়া বিকুল্লি খালকিন আলিম। আল্লাযি জাআ’লা লাকুম মিনাশ শাজারিল আখদারি নারান ফ-ইযা আনতুম মিনহু তুকিদুন। আওয়া লাইছা ল্লাযি খালাকাছ। ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা বিকাদিরিন আ’লা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম, বালা ওয়া হুওয়াল খাল্লাকুল আলিম । ইন্নামা আমরুহ ইয়া আরাদা শাই য়ান আই ইয়াকুলু লাহু কুন ফা-ইয়াকুন। ফাছুবহানাল্লি বিইয়াদিহি মালাকুতি কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুরজাউন।
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন আরবী
সুরা ইয়াছিনের ফজিলত, গুরুত্ব ও মহাত্নঃ
পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ইয়াসিন বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব বহন করে। সুরা ইয়াসিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর নবুয়ত লাভের প্রথম দিকে এবং হিজরতের বহু আগে মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৮৩, রুকু পাঁচটি। বিশ্বজাহান সৃষ্টির প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মহান রাব্বুল আলামিন এ সূরা তেলাওয়াত করে ফেরেশতাদের শুনিয়েছিলেন। সূরা ইয়াসিনের বৈশিষ্ট্য, সৌরভ, তাৎপর্য ও ফজিলতের কথা শুনে তারা বিস্মিত হয়ে মাওলার কুদরতি পায়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছিলেন। সুরা ইয়াসিন শুনেই পবিত্র কোরআনের বিশালত্ব সম্পর্কে তাদের মধ্যে সম্যক ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল।
সূরা ইয়াসিনকে কোরআনের রূহ বা প্রাণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ফজিলতের দিক থেকে এ সূরা যেমন অদ্বিতীয় তেমনি মানুষের জীবনসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনায় এ সূরা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ইমাম গাজালি রহ. বলেন, সুরা ইয়াসিনকে কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলার কারণ হচ্ছে, এ সূরায় কিয়ামত ও হাশর-নাশরের বিশদ ব্যাখ্যা অলঙ্কার সহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালের বিশ্বাস ইমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল।
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত, গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। অসংখ্য হাদিস এ রাসুলে পাক (সঃ) এই সুরার মহাত্ম্য সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়েছেন। নিন্মে তার মধ্যথেকে কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হলোঃ
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন কোরাআনের হৃদয়ঃ
তাফসিরে জালালাইনশরীফের হাশিয়া ৩৬৮ পৃষ্ঠার মধ্যে বায়জাভী শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একখানা হাদীসশরীফ নকল করা হয়েছে-
‘রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, নিশ্চয় প্রত্যেক বস্তুর ‘কলব’ রয়েছে এবং কোরআনশরীফের কলব হচ্ছে ‘সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ’।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর একটি হৃদয় আছে। আল-কোরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা ১০ বার কোরআন খতমের সওয়াব দেবেন।’ (তিরমিজি : ২৮৯১)।
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত |সুরা ইয়াসিন গুনাহ মাফের মাধ্যমঃ
মানুষ মাত্রই দৈনন্দিন কাজকর্মে ভুল-ত্রুটি করে থাকে। ভুল-ত্রুটি করা হলো গোনাহের কাজ। গোনাহের কাজ মানুষকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। জাহান্নাম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো নেক আমল বা তওবা করা। যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে তার অতীত জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।
হজরত মাকাল বিন ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার অতীত জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩১২১, বায়হাকি : ২১৭৮)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাতে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার ওই রাতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (সুনানে দারেমি : ৩৪৬০)।
সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন হাজত (প্রয়োজন) পূরণের মাধ্যমঃ
মানুষ মাত্রই অবস্থান অনুযায়ী নানা ধরনের অভাব-অনটনে বা হাজত থাকে। শুধু পরিশ্রম করে কিংবা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। পরিশ্রমকারী বা অর্থ উপার্জনকারীর ওপর আল্লাহর বিশেষ রহমত থাকতে হয়। সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত-বরকত আসে। সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে মনের হাজত বা মনের আশা পূর্ণ হয়।
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত পূর্ণ করা হবে।’ (সুনানে দারেমি : ৩৪৬১)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)
ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)।
সুরা ইয়াসিন আরবী |সুরা ইয়াসিন মৃত্যু-কষ্ট লাঘবের মাধ্যমঃ
যদি কোন মুসলমানের সকরাতুল মউতের সময় তার নিকট সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ পাঠ করা হয়, বেহেশত হতে রেদওয়ান ফেরেশতা, বেহেশতের সুসংবাদ না দেওয়া পর্যন্ত মালাকুল মউত তার রূহ কবজ করবেন না। রূহ কবজের সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যক্তি ‘রাইয়ান’ নামক বেহেশতে থাকবে। (হাশিয়ায়ে জালালাইনশরীফ- ৩৬০ পৃ.)
হজরত আবু যর (রা:) বলেন, আমি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)
হযরত মা’কিল ইবনে ইয়াসার ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “এটা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের নিকট পাঠ করো।” অর্থাৎ সূরা ইয়াসীন। -( আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, মুসনাদে আহমাদ )
ইমাম আহমাদ ( রঃ ) বলেছেন- আমাদের প্রবীণরা বলতেন, মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন পাঠ করা হলে আল্লাহ তাঁর কষ্ট লাঘব করে দেন। ( তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১৫৪ )
সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন আরবী | সূরা ইয়াসিনের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন আরবী | সুরা ইয়াসিন আরবী