১০০০ + শব্দের শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী best of 2024
শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে আপনার সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আলহামদুরিল্লা। প্রিয় বন্ধুরা আজকের পোস্টটি একটু অন্যরকম হতে চলছে। আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আমাদের দেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে। আজকের পোস্টে রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী , বঙ্গবন্ধুর রচনা ,শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf, বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ১০০০ শব্দের, শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা, স্বাধীনতার অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা। আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ১০০০ শব্দের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ১০০০ শব্দের যারা খুজতেছেন তাদের বলবো এখনি এখানে নিচে দেখে নিন এবং শিখে নিন।
ভূমিকাঃ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি যুগে যুগে এমন সব ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটেছে, যাদের হাত ধরে মানবতার মুক্তির সনদ রচিত হয়েছে। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট ভূ-খন্ডটির জন্মের সাথে যার নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তিনি আর কেউ নন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf
শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf আকারে চাইলে সব নিচে ডাউনলোড বাটন থাকবে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।
জন্ম ও শৈশবঃ গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শেখ লুৎফুর রহমান ও সাহেরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ (বাংলা ২০ চৈত্র ১৩৫৯) শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে গ্রামের অন্য দশটি সাধারণ ছেলের মতো হেসে-খেলে দুরন্তপনায়।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনা ৫০০ শব্দের
শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী ৫০০ শব্দের রচনা যারা খুজতে ছিলেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি তৈরি। আপনারা চাইলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
শিক্ষা জীবনঃ শেখ মুজিব প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। অতঃপর গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে তিনি মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) এবং ১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে বিএ পাস করেন। সে বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। উল্লেখ্য ৬১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেখ মুজিবুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ১৪ আগস্ট, ২০১০ সালে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা যারা অনলাইন এ খুজতে ছিলেন তারা এখান থেকে চাইলে দেখে ও শিখে নিতে পারেন।
বৈবাহিক জীবনঃ ১৯৩৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান শেখ ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘর আলোকিত করেছে তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বৈপ্লবিক রাজনৈতিক জীবনঃ ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতি যেন তাঁর রক্তে মিশে আছে। তিনি উপলব্ধি করতেন যে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমেই বৃহৎ কল্যাণ সম্ভব। তাইতো এ দেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি সবসময় অগ্রভাগে ছিলেন। গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য সাত দিন কারাভোগ করেন।
স্বাধীনতার অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা
স্বাধীনতার অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা যারা খুজতেছেন তাদের বলবো এখনি এখানে নিচে দেখে নিন এবং শিখে নিন।
– নেতৃত্বগুণের কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
– ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) প্রতিষ্ঠা করেন।
– ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পিকেটিং এর সময় গ্রেফতার হন।
– ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর সাথে ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দান কালে গ্রেফতার হন।
– ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ এর জন্ম হলে কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
– ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
– ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি বৃহৎ অংশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটান।
– ১৯৬৮ সালে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাভোগ করেন।
– এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৪
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৪ আপনারা যারা অনলাইন এ খুঁজেন তারা চাইলে এখান থেকে দেখে এবং শিখে নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা যারা খুজে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টি। আপনি চাইলে সহজে এখান থেকে এটি শিখে নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতাঃ বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জাতির কল্যাণে চিন্তামগ্ন থাকতেন। ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ শহিদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুদিবসে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের নামকরণ করেন “বাংলাদেশ” নামে। যা তাকে পিতার ভূমিকায় নিয়ে যায়। তাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ঢাকসু’র ভিপি আসম আব্দুর রব বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেন।
বঙ্গবন্ধু রচনা
বঙ্গবন্ধু রচনা আপনারা অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুঁজে থাকেন। আপনারা এখান থেকে সহজেই এটি শিখে নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনা
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুঃ ৭ই মার্চের ভাষণ থেকেই আঁচ করা যায় যে তিনি আগাম যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাত্রে গ্রেফতারের পূর্বমুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, This is my last message to you. From today Bangladesh is independent. তার ডাকে সমগ্র বাঙালি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে
রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবঃ বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় সমবায়, কৃষি ও বন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালের প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় শিল্প, শ্রম ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা না ছাড়তে চাইলে এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্বও গ্রহণ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান রচনা
শেখ মুজিবুর রহমান রচনা যারা অনলাইন এ খুঁজেন তারা চাইলে এখান থেকে সহজে এটি দেখে নিতে পারেন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশ গঠনঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানের করাচির মিওয়ালী কারাগারে বন্দি থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেন বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, কল্যাণকামী স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লাখো মানুষের ঢল বেয়ে মহান নেতা আসলেন চিরচেনা সেই রেসকোর্স ময়দানে। দিলেন দেশ গড়ার দিক নির্দেশনা। ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সহযোগীতা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এমন এক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। আর এ জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী ও রসিক মানুষ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সভায়ও সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তিনিই প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘জুলিও কুরী’ পুরস্কার লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধুর রচনা
বঙ্গবন্ধুর রচনা আপনার যারা এটি বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে থাকেন তারা চাইলে সহজে এখান থেকে এটি শিখে নিতে পারেন।
অবেলায় বিদায়ঃ বাংলার ইতিহাসে জঘন্যতম দিন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। যার অঙ্গুলী হিলনে কোটি মানুষ প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মহামানবকে কতিপয় নরপিশাচ স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলার মাটিকে কলঙ্কিত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার কতিপয় মানুষ নামের জানোয়ারেরা পিতৃহত্যার মতো ঘৃণ্য কাজের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। কারণ তার স্বপ্ন সারথীরা আজও জেগে আছে।
শেষ কথাঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহানুভবতা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন- “আমি হিমালয় দেখিনি, আমি দেখেছি শেখ মুজিবকে।” উপসংহারের উপকূলে দাঁড়িয়ে তাই বলতে হয়- “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরি, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”
Read More Also: বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা pdf প্রতিযোগিতা ২০২৪