শবে বরাতের মোনাজাত , নিয়ত ও দোয়া 2024 Free
শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে নামাজ | শবে বরাতের নামাজ কবে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর আপনারা যারা শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে নামাজ, শবে বরাতের নামাজ কবে, শবে বরাতের মোনাজাত।
ইত্যাদি লিখে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন আপনাদের জানাই শুভেচ্ছা। এই আর্টিকেল হতে জেনে নিন শবে বরাতের ২০২৪ কত তারিখে নামাজ। বাংলাদেশ চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে আগামী ২০২৪ সালের শবে বরাত ২৫ই ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার তারিখে পালিত হবে। ২৫ই ফেব্রুয়ারী সূর্যাস্তের পর থেকে শবে বরাতের রাত। অর্থাৎ ২৫ই ফেব্রুয়ারী সূর্যাস্তের পর ওই রাতেই শবে বরাতের নামাজ।
শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
শবে বরাতের মোনাজাতনামাজ কিভাবে পড়তে হয় সেটা আমাদের ওয়েবসাইট হতে এখন জেনে নিন। সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট এক সূরা কয়েকবার পড়া বা এমন অন্যান্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়মরীতি নেই। বরং যেকোনো সূরা দিয়েই পড়তে পারবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কি তা এখন জেনে নিন। শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট এক সূরা কয়েকবার পড়া বা এমন অন্যান্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়মরীতি নেই। বরং যেকোনো সূরা দিয়েই পড়তে পারবেন।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত যারা জানতে চান এখন দেখে নিন।
বছরে ৩৬৫ দিনের কোনোদিন যদি কোনো নফল নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে আজকের রাতের নফল নামাজ গুলোও সেভাবেই পড়বেন। অথবা দুই রাকাত সুন্নত নামাজের মত করে।
সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট এক সূরা কয়েকবার পড়া বা এমন অন্যান্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়মরীতি নেই। বরং যেকোনো সূরা দিয়েই পড়তে পারবেন।
নির্দিষ্ট কোনো রাকাতের কথাও উল্লেখ নেই।
বরং নফল নামাজের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে দু রাকাত করে অধিক পরিমাণে নামাজ পড়তে থাকা। এ রাতে মানুষ যত রাকাআত ইচ্ছা নামায পড়তে পারে, তবে এ ধারণা ভুল যে, এ রাতের বিশেষ নামায রয়েছে এবং তার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। চাইলে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ ও পড়তে পারেন। কিংবা পূর্ববর্তী কাযা নামাজ ও পড়া যাবে।
এবং এটি শবে বরাতের নামাজ হিসেবেও আখ্যায়িত নয়। বরং এই দিনের ফজিলতের প্রতি লক্ষ্য রেখে অনির্ধারিত নফল ইবাদত করা। আর সেই নফল ইবাদত বলতে নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াত, যিকির ইত্যাদি উদ্দেশ্য।
শবে বরাতে রাত্রি জেগে ইবাদত করা এবং যেকোনো নফল আমল যাতে আগ্রহ বোধ হয় তা আদায় করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। এবং পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা ও নেই।
আর নামাজের জন্য নিয়ত ভিন্ন কোনো বিষয় নয়।
বরং দাঁড়ানোর সময় নামাজের জন্য মনের সংকল্প বা ইচ্ছেটাই হলো নিয়ত। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ আমি আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি এমনটা ভাবাই যথেষ্ট।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত | শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া
নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।’
শবে বরাতের নামাজের আরবি নিয়ত | শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবিতে
নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলাঃ ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার।’
শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় তা নিচের লেখাটি হতে দেখে নিন। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলায়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নামাজের সূরা | শবে বরাতের নামাজের সুরা
শবে বরাতের নামাজের সূরা বা শবে বরাতের নামাজের সুরা সম্পর্কে এখন জানাবো।
প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলায়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নামাজের মোনাজাত | শবে বরাতের দোয়া
শবে বরাতের নামাজের মোনাজাত কিভাবে করবেন এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের শেখাবো। শবে বরাতের দোয়া এখান থেকে দেখে নিন।
শবেবরাত হলো দোয়া কবুলের অন্যতম একটি রাত এই রাতে বিভিন্ন দোয়া করতে পারেন। আজকে আপনাদেরকে একটি বিশেষ আমল শিখিয়ে দেই। এটা হল ইসমে আজম।
সাধারণত আল্লাহর পবিত্র নামকেই ‘ইসমে আ’যম (মহান নাম) বলা হয়। যার মাধ্যমে দোয়া করা হলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক!
ইসমে আযমের ফযীলতঃ
ইসমে আযমের গুরত্ব হচ্ছে, এই নামে বা এই নামের ওসীলা দিয়ে আল্লাহকে ডাকলে বা তাঁর কাছে দুয়া করলে আল্লাহ সবচাইতে বেশি খুশি হন, এবং বান্দার দুয়া কবুল করে নেন।
ইসমে আযমের উসীলা দিয়ে কোন দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেনঃ
নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে নামাযে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন। নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন।
আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, ত্বাবারানী ও ইবনে মান্দাহ “আত-তাওহীদ” গ্রন্থে (৪৪/২, ৬৭/১, ৭০/১-২), একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে।
নিচের দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেনঃ-
দোআ: [১৩০.৩] যিকির যা জবানে সহজ আর মীযানের পাল্লায় ভারী
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা জবানে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী এবং করুণাময় আল্লাহ্র নিকট অতি প্রিয়। আর তা হচ্ছে,
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ
আল্লাহ্র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি”।
সুব্হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম