শবে বরাতের নামাজ |শবে বরাতের ফজিলত 2024 Free
শবে বরাতের নামাজ
প্রিয় পাঠকনৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরাও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আজ আমরা আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে আসলাম সেটি হচ্ছেশবে বরাতের নামাজ, ২০২৪ সালের শবে বরাত কত তারিখে, শবে বরাতের ফজিলত, শবে বরাত কেন পালন করা হয়,
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত, শবে রাতের নামাজ কয় রাকাত, শবে বরাতের নামাজ মোট কত রাকাত, শবে বরাতে কত রাকাত নামাজ পড়তে হয়, শবে বরাতের কয় রাকাত নামাজ, শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া, শবে বরাতের নামাজের দোয়া, শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবিতে, শবে বরাত এর নিয়ত, শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়ত, শবে বরাতের নামাজ, সব ই বরাত ২০২৪। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
শবে বরাত এর মানে কি
ইসলাম ধর্মানুসারে “হিজরী” ক্যালেন্ডার অনুযায়ী “শাবান” মাস হল অষ্টমতম মাস। হিজরী ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাসে অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তম দিবাগত রাত্রিটি হল ইসলাম ধর্মের একটি তাৎপর্য মন্ডিত রাত।
শাবান মাসের এই ১৪ তম দিবাগত “শবে বরাত” এর রাত্রিটি হল ধর্ম পরায়ণ ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষদের কাছে আল্লা প্রদত্ত বরকতময় একটি বিশেষ রাত। পবিত্র শবে বরাত এর রাত্রে আল্লার বিশেষ কৃপা দৃষ্টি তার মুমিনদের উপর বর্ষিত হয়।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরানের মত দেশ গুলোতে হিজরী ক্যালেন্ডারের “শাবান” মাসের ১৪ তম দিবাগত রাতটিকে “শবে বরাত” নামেই পালন করা হয়।
তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলোতে “শবে বরাত” এর ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। আরব দেশের মানুষের কাছে শবে বরাতের দিনটি “লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান” নামে পরিচিত।
২০২৪ সালের শবে বরাত কত তারিখে
শবে বরাতের ফজিলত
শবে বেরাত কেন পালন করা হয়
মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ জনের বিশ্বাসনুযায়ী ইসলামিক ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাসকে “শাবন” মাস বলা হয়। শাবন মাসের ১৫তম দিনটি “শবে বরাত” নামে পরিচিত।
শবে বরাত এর দিন রাত্রি বেলা মুসলিম সমাজের মানুষ মসজিদে গিয়ে পরলোকগামী পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে তাদের পাপ মার্জনা করার জন্যে আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করেন।
শবে বরাত এর এই বিশেষ দিনে আল্লাহ তালা তার বান্দাদের প্রার্থনা শুনে তাদের পূর্ব পুরুষদের করা পাপ, মাফ করে দেয়। সেই দিন সারা রাত জেগে ফাতিহা পাঠ করা হয়।
‘শব’ একটি পারসী শব্দ যার অর্থ হল ‘রাত’ এবং আরবি ভাষায় ‘বরাত’ শব্দের অর্থ হল ‘ক্ষমা।’ ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষদের মতে শবে বরাত এর এই বিশেষ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের পূর্ববর্তী কর্ম ফলের উপর
আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। সুতরাং শবে বরাতের রাত্রিটি মুসলিম ধর্মালম্বী ভাই বোনেদের জন্যে আল্লার কাছে দোষ ত্রুটি মার্জনা চেয়ে অতিবাহিত করার জন্যে বিশেষ একটি রাত।
পবিত্র রমজানের দুই সপ্তাহ আগে যথাযথ উৎসাহ এবং ধর্মীয় নিষ্ঠার সঙ্গে মুসলিম ভাই ও বোনেরা শবে বরাত উৎসব পালন করে থাকে। এই দিন দান ধ্যান করার নিয়ম আছে। শবে বরাতের দিন দুঃস্থ মানুষদের
অর্থ ও খাদ্য দ্রব্য (বিভিন্ন ধরণের হালুয়া) বিতরণ করা হয় এবং সারাদিন উপোস করে রোজা রাখা হয়। শবে বরাতের এই দিনটিকে আরবের দেশে ধর্মীয় মর্যাদায় অতি নিষ্ঠার সাথে “লাইলাতুন- বরাত” হিসাবে পালন করা হয়।
শবে বরাতের নামাজ
পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি কিন্তু সে গুরুত্বটা সবাই সঠিকভাবে পালন করতে পারি না। পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে পরিপূর্ণ না জানার কারণে অনেকেই সেই রাতে পূর্ণতা থেকে বঞ্চিত আবার অনেকে জেনেও খামখেয়ালীর কারণে পবিত্র শবে বরাত রাতে ইবাদতে কাটাতে পারে না।
অনেকে আবার পবিত্র শবে বরাতের বিভিন্ন ফজিলত সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্যে চেনার চেষ্টা করে।প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে সকল বিষয় তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব।আজকে আমরা আলোচনা করব পবিত্র শবে বরাতের বিভিন্ন দোয়া,নামাজের নিয়ত,নফল জানাম,আমল ইত্যাদি।
শবে বরাতের নামাজ মোট কত রাকাত | শবে বরাতে কত রাকাত নামাজ পড়তে হয়
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগী করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এর সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন। হাদিসের আলোকে সেগুলোর কথা উল্লেখ করা হলো-
সন্ধ্যার আমল
এ রাতে মাগরিব নামাজের পর মানুষের হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাজত ও অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।
৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম
প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোনো একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষে করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ
১. দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ।নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পরে একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার সূরা এখলাছ পড়ে নামাজ আদায় করতে হবে (ক্বুলহু আল্লাহ)।
২. দুই রাকাত নফল নামাজ। নিয়ম: ১নং নামাজের নিয়মের মতো প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার আয়াতুল কুরসি ও ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, তারপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরিফ পড়তে হবে ।
৩. আট রাকাত নফল নামাজ, দু’রাকাত করে পড়তে হবে। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পড়ার পর সূরা এখলাছ পাঁচবার করে পড়তে হবে ।একই নিয়মে বাকি সব।
৪. দু’রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামাজ।নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পড়ার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ ও এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে হবে , ১০ বার কলমা তওহীদ,১০ বার কলমা তামজীদ ও ১০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে ।
৫. দু’রাকাত করে ১৪ রাকাত নফল নামাজ।নিয়ম: প্রত্যেক রাকাত সূরা ফাতিহার পড়ার পর যে কোনো একটি সূরা পড়ুন।
৬. ৪রাকাত নফল নামাজ,১ সালামে পড়তে হবে। নিয়ম: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর ৫০ বার সূরা এখলাছ।
৭. আট রাকাত নফল নামাজ, .১ সালামে। নিয়ম: প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পড়ার পর ১১ বার সূরা এখলাছ।
শবে বরাতের কয় রাকাত নামাজ | শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
‘শব’ একটি ফারসী শব্দ এর অর্থ রাত। ‘বারায়াত’কে যদি আরবী শব্দ ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ, পরোক্ষ অর্থে মুক্তি। যেমন কুরআন মাজীদে সূরা বারায়াত রয়েছে যা সূরা তাওবা নামেও পরিচিত।ইরশাদ হয়েছে :
بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ (التوبة: ১)
অর্থ : আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা। (সূরা তাওবা, ১)
এখানে বারায়াতের অর্থ হল সম্পর্ক ছিন্ন করা। ‘বারায়াত’ মুক্তি অর্থেও আল-কুরআনে এসেছে যেমন :
أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرِ . (سورة القمر :৪৩)
অর্থ : তোমাদের মধ্যকার কাফিররা কি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ? না কি তোমাদের মুক্তির সনদ রয়েছে কিতাবসমূহে? (সূরা কামার, ৩৪)
আর ‘বারায়াত’ শব্দক যদি ফারসী শব্দ ধরা হয় তাহলে উহার অর্থ হবে সৌভাগ্য। অতএব শবে বরাত শব্দটার অর্থ দাড়ায় মুক্তির রজনী, সম্পর্ক ছিন্ন করার রজনী। অথবা সৌভাগ্যের রাত, যদি ‘বরাত’ শব্দটিকে ফার্সী শব্দ ধরা হয়।
মূলত ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বারাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।
হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম সমপ্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবিতে | শবে বরাতের নামাজের দোয়া
নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কোরআন মজিদ তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একইসঙ্গে মরহুম আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেয়া মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। তাই শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। শবে বরাতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি।
নামাজের নিয়ত আরবীতে :
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।
বাংলায় নিয়ত:- “ আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।
শবে বরাত এর নিয়ত
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত পবিত্র শবে বরাত। শবে বরাত শব্দটি ফারসি। শব মানে রাত, আর বরাত মানে মুক্তি। সেই হিসেবে শবে বরাত হচ্ছে মুক্তির রজনী। এ রাতে আল্লাহ মানবজাতির জন্য তার অসীম রহমতের দরজা খুলে দেন।
ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করার সুযোগ ঘটে এই পবিত্র শবে বরাতের রাতে।বছর ঘুরে এই পবিত্র রাত আসে আমাদের সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে।
ইসলাম ধর্মে এই রাত সবচেয়ে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই পবিত্র রাতে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করলে, আল্লাহর কাছে নিজের পাপ-গুনাহ এবং অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন ও অনুতপ্ত বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে মাফ করে দেন।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এই রাতে নফল ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকতে মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।শবে-বরাত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানিয়ে দেন,তারা যেন শবে বরাতের রাতকে যেনো জীবিত রাখে।’অর্থাৎ তারা যেন ইবাদতের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটিয়ে দেয়।
শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়ত
মহান আল্লাহ তাআলা আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতদের জন্য ইবাদতের বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করেছেন।এর মধ্যে পাঁচটি রাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইবাদতের এই বিশেষ পাঁচটি রাত হলো: শবে জুমা বা জুম’আর রাত,শবে ঈদাইন বা দুই ঈদের রাত্রিদ্বয়,শবে বরাত বা মুক্তির রাত তথা নিসফ শাবান বা শাবান মাসের মধ্য রাত,শবে কদর বা কদরের রাত অর্থাৎ মর্যাদাপূর্ণ রজনী।
শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদত
রাসুলুল্লাহ (সা.)বলেন,যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে,তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে।(ইবনে মাজাহ)।ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ।প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।রাতের নিয়মিত নফল ইবাদতের মধ্যে রয়েছে; বাদ মাগরিব ছয় থেকে বিশ রাকাত আউওয়াবিন নামাজ।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ৬ রাকাত নামাজ আদায় করবেন এসবের মধ্যে যেনো মন্দ কথা বলে না, তার এই নামাজ ১২ বছরের ইবাদতের সমতুল্য বিবেচনা হবে।হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত: যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। (তিরমিজি, মিশকাত, ফয়জুল কালাম, হাদিস: ৪৪৯-৪৫০)।
রাতের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।(আল কোরআনুল করিম, পারা: ১৫- সুরা-১৭ ইসরা-বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)।এ ছাড়া সালাতুস-তাসবিহ ও অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করা যাবে।রজব শাবান মাসের রাতের নফল নামাজ তারাবিহ নামাজ কিংবা কিয়ামুল লাইলের প্রস্তুতি।
সব ই বরাত ২০২৪
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত কর ও দিনে রোজা পালন কর। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের নফল রোজা তো রয়েছেই, যা আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন এবং আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদও (সা.) পালন করতেন, যা মূলত সুন্নত। সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
তা ছাড়া, মাসের প্রথম তারিখ, মধ্য তারিখ ও শেষ তারিখ নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ; শবে কদরের রোজা এর আওতায়ও পড়ে। সওমে দাউদি বা হজরত দাউদ (আ.)-এর পদ্ধতিতে এক দিন পর এক দিন রোজা পালন করলেও সর্বোপরি প্রতিটি বিজোড় তারিখ রোজা হয়; এবং শবে কদরের রোজার শামিল হয়ে যায়।
সর্বোপরি রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি নফল ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন; শাবান মাসে কখনো ১০টি নফল রোজা, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরও বেশি রাখতেন। রজব ও শাবান মাসের নফল রোজা রমজান মাসের রোজার প্রস্তুতি।