বনি ইসরাইল কারা |বনি ইসরাইলের পরিচয় Best of 2025
বনি ইসরাইলের পরিচয়|বনি ইসরাইলের পরিচয়|ইজরাইল কিভাবে সৃষ্টি হল
বনি ইসরাইলের পরিচয় / ইজরাইল কিভাবে সৃষ্টি হল- এটা জানতে হলে প্রথমে আমাদের ইব্রাহিম আ.(Abraham) এর ব্যাপারে জানতে হবে।
ইব্রাহিম আ. কে বলা হয় ‘ Father of faith ‘ একেশ্বরবাদী হিসেবে দাবি করা তিনটি প্রধান ধর্ম – ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম ; সবগুলোতেই তিনি স্বীকৃত ও সম্মানিত। সবাই তাকে নিজেদের ধর্মের অনুসারী হিসেবে দাবি করে।
ইব্রাহিম আ. এর দুইজন স্ত্রী ছিলেন। যার মাধ্যমে ইব্রাহিম আ. এর দুটি বংশধারার সৃষ্টি হয়। ইসমাইল আ. এর দ্বারা (বিবি হাজেরার গর্ভ থেকে)ইসহাক আ. এর দ্বারা (বিবি সারাহর গর্ভ থেকে)
প্রথম বংশধারা :-
ইব্রাহিম→ইসমাইল→…(মাঝে কেও নবী মনোনীত হয়নি এই বংশে)…→ মুহাম্মদ সা.
দ্বিতীয় বংশধারা :-
ইব্রাহিম {Abraham} → ইসহাক {Isaac} → ইয়াকুব {Jacob}(ইসরাইল) → ইউসুফ {Joseph} → মুসা {Moses} → দাউদ {David} → সুলাইমান {Solomon} → ঈসা {Jesus} আ.
(মাঝে আরও নবী পাঠানো হয়েছিল এই বংশধারায়)
এখানে দেখতে পাচ্ছি, বনি ইসরাইল মুলত ইয়াকুব আ. এর বংশধর। কারণ ইয়াকুব আ. এর আরেক নাম ছিল ইসরাইল ।ইয়াকুব আ. এর ছিল ১২জন পুত্র। বংশানুক্রমে ইয়াকুব আ. শাম দেশে হয় এবং সেটাই বনি ইসরায়েলের দাবিকৃত আবাসভূমি হয়।
তবে মিশরে তারা কিভাবে গেল?কীভাবে মুসা আ. মিশরে অবস্থান করছিল? (বনি ইসরাইল কারা)
ইউসুফ আ. মাধ্যমে।
– মুসা আ. এর মিশর ত্যাগ ও ফিরাউনের পতন
– Palestine এর পথে বনি ইসরাইলের যাত্রা
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে চাওয়া কথা গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে – ‘ ইহুদিরা জেরুজালেমকে পবিত্র ভুমি মনে করে এবং স্বয়ং ইশ্বর তাদের এখানে ফিরে আসার অধিকার দিয়েছেন।
– নির্বাসনের ৪০ বছর
– বনি ইসরাইলের জেরুজালেম প্রবেশ
সুলাইমান আ. এর মৃত্যুর পর উনার বিশাল রাজত্ব মুলত ২ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
উত্তর অংশের নাম ছিল ইসরাইল (Israel)
দক্ষিন অংশের নাম ছিল জুডাহ(Judah),আরবিতে যার নাম ইয়াহুদ।
আগেই বলেছিলাম ইয়াকুব আ. এর ১২ জন ছেলে ছিল, যাদের থেকে ১২টি গোত্রের সৃষ্টি।
আল্লাহর ইচ্ছায় আসিবীয়রা ইসরাইলে আক্রমণ করে এবং তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই ১০টি গোত্রের আর কোন নাম-নিশানাই খুঁজে পাওয়া যায় না।
– বনি ইসরাইল থেকে ইহুদি হয়ে যাওয়া (বনি ইসরাইলের পরিচয়)
আসিবীয়রা যখন ১০টি গোত্রের নাম নিশানা মুছে দেয় তখন বাকি ছিল জুডাহ রাজ্য যা ব্যাবিলনীয়দের আক্রমনের শিকার হয় ৫৮৭ খ্রিষ্টপূর্বে এবং তাদেরকে ব্যাবিলনে নির্বাসিত করা হয় দাস হিসেবে। এই নির্বাসনের পর থেকেই মুলত পরিচয়ের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন সাধিত হয়।
কিন্তু যখন থেকে তারা নিজেদের ইহুদি হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করল,তখন তা ছিল একটা জাতিগত বা গোত্রীয় পরিচয়। ( যেমন আজকাল মুসলিম পরিচয় থেকে বাঙালি পরিচয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধকরী মানুষ দেখা যায়)
আল্লাহর আসমানী কিতাব পাঠানোর এবং তাওহীদের বাণী প্রচার করার দায়িত্ব প্রত্যর্পণের মাধ্যমে বনি ইসরাইলের লোকদের যে বিশাল সম্মান এবং অনুগ্রহ দান করেছিলেন, সেটাকে তারা একটা ‘জাতিগত’ তথা পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল–যা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়। তারা এটাকে জন্মপরিচয় অর্থ্যাৎ গোত্রের নামের সাথে জুড়ে দিয়েছিল — ইহুদি! তারা মনে করত, এবং আজও মনে করে, তারা আল্লাহ কতৃক মনোনীত জাতি (Chosen People)। তাদের লেখা দেখুন,কাকে ইহুদি হিসেবে অভিহিত করেছে —
‘ এখানে উল্লেখ্য যে,আপনার ইহুদি হওয়া না হওয়া আপনার বিশ্বাস কিংবা কাজের উপর নির্ভর করছে না। অইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া কেউ যদি ইহুদিদের বিশ্বাস এবং রীতিনীতি পালন করে; তবুও সে একজন অইহুদি হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি ইহুদিবাদের উদারমনা সংস্কারকরাও তাকে অইহুদিই বলবে।
সে হিসেবে ইহুদিবাদ অনেকটা জাতীয়তাবাদের মতোই,ধর্মের মতো নয়। আর ইহুদি হওয়া অনেকটা নাগরিকত্বের মত ‘ [1]
– ইহুদি এবং খৃষ্টান : এক উম্মাহর বিভাজনের পটভূমি
– ইসা আ. (Jesus) এর জন্ম
– উম্মাহর দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া
– উম্মাহর তিন ভাগে বিভক্ত হওয়া
(ইহুদি – খৃষ্টান – মুসলিম)
– এক সুত্রে গাথা সবকিছু
– নির্ঘণ্ট
বই: শিকড়ের সন্ধানে
লেখক: হামিদা মুবাশ্বের