Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ও ছবি-২০২৪। পবিত্র মাহে রমজানের দোয়া, আমল ও ফজিলত। Pobitro mahe romjaner subhessa & free picture-2024

 আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। সবাইককে পবিত্র রমজানুল মুবারক-২০২৪ এর শুভেচ্ছা। আশাকরি সকলেই ৩০টি রোজা রাখার নিয়ত করেছেন। আল্লাহ সকলকে ৩০টি রোজা রাখার তৌফিক দান করুক। (আমিন)। আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ফজিলত , রমজানের ছবি ২০২৪, রমজান মাসের ফজিলত , রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪, রমজানের আমল , রমজানের হাদিস, রমজান মোবারক ছবি ২০২৪, রমজান নিয়ে হাদিস , রমজানের দোয়া সমূহ, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান সম্পর্কে হাদিস, রমজান মাসের দোযা, রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের ঐ দীপ্ত আলো নিয়ে। আশাকরি আপনারা রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ফজিলত , রমজানের ছবি ২০২৪, রমজান মাসের ফজিলত, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪, রমজানের আমল , রমজানের হাদিস, রমজান মোবারক ছবি ২০২৪, রমজান নিয়ে হাদিস, রমজানের দোয়া সমূহ, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান সম্পর্কে হাদিস, রমজান মাসের দোযা, রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের ঐ দীপ্ত আলো সম্পর্কে জেনে উপকৃৃৃত হবেন।

Table of Contents

রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪ | পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪

প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাইকে রমজানুল মুবারক-২০২৪ এর অগ্রিম শুভেচ্ছা। আজ আমরা আপনাদের জানাবো রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪ আপনারা আপনাদের প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪ আর রমজানের খুশিতে আর আলোয় ভরে উঠুক আপনার জীবন।

**শুভ রজনী,শুভ দিন রাখো রোযা ৩০দিন,
১১মাসের পাপ ১ মাসে করো ছাপ,
দিন যায় দিন আসে রোযা পাবেনা প্রতি মাসে..
তাই এই পবিত্র মাসে সবটি রোযা রাখো।
সবাইকে জানাই–

–পবিত্র রমজান মোবারক–**
**নামাজ রোজা নাহি কাজা, করবো না ভাই কভু,
নয়তো রাজা দিবেন সাজাযিনি মোদের প্রভু।
নামাজ রোজা অনেক সোজা, ইচ্ছে যদি করো,
মনের মতো সময় মতো নামাজ রোজা করো,,পণ করো আজ পড়বোরাখবো সদা রোজা,,তা না হলে পরকালেপেতে হবে সাজা,, বেহেস্তেতে থাকবো মেতেহবে কত মজা…
মাহে রমজান মোবারক

** সামনে আসছে রোজা,হালকা কর গোনাহেরবোঝা,যদি কর পাপচেয়ে নাও মাফ.এসো নিয়তকরি,আজ থেকে সবাই পাঁচওয়াক্ত নামাজ পরি.
–পবিত্র রমজান মোবারক–

**রমযানেরই পুণ্যে আমি তুমি হতে চাই যে ধনবান
সেই ধনের বিনিময়ে পাব রোজাদারের পুরষ্কার,রাইয়্যান!
আল্লাহ্‌ তায়ালার দান, মোবারক হো..মোবারক হো..মাহে রমজান !

** ভুলেও যেন একটি রোজা তোমার বন্ধু! না হয় ক্বাযা
ফকীর নয় তারাবীর নামাযের পুণ্যের যেন হতে পারো রাজা
হেসে খেলে ভুল করে হায় ! পেওনা ভুলের কঠিন সাজা!
–পবিত্র রমজান মোবারক–

**এলো রে এলো. ওই মাহে রমজান
মানবজাতির তরে আল্লহতায়ালার শ্রেষ্ঠ দান
পুণ্যের সূর্য উদয় হয়ে, পাপের হবে অবসান
জং গুলো সব ঝোরে গিয়ে,ঈমান করবে শাণ
রহমতেরই ডালি নিয়ে আসছে ওই!মাহে রমজান!
–পবিত্র রমজান মোবারক–

**ওই দেখ! বন্ধু সকল… ঐযে অমূল্য ধনের খনি
আজকে কে নেবে বল হীরে,পান্না ,জহরত আর মণি
পারো যদি নিতে নিজের করে,তবে হবে আখেরাতের ধনি
হবে নাকি কেউ আখিরাতের ধনি?চাও নাকি কেউ অমূল্য ধনের খনি?
–পবিত্র রমজান মোবারক–

**বেশি বেশি দান করে ,দানের সওয়াব নিও তুলে
তাহাজ্জুদের পুণ্য টুকু নিতে মন যেন না যায় ভুলে
পড়বে কোরআন প্রতিদিন সুরের দরজা খুলে
সেই কোরআনের মধুর সুরে সবার মন উঠবে আনন্দে দুলে।
–পবিত্র রমজান মোবারক–

**যেই মন তোমাকে ঘর থেকে মসজিদে নিতে পারে না সেই মন তোমাকে কি করে কবর হতে জান্নাতে নিবে বল।
মাহে রমজান মোবারক …

** ১ টা দিন, ১ টা রাত। আজকে হলো শবে-বরাত। সকলকে দাও নামাজ এর দাওয়াত। আল্লাহ কে ডেকো সারা রাত। মাফ হবে সকল পাপ। তা হলে পাবে জান্নাত। “শুভ শবে-বরাত”।
মাহে রমজান মোবারক …

**একটি মশার ভয়ে যদি অপনি
মাশারির
ভিতরে ঢুকতে পারেন , তাহলে
দোজকের আগুনের
ভয়ে কেন মসজিদে যেতে পারবেন
না ??
রমজানুল মোবারক

**গান বাজনা ডিলিট কর,, নামায রোজা সেভ কর,, খারাপ পোস্ট কাট কর,, ভাল পোস্ট শেয়ার কর,, ভিন্ন ধর্মকে রেস্পক্ট কর,, ইসলাম ধর্ম ওপেন কর..!!
মাহে রমজান মোবারক …

**মাটির দেহ নিয়ে কখনও করিওনা বরাই,
দুচোখ বন্ধ হলে দেখবে পাশে কেউ নাই।
যাকে তুমি আপন ভাবো সে হবে পর,
আপন হবে নামাজ,রোজা অন্ধাকার কবর।**
রমজানুল মোবারকবাদ

** নামাজ রোজা নাহি কাজা করবো না ভাই কভু,,
নয়তো রাজা দিবেন সাজা যিনি মোদের প্রভু,,
নামাজ রোজা অনেক সোজা ইচ্ছে যদি করো,,
মনের মতো সময় মতো নামাজ রোজা করো,,
পণ করো আজ পড়বো রাখবো সদা রোজা,,
তা না হলে পরকালে পেতে হবে সাজা,,
বেহেস্তেতে থাকবো মেতে হবে কত মজা.
–পবিত্র রমজান মোবারক–

** একদিন সাদা কাপড় পড়ে, যেতে হবে অন্ধকার কবরে । তোমার সব কিছু পড়ে রবে দুনিয়াতে , একটু ভাবো মরন কালে তোমার সাথে কি যাবে ? তাই আল্লাহকে ভয় করো ।– রমজানুল মোবারকবাদ—

** আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হওয়ার বিষেশ সময় গুলি। ১/তাহাজ্জুদের নামাজের পর। ২/জুমআর দিন রাত। ৩/আজান শুনার পর। ৪/ফজরের নামাজের পর। ৫/সেজদার পর। ৬/ইফতারের পর।
—মাহে রমজান মোবারক …

** এক এক করে যাচ্ছে চলে মাহে রমযান, কি করে দিবো আমি তার প্রতিদান. ক্ষমার আশায় আজও আমি তুলি দুই হাত. কবুল করো আল্লাহ তুমি আমার মোনাজাত. — খোশ আমদেদ মাহে রমজান —

রমজানের পিক ২০২৪ | রমজানের ছবি ২০২৪ | রমজান মোবারক ছবি-২০২৪

প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাইকে রমজানুল মুবারক-২০২৪ এর অগ্রিম শুভেচ্ছা। আজ আপনাদের দেখাবো রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪,রমজান মোবারক ছবি-২০২৪ ।আপনারা রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪,রমজান মোবারক ছবি-২০২৪  আপনার ওয়ালপেপার হিসেবে সেট করতে পারেন আবার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করেও ভাগ করে নিতে পারেন রমজানের খুশিকে।

রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।
রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ছবি ২০২৪, রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪,পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪।

রমজানের ফজিলত | রমজান মাসের ফজিলত | রমজানের ওই দীপ্ত আলো | রমজান নিয়ে হাদিস | রমজানের হাদিস

প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাইকে রমজানুল মুবারক-২০২৪ এর অগ্রিম শুভেচ্ছা। আজ আপনাদের জানাতে যাচ্ছি রমজানের ফজিলত , রমজান মাসের ফজিলত,রমজানের ওই দীপ্ত আলো, রমজান নিয়ে হাদিস, রমজানের হাদিস সম্পর্কে। আশাকরি আপনারা রমজানের ফজিলত , রমজান মাসের ফজিলত,রমজানের ওই দীপ্ত আলো, রমজান নিয়ে হাদিস, রমজানের হাদিস সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবেন।

ইসলামী শরীয়তে সাওম বা রোজা হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।

২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয় “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও”। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।

সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায় সে যেন রোজা রাখে”।

পবিত্র রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসের কিতাবগুলোতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

এর ভেতর থেকে কিছু হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো-

প্রিয় নবীজি (সা.) এর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, “রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।” (বুখারী, মুসলিম)

অপর হাদিসে এসেছে, হযরত সাহ্ল ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, “নবী কারীম (সা.) এরশাদ করেছেন, বেহেশতের ৮টি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ১টি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।” (বুখারী, মুসলিম)

বিখ্যাত হাদিস বিশারদ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, “হুজুর (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসের রোজা রাখবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের রাতে এবাদত করে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করে কাটাবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (বুখারী, মুসলিম)

হাদিসে আরো এসেছে, “রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, রোজা ছাড়া আদম সন্তানের প্রত্যেকটি কাজই তার নিজের জন্য। তবে রোজা আমার জন্য। আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। রোজা (জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচার জন্য) ঢাল স্বরুপ।

তোমাদের কেউ রোজা রেখে অশ্লীল কথাবার্তায় ও ঝগড়া বিবাদে যেন লিপ্ত না হয়। কেউ তার সঙ্গে গালমন্দ বা ঝগড়া বিবাদ করলে শুধু বলবে, আমি রোজাদার। সেই মহান সত্তার কসম যার করতলগত মুহাম্মদের জীবন, আল্লাহর কাছে রোজাদারের মুখের গন্ধ কস্তুরীর সুঘ্রানের চেয়েও উওম। রোজাদারের খুশির বিষয় ২টি- যখন সে ইফতার করে তখন একবার খুশির কারণ হয়। আর একবার যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোজার বিনিময় লাভ করবে তখন খুশির কারণ হবে।” (বুখারী)।

অপর একটি হাদিস হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, “রাসুলে পাক (সা.) বলেছেন, রোজা এবং কোরআন (কেয়ামতের দিন) আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি তাকে (রমজানের) দিনে পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিয়েছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলায় নিদ্রা হতে বাধা দিয়েছি। সুতরাং আমার সুপারিশ তার ব্যাপারে কবুল করুন। অতএব, উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে (এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে)”। (বায়হাকী)

হাদিস শরীফে আরো এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজানের প্রথম রাত আসে শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না। বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না। এ মাসে এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে, হে ভালোর অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে মন্দের অন্বেষণকারী! থামো। আল্লাহ তায়ালা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে দোযখ থেকে মুক্তি দেন। আর এটা এ মাসের প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।”(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, “যখন রমজান মাস উপস্থিত হতো রাসুল (সা.) সমস্ত কয়েদিকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক প্রার্থনাকারীকে দান করতেন।” (বায়হাকী)

হাদিসে আরো পাওয়া যায়, “নবী করীম (সা.) বলেছেন, কেউ যদি (রোজা রেখেও) মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ পরিত্যাগ না করে তবে তার শুধু পানাহার ত্যাগ করা (অর্থাৎ উপবাস ও তৃষ্ণার্ত থাকা) আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।” (বুখারী)

পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহর সঙ্গে প্রিয় বান্দার প্রেম বিনিময়ের সবচেয়ে উত্তম সময়। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা বেড়ে গেছে আরো বহুগুণ।

রমজানের ফজিলত নিয়ে আরো অনেক হাদিস বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে।

হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “একবার রাসুল (সা.) আমাদের শাবান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দান করলেন এবং বললেন, হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের প্রতি ছায়া বিস্তার করেছে এক মহান মাস, মোবারক মাস। এটি এমন মাস যাতে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা এই মাসের রোজাগুলোকে করেছেন (তোমাদের ওপর) ফরজ আর রাতে নামাজ পড়াকে তোমাদের জন্য করেছেন নফল। এই মাসে যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে ১টি নফল আমল করল সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এই মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো। এটা ধৈর্য্যের মাস। আর ধৈর্য্যের সওয়াব হলো বেহেশত। এটা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। এটা সেই মাস যে মাসে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তা তার জন্য গুনাহ মাফের এবং দোযখের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। এছাড়া তার ছওয়াব হবে রোজাদার ব্যক্তির সমান। অথচ রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব কমবে না। এসব শুনে সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তো এমন সামর্থ রাখেনা যে রোজাদারকে (তৃপ্তি সহকারে) ইফতার করাবে? রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ পাক এই ছওয়াব দান করবেন যে রোজাদারকে ইফতার করায় এক চুমুক দুধ দিয়ে, অথবা একটি খেজুর দিয়ে, অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়ায় আল্লাহ তায়ালা তাকে হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন যার পর সে পুনরায় তৃষ্ণার্ত হবে না জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত। এটা এমন পবিত্র মাসের প্রথম দিক রহমত, মাঝের দিক মাগফিরাত, আর শেষ দিক হচ্ছে দোযখ থেকে মুক্তির। যে ব্যক্তি এই মাসে আপন অধীনস্থ দাস-দাসীদের কাজের বোঝা হালকা করে দেবে মহান আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন এবং তাকে দোযখ থেকে মুক্তি দান করবেন।” (বায়হাকী)

প্রিয় নবীর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু ওবায়দা (রা.) রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, রোজা মানুষের জন্য ঢালস্বরুপ যতক্ষণ পর্যন্ত তা ফেড়ে না ফেলা হয় (অর্থাৎ রোজা মানুষের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়)”। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেছেন, “হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, অনেক রোজাদার ব্যক্তি এমন রয়েছে যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (নেক আমল যদি এখলাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে না হয়ে লোক দেখানোর উদ্দেশে হয় তাহলে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাওয়া যায় না)।” (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আরো বলেছেন, “নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভাঙে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও এর বদলা হবে না।” (তিরমিযী, আবু দাউদ)

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, “নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের জন্য বেহেশত সাজানো হয় বছরের প্রথম থেকে পরবর্তী বছর পর্যন্ত। তিনি বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম দিন উপস্থিত হয় বেহেশতের গাছের পাতা হতে আরশের নিচে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের প্রতি বিশেষ হাওয়া প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলে, হে পালনকর্তা! আপনার বান্দাদের মধ্য হতে আমাদের জন্য এমন স্বামী নির্দিষ্ট করুন যাদের দেখে আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদের দেখে তাদের চোখ জুড়াবে।”

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানের ফজিলত জেনে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)

রমজানের আমল | রমজানের দোয়া সমূহ | রমজান মাসের দোযা | রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত |  রমজানের কোরআন তেলাওয়াত

প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাইকে রমজানুল মুবারক-২০২৪ এর অগ্রিম শুভেচ্ছা। আজ আপনাদের জানাতে যাচ্ছি পবিত্র মাহে রমজান-২০২৪ উপলক্ষে  রমজানের আমল, রমজানের দোয়া সমূহ, রমজান মাসের দোযা, রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের কোরআন তেলাওয়াত  সম্পর্কে।

আপনারা যারা রমজানের আমল, রমজানের দোয়া সমূহ, রমজান মাসের দোযা, রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের কোরআন তেলাওয়াত  সম্পর্কে পুরোপুরি জানেননা বা জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এখান থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন।

রমজান মাসে আমরা বিভিন্ন আমল করে থাকি। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল তুলে ধরা হলো।

সিয়াম পালন করা

ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হল সিয়াম। আর রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ। সেজন্য রমাদান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। মহান আল্লাহ বলেন,
 
﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ ﴾ [البقرة: ١٨٥]
 
“সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে”
[সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]
 
সিয়াম পালনের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
 
«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ »
 
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’
[সহীহ বুখারী : ২০১৪]
 
«مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُوْمُ يَوْمًا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ إِلاَّ بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِيْنَ خَرِيْفًا»
 
‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’।
[সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]

সময়মত সালাত আদায় করা

সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত নামায আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,

﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣ ﴾ [النساء: ١٠٣]

‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।’

[সূরা নিসা : ১০৩]

এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,

«عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَقْرَبُ إِلَى الْجَنَّةِ قَالَ الصَّلَاةُ عَلَى مَوَاقِيتِهَا»

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামায আদায় করা। [সহীহ মুসলিম : ২৬৩]

সহীহভাবে কুরআন শেখা ও তিলওয়াত করা

রমাদান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহীহভাবে কুরআন শেখা। আর কুরআন শিক্ষা করা ফরয করা হয়েছে। কেননা কুরআনে বলা হয়েছে,

﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [العلق: ١]

‘‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’’ [সূরা আলাক : ১]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন শেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন,

« تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ ، وَاتْلُوهُ»

‘‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’’ [মুসনাদ আলজামি : ৯৮৯০]

এটি কুরআনের মাস। তাই এ মাসে অন্যতম কাজ হলো বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ، لاَ أَقُولُ الْم حَرْفٌ ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»

‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ’’ [সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০, সহীহ]।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদান ব্যতীত কোন মাসে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«وَلاَ أَعْلَمُ نَبِىَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِى لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ».

‘‘রমাদান ব্যতীত অন্য কোনো রাত্রিতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করতে, কিংবা ভোর অবধি সালাতে কাটিয়ে দিতে অথবা পূর্ণ মাস রোযা পালন করে কাটিয়ে দিতে দেখি নি’’ [সহীহ মুসলিম : ১৭৭৩]।

মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা

রমাদান মাস পাওয়া এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। সেজন্য আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা এবং আগামী রমাদান পাওয়ার জন্য তাওফীক কামনা করা। রমাদান সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে,

﴿ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ١٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٥]

‘‘আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’’[সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]

﴿وَإِذۡ تَأَذَّنَ رَبُّكُمۡ لَئِن شَكَرۡتُمۡ لَأَزِيدَنَّكُمۡۖ وَلَئِن كَفَرۡتُمۡ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٞ ٧ ﴾ [ابراهيم: ٧]

‘‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন’।’’ [সূরা ইবরাহীম : ৭]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে বলতেন

« الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ »

অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য [সুনান আত-তিরমিযী : ২৭৩৮]

তাহাজ্জুদ এর সালাত আদায় করা

রমাদান মাস ছাড়াও সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে বিরাট সাওয়াব এবং মর্যাদা রয়েছে। রমাদানের কারণে আরো বেশি ফজিলত রয়েছে। যেহেতু সাহরী খাওয়ার জন্য উঠতে হয় সেজন্য রমাদান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগও রয়েছে। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ »

‘‘ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত’’ [সহীহ মুসলিম : ২৮১২]

অপরকে কুরআন শিক্ষা দেয়া

রমাদান মাস অপরকে কুরআন শেখানোর উত্তম সময়। এ মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»

‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৫০২৭]

«مَنْ عَلَّمَ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، كَانَ لَهُ ثَوَابُهَا مَا تُلِيَتْ»

‘যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শিক্ষা দিবে, যত তিলাওয়াত হবে তার সাওয়াব সে পাবে’ [সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ : ০৭]

সেহরি খাওয়া

সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদীসে এসেছে,

«السُّحُورُ أَكْلَةٌ بَرَكَةٌ فَلاَ تَدَعُوهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ»

‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’ [মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ]

তারাবির সালাত আদায় করা

সালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদীসে এসেছে,

« مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’ [সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]

তারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবে। তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত। হাদীসে আছে,

«إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَة»ٍ

‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’ [সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭]

ই’তিকাফ করা

ই‘তিকাফ অর্থ অবস্থান করা। অর্থাৎ মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে সালাত, সিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইসতিগফার ও অন্যান্য ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে একাকী কিছু সময় যাপন করা। এ ইবাদাতের এত মর্যাদা যে, প্রত্যেক রমাদানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদানের শেষ দশ দিন নিজে এবং তাঁর সাহাবীগণ ই‘তিকাফ করতেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

« كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي كُلِّ رَمَضَانَ عَشْرَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا».

‘‘প্রত্যেক রমাযানেই তিনি শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। কিন্তু জীবনের শেষ রমযানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন’’ [সহীহ আলবুখারী : ২০৪৪]। দশ দিন ই‘তেকাফ করা সুন্নাত।

দীনের দাওয়াত দেয়া

রমাদান মাস হচ্ছে দ্বীনের দাওয়াতের সর্বোত্তম মাস। আর মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকাও উত্তম কাজ। এজন্য এ মাসে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা করা, কুরআন ও হাদীসের দারস প্রদান, বই বিতরণ, কুরআন বিতরণ ইত্যাদি কাজ বেশি বেশি করা। আলকুরআনের ঘোষণা :

﴿ وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٣ ﴾ [فصلت: ٣٣]

‘‘ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো এবং ঘোষণা করলো, আমি একজন মুসলিম’’ [সূরা হা-মীম সাজদাহ : ৩৩]

হাদীসে এসেছে,

«مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ »

‘‘ভাল কাজের পথ প্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারী অনুরূপ সাওয়াব পাবে’’ [সুনান আত-তিরমীযি : ২৬৭০]

লাইলাতুল কদর তালাশ করা

রমাদান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল-কুরআনের ঘোষণা,

﴿ لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ ٣ ﴾ [القدر: ٣]

‘‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’’ [সূরা কদর : ৪]

হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ».

‘‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদাত করবে তাকে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৩৫]

এ রাত পাওয়াটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। এক হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْتَهِدُ فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِى غَيْرِهِ».

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমদানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৭৫]

লাইলাতুল কদরের দো‘আঃ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আল্লাহর নবী ! যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তবে কি বলব ? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, বলবেঃ

«اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى»

‘‘হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৩৫১৩]

উত্তম চরিত্র গঠন করা

রমাদান মাস নিজকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়। কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّى امْرُؤٌ صَائِمٌ»

‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৫১]

ইফতার করা

সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা বিরাট ফজিলাতপূর্ণ আমল। কোন বিলম্ব না করা । কেননা হাদীসে এসেছে,

« إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلْيُفْطِرْ عَلَى التَّمْرِ فَإِنْ لَمْ يَجِدِ التَّمْرَ فَعَلَى الْمَاءِ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ »

‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’ [সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭, সহীহ]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন :

« ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ».

“পিপাসা নিবারিত হল, শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হল।” [সুনান আবূ-দাউদ: ২৩৫৯, সহীহ]

অপর বর্ণনায় যে এসেছে

«اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ »

“হে আল্লাহ! তোমার জন্য রোযা রেখেছি, আর তোমারই রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।” [সুনান আবু দাউদ :২৩৫৮] এর সনদ দুর্বল। আমাদের উচিত সহীহ হাদীসের উপর আমল করা।

বেশি বেশি দানন সদকা করা

এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইয়াতীম, বিধবা ও গরীব মিসকীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও বেশি বেশি দান খয়রাত করা। হিসাব করে এ মাসে যাকাত দেয়া উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি দান খয়রাত করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

«كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ»

‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]

কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা

এ মাসটিতে একটি ভাল কাজ অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। সেজন্য যথাসম্ভব বেশি বেশি ভাল কাজ করতে হবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« وَيُنَادِى مُنَادٍ يَا بَاغِىَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِىَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ »

‘‘এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে আহবান করতে থাকে যে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরো অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ কর। (তুমি কি জান?) এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৬৮৪]

বেশি বেশি দোয়া করা

দো‘আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। এজন্য এ মাসে বেশি বেশি দো‘আ করা ও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি কান্নাকাটি করা। হাদীসে এসেছে,

«إِنَّ للهِ تَعَالَى عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ، وَذَلِكَ كُلّ لَيْلَةٍ»

‘‘ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ রাববুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এ প্রক্রিয়াটি রমাদানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে’’ [আল জামিউস সাগীর : ৩৯৩৩]

অন্য হাদীসে এসেছে,

«إِنَّ للهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عُتَقَاء فِيْ كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ وَإِنَّهُ لِكُلِّ مُسْلِمٍ فِيْ كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ دَعْوَة مُسْتَجَابَة»

‘‘রমযানের প্রতি দিবসে ও রাতে আল্লাহ তা‘আলা অনেককে মুক্ত করে দেন। প্রতি রাতে ও দিবসে প্রতি মুসলিমের দো‘আ কবূল করা হয়’’ [সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব : ১০০২]

অপরকে ইফতার করানো

অপরকে ইফতার করানো একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ। প্রতিদিন কমপক্ষে একজনকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা দরকার। কেননা হাদীসে এসেছে,

«مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِمْ ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْء. »

‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না’’ [সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহীহ]

বেশি বেশি তওবা করা

তাওবাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা, গুনাহের কাজ আর না করার সিদ্ধান্ত নেয়া। এ মাস তাওবাহ করার উত্তম সময়। আর তাওবাহ করলে আল্লাহ খুশী হন। আল-কুরআনে এসেছে,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيُدۡخِلَكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ﴾ [التحريم: ٨]

‘‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাটি তাওবা; আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত’’ [সূরা আত-তাহরীম : ৮]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّى أَتُوبُ فِى الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ».

‘‘হে মানবসকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর আমি দিনে তাঁর নিকট একশত বারের বেশি তাওবাহ করে থাকি’’ [সহীহ মুসলিম : ৭০৩৪]

তবে তাওবাহ ও ইস্তেগফারের জন্য উত্তম হচ্ছে, মন থেকে সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার পড়া, আর তা হচ্ছে,

«اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ»

‘‘হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া প্রকৃত এবাদতের যোগ্য কেউ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার গোলাম আর আমি সাধ্যমত তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের উপর অবিচল রয়েছি। আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি। যত অপরাধ করেছি সেগুলোও স্বীকার করছি। অত:এব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।’’

ফযিলাত: ‘‘যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৬৩০৬]

ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা

ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা। এটি একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ صَلَّى الغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ»

যে ব্যক্তি ফজর জামাআত আদায় করার পর সূর্য উদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করবে, অতঃপর দুই রাকাআত সালাত আদায় করবে, সে পরিপূর্ণ হাজ্জ ও উমারাহ করার প্রতিদান পাবে। [সুনান আত-তিরমিযী : ৫৮৬]

সামর্থ থাকলে  উমরা পালন করা

এ মাসে একটি উমরা করলে একটি হাজ্জ আদায়ের সমান সাওয়াব হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«قَالَ فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً مَعِي».

‘‘রমাদান মাসে উমরা করা আমার সাথে হাজ্জ আদায় করার সমতুল্য’’ [সহীহ আলবুখারী : ১৮৬৩]

ফিতরা দেওয়া

এ মাসে সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরাহ দেয়া আবশ্যক। ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

«أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ».

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায়ের পুর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন। [সহীহ আল-বুখারী :১৫০৩]

আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করা

আত্মীয়তার সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা রক্ষা করাও একটি ইবাদাত। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا ١ ﴾ [النساء: ١]

‘‘আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আরও তাকওয়া অবলম্বন কর রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক। [সূরা আন-নিসা: ১]

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«بُلُّوا أَرْحَامَكُمْ وَلَوْ بِالسَّلَامِ»

“সালাম বিমিয়ের মাধ্যমে হলেও আত্নীয়তার সম্পর্ক তরতাজা রাখ।” [সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবওয়িয়্যাহ : ১৩]

মেসওয়াক করা

মেসওয়াকের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। হাদীসে এসেছে,

«السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ»

অর্থাৎ মেসওয়াক মুখের জন্য পবিত্রকারী, এবং রবের সন্তুষ্টি আনয়নকারী। [সহীহ ইবন খুযাইমাহ : ১৩৫] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রেখেও মেসওয়াক করতেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়।

আল্লাহর জিকির করা

এ মাসে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা ও তাসবীহ পাঠ করা। সময় পেলেই

سبحان الله ، الحمدلله ، لا إله إلا الله ، الله أكبر পড়া।

এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنَ الْكَلاَمِ أَرْبَعًا : سُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ، فَمَنْ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ ، كُتِبَ لَهُ عِشْرُونَ حَسَنَةً ، وَحُطَّتْ عَنْهُ عِشْرُونَ سَيِّئَةً ، وَمَنْ قَالَ : اللَّهُ أَكْبَرُ فَمِثْلُ ذَلِكَ ، وَمَنْ قَالَ : لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَمِثْلُ ذَلِكَ ، وَمَنْ قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ مِنْ قِبَلِ نَفْسِهِ كُتِبَ لَهُ ثَلاَثُونَ حَسَنَةً وَحُطَّتْ عَنْهُ ثَلاَثُونَ سَيِّئَةً»

অর্থ: ‘‘আল্লাহ তা’আলা চারটি বাক্যকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন, তাহলো

سبحان الله ، الحمدلله ، لا إله إلا الله ، الله أكبر যে ব্যক্তি سبحان الله

পড়বে, তার জন্য দশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি الله أكبر পড়বে, তার জন্য বিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি لا إله إلا الله পড়বে, তার জন্য বিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ পড়বে, তার জন্য ত্রিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর ত্রিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়’’। [মুসনাদ আহমাদ : ১১৩৪৫]

কুরআন থেকে আমল করা

কুরআনের এ মাসে কুরআন বুঝা ও আমল করা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা। এ বিষয়ে কুরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে,

﴿ٱتَّبِعُواْ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكُم مِّن رَّبِّكُمۡ وَلَا تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَۗ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ ٣ ﴾ [الاعراف: ٣]

‘তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর’ -[সূরা আল-আ‘রাফ : ৩]

কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

«كُنَّا نَتَعَلَّمُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ آيَاتٍ فَمَا نَعْلَمُ الْعَشْرَ الَّتِي بَعْدَهُنَّ حَتَّى نَتَعَلَّمَ مَا أُنْزِلَ فِي هَذِهِ الْعَشْرِ مِنَ الْعَمَلِ»

‘আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কুরআনের দশটি আয়াত শিক্ষা গ্রহণ করতাম, এরপর ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরবর্তী দশটি আয়াত শিক্ষা করতাম না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা এই দশ আয়াতের ইলম ও আমল শিখতাম’ [শরহে মুশকিলুল আছার : ১৪৫০]

তাকওয়া অর্জন করা

তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা বান্দাহকে আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য করে। আর রমাদান মাস তাকওয়া নামক গুণটি অর্জন করার এক বিশেষ মৌসুম। কুরআনে এসেছে,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [البقرة: ١٨٣]

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো’’ [সূরা আলবাকারাহ : ১৮৩]

﴿ۚ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ ﴾ [الطلاق: ٢]

যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। [সূরা তালাক : ০২]

যা করণীয় নয়ঃ-

রমাদান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা দরকার, সেগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :

➢ বিলম্বে ইফতার করা
➢ সাহরী না খাওয়া
➢ শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা
➢ মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা
➢ অপচয় ও অপব্যয় করা
➢ তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা
➢ জামা‘আতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা
➢ বেশি বেশি খাওয়া
➢ রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা
➢ বেশি বেশি ঘুমানো
➢ সংকট তৈরি করা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য
➢ অশ্লীল ছবি, নাটক দেখা
➢ বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা
➢ বিদ‘আত করা

➢ দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা

ট্যাগঃ রমজানের পিক ২০২৪, রমজানের ফজিলত , রমজানের ছবি ২০২৪, রমজান মাসের ফজিলত , রমজানের শুভেচ্ছা ২০২৪, রমজানের আমল , রমজানের হাদিস, রমজান মোবারক ছবি ২০২৪, রমজান নিয়ে হাদিস , রমজানের দোয়া সমূহ, পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান সম্পর্কে হাদিস, রমজান মাসের দোযা, রমজান মাসের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের কোরআন তেলাওয়াত, রমজানের ঐ দীপ্ত আলো।

Leave a comment