নামাজের দোয়া ও মোনাজাত 2024 Free
নামাজের দোয়া
আসাসালামু আলাইকুম। আশাককরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। আপনারা যারা নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের দোয়া, জানাজার নামাজের দোয়া, নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের মোনাজাত, নামাজ শেষে দোয়া সমূহ তুুুুলে ধরবো।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দোয়া
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ওযুর দোয়া, জায়নামাজের দোয়া, সানা, রুকুর দোয়, রুকু থেকে ওঠার পর দোয়া, সিজদার দোয়া, দুই সিজদার মাঝের দোয়া,তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু), দুরুদে ইব্রাহিম (দুরুদ শরীফ), দোয়া মাছুরা, দোয়া কু’নুত সবসময় কাজে লাগে। আজ আমরা তাই ওযুর দোয়া, জায়নামাজের দোয়া, সানা, রুকুর দোয়া, রুকু থেকে ওঠার পর দোয়া, সিজদার দোয়া, দুই সিজদার মাঝের দোয়া, তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু), দুরুদে ইব্রহিম (দুরুদ শরীফ), দোয়া মাছুরা, দোয়া কু’নুত আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
ওযুর দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِنَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি
ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।
বাংলা অর্থঃ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নই।
সানা, সানা দোয়া
বাংলা উচ্চারণঃ সুবহা-না কাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারঅ কাসমুকা ওয়াতা’ আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গাইরুকা।
বাংলা অর্থ- হে আল্লাহ ! আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার মহিমা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বরকতময়, আপনার মাহাত্ম্য সর্বোচ্চ এবং আপনি ভিন্ন কেহই ইবাদতের যোগ্য নয়।
রুকুর দোয়া, রুকুতে কোন দোয়া পড়তে হয়
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
বাংলা উচ্চারণঃ সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম।
বাংলা অর্থঃ আমার প্রভু পবিত্র ও মহামহিম।
রুকু থেকে ওঠার পর দোয়া
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোনো ব্যক্তি নামাজ ততক্ষণ পর্যন্ত হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে আল্লাহু আকবার বলবে অতপর রুকু করবে অতপর سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة বাংলা উচ্চারণঃ সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ, বাংলা অর্থঃ যে আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)। বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। (আবু দাউদ) অর্থাৎ রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। অতপর তিনি বলতেন- اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد- উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত) বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা তোমারই। তার পর বলতেন رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ বাংলা উচ্চারণঃ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি। বাংলা অর্থঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
সিজদার দোয়া
বাংলা উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।
বাংলা অর্থঃ আমার শ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ননা করছি।
দুই সিজদার মাঝের দোয়া
اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন, আমাকে রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।
তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু), নামাজের দোয়া আত্তাহিয়াতু
اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ-
বাংলা উচ্চারণঃ আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ্ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আনণা মুহাম্মাদান আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহু।
বাংলা অর্থঃ যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল (সঃ)।
দুরুদে ইব্রাহিম (দুরুদ শরীফ)
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লায়তা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা বা-রক্তা ‘আলা ইব্রা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
দোয়া মাছুরা, সালাম ফিরানোর আগের দোয়া
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدَكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ-
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্সী যুলমান কাছীরাঁও অলা ইয়াগ্ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগ্ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহাম্নী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম’ ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ’তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
দোয়া কু’নুত
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা আলা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা বুদু ওয়ালাকা নুছালি্ল ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি। তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না। যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে।
দোয়া কুনুত না জানলে কোন দোয়া পড়তে হয়, দোয়া কুনুত ছাড়া বিতর নামাজ, বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না জানলে কি করতে হয়
তারাবির নামাজের দোয়া, তারবির নামাজে ৪ রাকায়াত পরপর কোন দোয়া পড়তে হয়, তারবির নামাজের শেষের দোয়া, সুবহানা যিন মুলকি ওয়াল মালাকুতি
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া, তাহাজ্জুদ নামাজের আগের দোয়া, তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া বাংলা
জানাযার নামাজের দোয়া, জানাযার দোয়া, জানাযার নামাজের দোয়া বাংলা উচ্চারণ, জানাযার নামাজের দোয়া আরবি
জানাযার নামাজের ছানা
জানাযার নামাজের দোয়া
সালাতুত তাসবীহ নামাজের দোয়া
সালাতুল হাজত নামাজের দোয়া, দোয়া কবুলের নামাজ
তারবির মুনাজাত, তারবির নামাজের পর মুনাজাত, তারাবির মুনাজাতের দোয়া
নামাজের শেষে দোয়া, নামাজের পর মুনাজাত, নামাজ পড়ার পর মুনাজাত, নামাজের পর দুয়া করা যাবে কী, কীভাবে ও কোন কোন বিষয়ে মুনাজাত করা যাবে
মোনাজাতে কি কি দোয়া করবেনঃ
*নিজের গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করবেনঃ
• গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• সুন্নাহ মেনে চলা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• নিজের হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের উপর টিকে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• মুনাফিকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• নিজের পরিবারবর্গের জন্য দোয়া করবেন।
• পিতামাতার জন্য দোয়া করবেন।
• সন্তান সস্ততির জন্য দোয়া করবেন।
• সন্তান সস্ততির স্বামী-স্ত্রী নিজের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবেন।
• ছেলে মেয়েদের ইসলামী শিক্ষা দেওয়া সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• ছেলে মেয়েরা য়াতে ইসলামের উপর থাকে সেজন্য দোয়া করবেন।
• আত্নীয় স্বজনদের জন্য দোয়া করবেন।
• যারা আপনার কাছে দোয়া চেয়েছে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
• যে সমস্ত আত্মীয় স্বজন মারা গেছে তাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের পথে থাকা সহজ জন্য দোয়া করবেন।
• ইমলামের সঠিক পথে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের সম্প্রসারণের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের সম্প্রসারণে নিজের সামিল হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের জন্য বুককে সম্প্রসারণ করার জন্য দোয়া করবেন।
• আপনার প্রয়োজন পুরনের জন্য দোয়া করবেন।
• রোগমুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• হালাল রিজিক সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• হারাম কাজ থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সহজে ঋণ পরিশোধ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• কাফেরদের উতপীড়ন থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া করবেন।
• নিজেকে অন্যের উপর বোঝা স্বরুপ না হওয়ার দোয়া করবেন।
• অন্যের কাছে অপদস্ত না হওয়ার দোয়া করবেন।
• বদ নজর থেকে বাচার জন্য দোয়া করবেন।
• বিপদ,বলা মছিবত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• বিদাত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• শিরক থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• লোক দেখানো ইবাদত থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ঈমান বৃদ্ধির জন্য দোয়া করবেন।
• সকল অবস্থায় খাটি ঈমানদার হয়ে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ঈমানী মৃত্যুর জন্য দোয়া করবেন।
• বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• জান্নাতুল ফিরদাউস এর জন্য দোয়া করবেন।
• জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• কবরের আজাব থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• সকাল বিকাল জিকির করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• প্রতিদিন কোরান তিলওয়াত করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• নবীজীর শাফায়াত নসীব হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• দজ্জালের ফিতনা থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সকল রকম ফিতনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• মনে যাতে মুমিনদের প্রতি হিংসা উৎপাদন না হয় সে জন্য দোয়া করবেন।
প্রার্থনাকারী যা থেকে দূরে থাকবেনঃ
* আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করা।
* মৃত ব্যক্তির কাছে দুআ করা।
* তার কাছে নিজের প্রযোজন পেশ করা।
* বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাদের মাজারে ধর্না দেওয়া।
* তাদের কাছে তাওয়াজ্জুহ লাভের আশা করা।
* তাদের কবরে যেযে দুআ করা হল মারাত্মক সীমালংঘন অর্ন্তভুক্ত।
** দুআয় সীমালংঘন করাঃ
• উচ্চস্বরে বা চিৎকার করে দুআ করা
• দুআয় শিরক করা যেমন -1) বিদআতী পন্থায় দুআ করা। 2) নিজের মৃত্যু কামনা করে দুআ করা। 3) আখিরাতের শাস্তি দুনিয়াতে কামনা করা।
• আল্লাহর রহমতকে সীমিত করার প্রার্থনা
• নিজের, পরিবারের বা সম্পদের বিরুদ্ধে দুআ করা।
• ছন্দ ও সুর সহযোগে দুআ করা।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে – নামাজের পর মোনাজাত কতটা জরুরি? হাদিসে এনিয়ে নানা রকম মতবাদ রয়েছে। তবে অধিকাংশদের মতে নামাযের পর মোনাজাত কবুল হয়। এসময় মেহেরবান রবের কাছে যে কোনো মোনাজাত করা যায়। আরবিতে বা নিজ নিজ মাতৃভাষায় ইখলাস ও মনোযোগের সঙ্গে মোনাজাত করা উচিত। এসময় মোনাজাত করা মুস্তাহাব, তবে তা নামাযের অংশ নয়।
হযরত সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আন্হু হতে বর্ণিত,
ان اللہ حی کریم، یستحی ان یرفع الرجل الیہ یدیہ ان یردھما صِفراً خائِبیْن۔নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলা দয়ালু দাতা। যখন বান্দা তাঁর সামনে প্রার্থনার হাত প্রসারিত করে তখন তিনি শূন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জ্বাবোধ করেন।” (জামি’ তিরমিযী, ২/১৯৫)
আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ
۔আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহু একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মোনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মোনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
হযরত সালমান রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহু থেকে বর্ণিত,
قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: ما رفع قوم اکفھم الی اللہ عز و جل یسئلونہ شیئا الا کان حقا علی اللہ ان یضع فی ایدیھم الذی سئلوا
۔রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কিছু মানুষ হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তখন অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রার্থিত বিষয় দান করেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯
হযরত আবূ উমামাহ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহু হতে বর্ণিত,
قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মোনাজাত বেশি কবূল হয়? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শেষ রাতের মোনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মোনাজাত। (জামি’ তিরমিযি ২/১৮৮)
উপরোক্ত চার হাদীসের মধ্যেপ্রথম হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে, হাত তুলে মোনাজাত করলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি।দ্বিতীয় হাদিসে থেকে জানা যাচ্ছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পর হাত তুলে মোনাজাত করতেন।তৃতীয় হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন তখন তা কবুল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে। চতুর্থ হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, নামায শেষে মোনাজাত কবূল হয়।ফরয নামাযের পর হাত তুলে মোনাজাত করার বিষয়ে দু’ধরণের প্রান্তিকতা রয়েছে। কেউ একে নামাযের অংশ মনে করেন। আর কেউ একে নাজায়েয ও বিদআত বলেন। অথচ দুটিই ধারণাই ভুল, এটা কেবল মুস্তাহাব আমল, যেমনটি শুরুতে বলা হয়েছে। আরবি আমরা যে মুনাজাতগুলো করে থাকি সেগুলো মূলত কোরআনের আয়াত। তাই মুনাজাত করা বিদাত বা নাযায়েজ না। তবে এটি নামাজের কোনো অংশও না।
নিচে আমরা এমন কয়েকটি আরবি মুনাজাত সম্পর্কে জানবোঃ