ঈদের নামাজের নিয়ম | ঈদের নামাজের সময় 2024 best
ঈদের নামাজ | ঈদের নামাজের নিয়ম
আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে বারকাতুহু। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আল্লাহর দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম ঈদের নামাজের নিয়ম এবং ঈদের নামাজের সময় ২০২৪ ।
ঈদের নামাজ কি | ঈদের নামাজের তাকবীর
ঈদের নামাজ এমন একটি নামাজ যা প্রত্যেক মুসলিম বছরে দুইবার পড়ে থাকে। ঈদের নামাজ বছরে দুইবার পড়া যায় কারণ বছরে ঈদ আসে মাত্র দুইবার । ঈদের দিন প্রত্যেক মুসলিম খুবই আনন্দের সহিত নামাজ পড়ে। ঈদের জামাতে সকল মুসলমান ভাইয়েরা উপস্থিত থাকেে। অন্যান্য দিন নামাজ পড়ুক আর নাই পারুক কিন্তু ঈদের দিন প্রত্যেক মুসলিম ভাইয়েরা জামাতে শরিক হয় ঈদের নামায আদায়ের জন্য।
ঈদের দিন এমন একটি খুশির দিন যে দিনে সবাই নতুন পোষাক পরিধান করে, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন খাবার খেয়ে এই দিনটাকে একটি বিশেষ উৎসবে পরিণত করেছে। ঈদের দিন এমন একটি উৎসবের দিন যে দিনে প্রত্যেক নর-নারী খুবই খুশি থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে আসা বছরের এই দুইটি একটি হচ্ছে ঈদুল আযহা এবং অন্যটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর ।
ঈদ-উল ফিতর এর আগে পুরো 30 দিন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রোজা থাকে এবং তারপরেই আসে সেই খুশির মুহূর্ত অর্থাৎ ঈদ-উল ফিতর । খুবই আনন্দের সহিত পালন করা হয় ঈদ-উল-ফিতর এবং তারপরে আসে ঈদুল আযহা । ঈদুল ফিতর এর কয়েক মাস পর পালিত হয় ঈদ উল আযহা এটিও খুবই আনন্দের সাথে পালন করা হয়। প্রত্যেক মুসলিম দের জন্য এই দুটি উৎসব আল্লাহতালার থেকে আমাদের জন্য রহমত।
ঈদের নামাজের ফজিলত | ঈদের নামাজের ইমামতির নিয়ত
আমরা আগে জানিয়েছি যে প্রত্যেক বছরে দুইটি ঈদ আসে। একটি হচ্ছে ঈদুল আযহা এবং অন্যটি হচ্ছে ঈদ উল ফিতর। এই দুটিই প্রত্যেক মুসলিমের জন্য খুবই আনন্দের । প্রত্যেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা এটি খুবই আনন্দের সহিত পালন করে । তবে ঈদের নামাজ পড়তে কিন্তু শুধু ছেলেরা যায় অর্থাৎ ঈদের জামাত শুরু ছেলেদের নিয়ে।
আর মেয়েরা তো বাসায় থাকে ঈদের দিনের নিয়ম কিছুটা এমন হয় যে সকালে গোসল টোসল করে পুরুষরা কিছু মিষ্টান্ন ঈদের নামাজ পড়ার জন্য । আর স্ত্রীরা সকালে ঘুম থেকে উঠে পাক-পবিত্র হয়ে ঈদের নামাজ এর জন্য সেমা,ই নুডুলস এ ধরনের জিনিস রান্না করে যা খেয়ে পুরুষরা নামাজ পড়তে যাই।
ঈদের দিন সবাই সকাল সকাল নতুন পোশাক পরিধান করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। ঈদের দিন পুরুষরা যে নামাজ আদায় করতে যায় তার বিশেষ আলাদা একটি নিয়ত রয়েছে এবং ইঁদুর আলাদা একটি নিয়ত রয়েছে ঈদ-উল আযহার নামাজের নিয়ত এবং ঈদ-উল ফিতরের নামাজের নিয়ত আমরা নিচে বিশ্লেষণ করে দিব।
ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম | ঈদুল ফিতর নামাজের ফজিলত
বছরে দুইটি ঈদ এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের নামাজ হয় এক মাস রোজা রাখার পর বিশ্ব ব্যাপিয়া সকল মুসলমানের ঘরে ঘরে খুশির বন্যা ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে থাকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলেই এই খুশিতে শরিক হয়ে থাকে এই দিবসে গরিবদের দান করে বলিয়া এই খুশির দিনে নাম হইতেছে ঈদুল ফিতর এই দিনে ধনী-গড়িব সকলে নতুন পোশাক পরিধান করিয়া থাকে
এবং নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্য তৈরি করে নিজেরা খায় এবং অন্যদের পরিবেশন করে থাকে। আর একে অন্যের বাড়িতে বেড়াইয়া থাকে। ঈদুুুল ফিতরর নামাজের পূর্বে নতুন বা পরিষ্কার পোশাক পরিধান করিয়া, খুশবু ব্যবহার করি আপনি ঈদগাহ ময়দানে যাইতে হয় আর প্রতিমধ্যে নিম্নের ঈদুল ফিতরের তাকবীর বলতে হয়:-
ঈদুল ফিতরের তাকবীর
ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার রাস্তায় এই ঈদুল ফিতরের তাকবীর পাঠ করতে করতে যেতে হয়। এতে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হয় নিচে এই ঈদুল ফিতরের তাকবীর ব্যাখ্যা সহ দেওয়া হল।
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
অতঃপর ঈদগাহে সমবেত হইয়া অতিরিক্ত 6 তাকবীরের শহীদ ও দুই রাকাত নামাজ ইমামের পিছনে আদায় করিতে হয় এই নামাজের নিয়ম এই যে তাকবিরে তাহরিমার পর সানা পরিয়া ইমামের সাথে অতিরিক্ত তাকবীর বলিতে হইবে তারপর দ্বিতীয় রাকাতে রুকু পূর্বে তিনটি তাকবীর বলিতে হইবে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষ করিয়া ইমাম সাহেব দুইটি খুতবা পাঠ করিয়া মুনাজাত করবে তারপর পরস্পর একে অন্যের সহিত কোলাকুলি করিয়া গৃহে প্রত্যাবর্তন করবে।
ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাতায় সালাতিল ইদিল ফিতরি মায়া ছিত্তি তাকবীরাতি ওয়াজিউল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
ঈদুল আযহার নামাজের ফজিলত | ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
মহান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য যে দুইটি উৎসব অর্থাৎ ঈদুল ফিতর বিবরণ আমরা দিয়েছি আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঈদুল আজহার। নিনে ঈদুল আযহার নামাজের ফজিলত এবং ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম বিশেষভাবে বর্ণনা করা হলো।
জিলহজ্জের ১০ই তারিখে দুই রাকয়াত ওয়াজিব নামায আদায় করিয়া কোরবানীর উপযুক্ত পশু আল্লাহর নামে জবেহ করতঃ উৎসব পালন করাকে ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদ বলা হয় । ঈদুল ফিতর-এর মত এই নামাযের ওয়াক্ত সূর্যোদয়ের পর হইতে বেলা বারটার পূর্ব পর্যন্ত। বিশেষ কারণ বশতঃ এই নামায দশই জিলহজ্জ আদায় করিতে না পারিলে, এগারই ও বারই জিলহজ্জ পর্যন্ত আদায় করা দুরস্ত আছে।
এই নামাযও ঈদুল ফিতর-এর ন্যায় অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সহিত আদায় করিতে হয় এবং তাকবীরে তাশরীক পড়িতে পড়িতে এক রাস্তা দিয়া ঈদগাহে যাইতে হয় এবং অন্য রাস্তা দিয়া ফিরিতে হয়। বাড়ীতে ফিরার পরে নিজ নিজ ওয়াজিব কোরবানী আদায় করিতে হয় । ঈদুল আযহা খুবই আনন্দের এবংং একটু বেদনাদায়ক ও বলা হয়় কারণ ঈদুল আজহারী অনেক গরু এবং ছাগল দুম্বা এ ধরনের অনেক প্রাণী কে কুরবানী দেওয়া হয়়।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত
ঈদুল ফিতর নামাজের আগে যেমন একটি নিয়ত আছে তেমনি ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত রয়েছে আমরা নিচে ঈদুল আযহার আমাদের নিয়তি দিয়ে দিচ্ছি আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
নিয়ত :- নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই সালাতি ঈদিল আজহা, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।